খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বুদংপাড়া থেকে অপহরণের ১২ দিন পর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মাদরাসা ছাত্র মো. সোহেল (১৪) এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে যৌথভাবে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। বুধবার বিকেলে উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল ওয়ার্ডের দূর্গম বুদংপাড়া এলাকার একটি ছড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহেল ছদুরখীল এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া আক্তার ও আবদুল জলিলের একমাত্র ছেলে। সে স্থানীয় শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের পর বুদংপাড়ায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে জমির পাশের ছড়ায় লাশটি দেখতে পায় স্থানীয় কৃষক অংগ্যজাই মারমা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথটহল দল হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য গত ৪ জুলাই রাতে মানিকছড়ি উপজেলাধীন ২নং বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে মোঃ সোহেল (১৪) নিখোঁজ হয়। পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সোহেলের নানার নাম্বারে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে। এ ঘটনায় মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও সহায়তা করার অপরাধে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোহেলের নানা আবদুর রহিম অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করে যৌথবাহিনি।
আটককৃতরা হলেন কসমকার্বারি পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা অপহরণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি।
মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম