জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়েছে একজন ছাত্রী। সোমবার বিকালে বকশীগঞ্জ সরকারি উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। আহত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পরে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আহত ছাত্রী (১৩) বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার জেলখানা রোডের বাসিন্দা। তবে কী কারণে ওই সে ৬ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তার সহপাঠীরা।
জানা যায়, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির একজন ছাত্রী বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের ৬ তলায় ওঠে এবং সেখান থেকে মাটিতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় তার সহপাঠীদের চিৎকারে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। তারা তকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুমূর্ষু অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সেখান থেকে আলোকে ঢাকার পঙ্গুতে রেফার্ড করা হয়।
বিদ্যালয়ের ৬ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ৬ তলা ভবনের শ্রেণিকক্ষের বারান্দা থেকে একটি রক্তমাখা ব্লেড ও রক্তমাখা স্কার্ফ আলামত হিসেবে জব্দ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদকে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এই ঘটনায় একজন উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল