মুন্সীগঞ্জ সদরের চরাঞ্চল চরকেওয়ারে দুইটি সিগারেটের দাম নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়ে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মাহিম সরকার (২০) নামে এক দোকানির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নাঈম সরকার (২৬) পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।
নিহত মাহিম বাঘাইকান্দি এলাকার সবুজ সরকারের পুত্র। আর গ্রেফতার হওয়া নাঈম একই এলাকার মৃত রহমান শিকদারের পুত্র।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মাহিম রাজধানীর কাকরাইল এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও নিহতের খালাতো ভাই রাকিব হোসেন রকি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় গত বুধবার অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত নাঈম সরকারকে (২৬) আটক করে পুলিশ। ওইদিনই এ ঘটনায় সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন মাহিমের বাবা সবুজ সরকার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ মে রাত ৩টার দিকে নিজের মুদি দোকানের ভেতর ঘুমিয়ে ছিল মাহিম। এ সময় স্থানীয় নাঈম সরকার দুইটি সিগারেট নিয়ে টাকা পরিশোধ না করে চলে যেতে চাইলে মাহিম বাধা দেন। তখন মাহিমকে গালিগালাজ করে টাকা না দিয়ে চলে যান নাঈম। একইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফোন দিয়ে মাহিমকে আবারও গালিগালাজ করেন এবং তার বাবাকে নিয়ে বাড়িতে যেতে বলে নাঈম।
পরে দুপুর ৩টার দিকে বাবাকে নিয়ে নাঈমের বাড়ি যাচ্ছিলেন মাহিম। পথে চাকু নিয়ে হামলা করলে বুকে গুরুতর জখম হয় মাহিমের। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় কাকরাইল এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহিমের মৃত্যু হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল আলম জানান, মাহিমকে ছুরিকাঘাতের পরদিনই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে সদর থানায় বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন মাহিমের পিতা সবুজ সরকার। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
ওসি বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ