আন্দোলনে গ্রেফতার ছাত্র-জনতার নিঃশর্ত মুক্তি, আহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে জেলা শহরের গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মুয়িদ মুহম্মদ ফাহিম, মৈত্রিয় হাসান জয়িতা ও মেহেদি হাসান। এছাড়াও জেলা সমন্বয়ক সালেকিন শাহরিয়ার ওয়ামিক, বায়েজিদ বোস্তামি জীম, মাসুদ রানা, আসাদুজ্জামান ও কলি রানীসহ সহ-সমন্বয়ক ও সংগঠকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সমন্বয়কেরা বলেন, গাইবান্ধায় আন্দোলন ঘিরে আমাদের শিক্ষার্থী ও জনতার বিরুদ্ধে যেমস্ত মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। একইসঙ্গে এসব মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্র-জনতার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, আন্দোলন ঘিরে গাইবান্ধায় জেলায় শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে। তারা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। অনেকে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা আহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে চিকিৎসার দাবি জানাই। সেইসঙ্গে যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের রাষ্ট্রকেই তাদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে হবে।
গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নৈরাজ্যের নিন্দা জানিয়ে জেলা সমন্বয়কেরা আরও বলেন, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্বিচারে হামলা করা হচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হচ্ছে। এসবের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এসবের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়তে এবং সহিংসতা ছড়ানো বন্ধে ছাত্র-জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
আন্দোলন ঘিরে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সমন্বয়কেরা বলেন, আন্দোলনের শুরুতেই আমরা ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছিলাম। আমরা হুমকি-ধামকি এমনকি সংগঠিত হওয়ার স্থান পর্যন্ত পাচ্ছিলাম না। এতে গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকেই আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিডি প্রতিদিন/এএম