জয়পুরহাটে রেলওয়ের সম্পত্তির উপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে রেল বিভাগ। সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আনুমানিক অর্ধ-শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এ সময় রেলগেটের সামনের ঘর রেখে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ঘর ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কিছু বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরে যান রেল কর্তৃপক্ষ। কিছু সময় বুলডোজার আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধরা। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রায় ৩৫ বছর ধরে রেলওয়ের জায়গা লিজ নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন তারা। গত দুই দিন আগে মাইকিং করে জানানো হয়, শহরের রেলগেট এলাকায় রেলওয়ের জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তারা ভেবেছিল, লিজ নেওয়া সম্পত্তি ভাঙবে না। কিন্তু অভিযানের সময় ছানা ঘর নামে বড় ব্যবসায়ীর ঘর না ভেঙে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ঘর ভেঙেছে। এতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এসময় ঈশ্বরদীর পাকশির বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানসহ রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাকশির বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর একই স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আবারও রেলওয়ের সংস্কারে জয়পুরহাট রেলগেট এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর ছানা ঘরটি আদালতে মামলা থাকায় উচ্ছেদ করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই