দিনাজপুরের খানসামায় লাবনী আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। মৃত লাবনী আক্তার (২০) খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দুবলিয়া দোলাপাড়া গ্রামের ছাইদুল ইসলামের স্ত্রী।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে খানসামার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দুবলিয়া দোলাপাড়া গ্রামে তার শয়নকক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানাায়, পরকীয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ ও মনোমালিন্য চলছিল। এই নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পরিবারের মাধ্যমে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা হয়। সম্প্রতি লাবনী আক্তার ২০দিন ধরে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে তার খোঁজ মিললে সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যস্থতায় রবিবার (১৩ জুলাই) স্বামী ছাইদুল ইসলাম তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরদিন সোমবার সকালে স্বামী কর্মস্থলে চলে যায়। পরে শাশুড়ি ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। মৃত লাবনী আক্তার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের মো. মোস্তাকিমের কন্যা।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ঘটনাটির প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ