পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণে ইউপি সদস্য আরজু খান ও আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে অনৈতিক অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য ৩০ কেজি চালের জন্য কার্ডধারীদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক কার্ডধারী অভিযোগ করে বলেন, সকালে বেতুয়ান মসজিদের মাইকে বলা হয় কার্ডের চাউল দেওয়া হবে কার্ড ধারীরা ৩০০ টাকা করে জমা দিয়ে কার্ডের চাউল নিতে হবে। আমরা দরিদ্র মানুষ, সরকার আমাদের জন্য চাল দিচ্ছে কিন্তু মেম্বাররা টাকা না দিলে চাউল দিতে না রাজি। পরে আমরা অনেকে ৩০০ টাকা করে দিয়েছি, আবার অনেকেই ২০০ টাকা করে দিয়ে চাল নিই। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এসে ১০০ টাকা করে ফেরত দিয়েছে, বাকি ১০০ টাকা খরচ বাবদ নিয়েছে।
তারা আরো বলেন, সরকারি চাউল নিতে খরচ লাগে না জানি কিন্তু মেম্বারা টাকা না দিলে চাল দেয় না।
স্থানীয় সচেতন মহল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দিলপাশার ইউপি সদস্য আরজু আলী খান ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কার্ড ধারীরা স্বেচ্ছায় ২০০ টাকা করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে তারা এই বিষয়টি ভিডিও করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে পাঠিয়েছিলেন, সচিব আসার পর ১০০ টাকা করে ফেরত দিয়েছি। বাকি ১০০ টাকা খরচ মেটাতেই রাখা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা: নাজমুন নাহার বলেন, অর্থ আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ধরনের অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।