নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত কয়েদির নাম রোকন মিয়া (৩২)। তিনি সদর উপজেলা নজরপুর ইউনিয়নের দিলারপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ছেলে।
এদিকে নিরাপত্তা সেলে কয়েদির মৃত্যু হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, ‘রোকন অসুস্থ হওয়ার পর তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এমনকি অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে পরিবারের কাউকে জানানো হয়নি। চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে।’
নরসিংদী কারাগারের জেল সুপার মো. শামীম জানান, মাদক মামলার আসামি হিসেবে রোকন মিয়া নরসিংদী কারাগারে ছিল। গতকাল বিকেলে কয়েদি রোকন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে। পরে তাকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরে তাকে নরসিংদী জেলা ১শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, সে শারীরিকভাবে আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। তাকে বাঁচানোর জন্য কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব রকমের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এবং তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসা ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি নেই। আজ বুধবার নিহত রোকনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাই তানভির ভূইয়া বলেন, আমার ভাইয়ের শারীরিক কোন সমস্যা ছিল না। ভাই অসুস্থ সেটা জেলা কারাগারের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়নি। আজ বুধবার সকাল ১০টায় আমরা তার মৃত্যুর খবর জানতে পাই।
তিনি বলেন, ভাই অসুস্থ বিষয়টি জানতে পারলে আমরা উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু কারাগার থেকে আমাদের জানানো হয়নি। তাই আমাদের ধারণা, আমার ভাইয়ের চিকিৎসার ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। তারা সঠিক চিকিৎসা দেয়নি। তাই তার মৃত্যু হয়েছে। এমন প্রতিক্রিয় ব্যক্ত করেছেন তার অপর ভাই সোলাইমান মৃধা।
নরসিংদী ১শ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক এম এন মিজানুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারাগার থেকে আমাদের জরুরি বিভাগে একজন রোগী আনা হয়। তাকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। পরে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হয়। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ স্পষ্টভাবে বলা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ