যারা একসময় গণতন্ত্রের বিপক্ষে কাজ করেছে, তারাই নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব কটূক্তি, ষড়যন্ত্র এবং অমর্যাদাকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, সেটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন- এটি বড় বিষয় নয়; বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে তার জায়গা হয়ে গেছে। জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার পরে এ দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছেন তারেক রহমান।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কর্তৃক আয়োজিত- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি, ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচার এবং সাম্প্রতিক সব পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা জানি, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেটা নির্মম, নির্দয় এবং ভয়ংকর। এটি পরিকল্পিত। যারা ভিডিও করেছে, তাদের হাত একবারের জন্যও কাঁপেনি। তারা পর্যন্ত বাধা দেয়নি। যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তারা অবাক দৃষ্টিতে এই ভিডিওকারীদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এছাড়াও, এই ভিডিও দুদিন পরে প্রকাশ করা হয়েছে। তার আগে আমরা জানি, খুলনায় একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে- তার রগ পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়েছে। রগ কাটা বাহিনী কারা, এটা যদি নাও বলা হয়, দেশের মানুষ তাদের চিনে এবং জানে।
তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনের একমাত্র অর্জন হচ্ছে স্বৈরাচারকে আমরা বিদায় করেছি। এবার একটি নির্বাচন দিয়ে জনগণ যাদেরকে ভোট দেবে, তারা সরকার গঠন করবে এবং দেশ পরিচালনা করবে- সেই রাস্তায় হাঁটা উচিত।
নির্বাচিত সরকার এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকার কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ছে মন্তব্য করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি এ সরকারকে অনুরোধ করবো- আপনাদের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে। যত দ্রুত সম্ভব, নির্বাচন যদি ফেব্রুয়ারির আগেই, এমনকি ডিসেম্বরেও করা যায়- সেদিকেও নজর দিন। নির্বাচিত সরকার ছাড়া ষড়যন্ত্র, কার্যকর পদক্ষেপ এবং শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা খুব কঠিন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ