কিশোরগঞ্জে "বাল্যবিবাহ নিরসনে সম্মিলিত উদ্যোগ: কারণ ও করনীয়" শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার পিপলস অরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) পার্ট মিলনায়তনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন পপির উপ-পরিচালক আবু সিনা মো. শহিদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কেবল আইন নয়, প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষার প্রসার এবং কমিউনিটি ভিত্তিক কার্যকর উদ্যোগ।
দিনব্যাপী কর্মশালাটি পরিচালনা করেন পপির উপ পরিচালক আবু সিনা মো. শহিদ চৌধুরী, পপির কিশোরগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক মো. ফরিদুল আলম, কনসোর্টিয়াম কো-অর্ডিনেটর কাজী আব্দুল্লাহ রিজভান, ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার মাহমুদ মীম ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর প্রোগ্রাম ফোকাল তানভিরুল ইসলাম।
কর্মশালার উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে ছিল ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বিষয়ে আলোচনা এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা, দলগত কাজের মাধ্যমে মূল কারণ বিশ্লেষণ ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের প্রেজেন্টেশন।
সমাপনী বক্তব্যে পপির জেলা সমন্বয়ক মো. ফরিদুল আলম বলেন, এই কর্মশালা কেবল একটি আলোচনা নয়, বরং একটি সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বিল্যবিবাহমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারবো।
মালালা ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত "জয়েন্ট অ্যাকশন গ্র্যান্ট" প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটি বাস্তবায়ন করে পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মায়া ভৌমিক, এডাবের চেয়ারম্যান ও র্যাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ইবাদুর রহমান বাদল ও ফ্রিল্যান্স কনসালটেন্ট কামরুন্নাহার।
কর্মশালায় স্থানীয় কমিউনিটি সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কাজী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের ৪৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।