সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় জামালপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও সরিষাবাড়ীতে মাসুদ নামে এক ছাত্রদল নেতাকে খুন ও লাশ গুমের অভিযোগে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জামালপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানসীয়ানা নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এই ধরণের মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় বিশেষ করে তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানের দশ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাছাড়া এই মামলায় ওই ইউটিউব চ্যানেলের কর্ণধার ও উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকেও আসামি করা হয়েছে। সরিষাবাড়ী উপজেলার চেচিয়াবাধা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রুমেল সরকার এই মানহানি মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, একই আদালতে সরিষাবাড়ী উপজেলার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ছাত্রদল নেতা মাসুদকে হত্যা ও লাশগুমের অভিযোগে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী উপজেলার কান্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে তৎকালীন সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের নির্দেশে ও সহায়তায় সন্ত্রাসীরা মাসুদের চোখ বেধে ব্যাপক মারধর করে। পরবর্তীতে চেচিয়াবাধা ঘাটপাড় এলাকায় যমুনা নদীর শাখা নদীতে হত্যার উদ্দেশ্যে মাসুদকে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিহত মাসুদের ভাই পোগলদিঘা ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ডা. মুরাদ হাসানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশগুমের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দুটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার সারিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য আদেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল