মহেশখালী থেকে অপহৃত ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাসিয়াখালি ইউপির গহীন পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অপহরণকারীর পরিকল্পনাকারী খালেদা নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
র্যাব-১৫ এর সহকারি পরিচালক আ. ম. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা মেয়েটি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের জামের ছরি এলাকায় নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। শাপলাপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ২১ এপ্রিল তার নানির ঔষধ আনার জন্য দোকানে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা তার নানা বাড়ির পাশে খালেদা নামে এক নারী সবার অগোচরে সুকৌশলে তাকে অজ্ঞান করে নিয়ে যায়। ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে সে তাকে সিএনজিতে চিরিঙ্গাতে দেখতে পান। পরবর্তীতে তাকে সিএনজিতে করে বান্দরবানের লামা থানাধীন ফাসিয়াখালি ইউপির মধ্যম হায়দারনাশির গহীন পাহাড়ি এলাকায় অপহরণের সাথে জড়িত জমির উদ্দিনের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। পরে দুই লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ভিকটিমের পরিবার মহেশখালী থানায় জিডি করেন। এরপর থেকেই অপহরণ এবং মুক্তিপণের বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। র্যাব-১৫ এর সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২৪ এপ্রিল রাতের বেলা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের লামা থানাধীন ফাসিয়াখালি ইউপির মধ্যম হায়দারনাশির গহীন পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণ পরিকল্পনাকারী খালেদাকে আটক করে।
খালেদা বেগম (২৮) একজন রোহিঙ্গা। তিনি কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প -৪, ব্লক-ডি/১৪ এর বাসিন্দা মো. করিমের স্ত্রী।
পরবর্তীতে তার হেড মাঝির সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, খালেদা ক্যাম্প হতে সিআইসি কর্তৃক বিতাড়িত। সে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময় চুরি ও প্রতারণা করেছে যার ফলে এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকবার শালিস বিচার হয়েছে। শেষে এক পর্যায়ে তিনি দুই ভরি স্বর্ণ চুরি করে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে মহেশখালীতে চলে যায়। এছাড়াও অপহরণকারী খালেদা ক্যাম্পের মাদক, যৌনতা, চুরি ও প্রতারণসহ নানা প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে খালেদা বেগমকে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন