খোলাবাজারে ডলারের দর আরও বেড়েছে। রবিবার (২৪ জুলাই) প্রতি ডলারে আড়াই টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ দর ছিল ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। ডলার কেনার চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রায়ই দর বাড়ছে। বিদেশ যাওয়ার ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধের মধ্যেও খোলাবাজারে এভাবে নগদ ডলারের চাহিদা ও দর বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নও উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণের জন্য খোলাবাজার থেকে নগদ ডলার কেনা হয়। তবে আরও দর বাড়বে এমন বিবেচনায় কেউ কেউ ডলার কিনে মজুদ করতে পারে। এর আগে খোলাবাজারে প্রথমবারের মতো দর ১০০ টাকা ছাড়ায় গত ১৭ মে। ওই দিন ১০২ টাকায় প্রতি ডলার বিক্রি হয়। এরপর আবার ১০০ টাকার নিচে নামে। তবে গত ১৭ আগস্ট আবার ১০০ টাকা ছাড়ায়। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে রোববার ১০৫ টাকায় উঠেছে। যদিও ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলার ৯৮ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডলারের খরচ কমানো ও সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান আছে। একইসঙ্গে ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও ডলারের দর বাড়ছেই। ব্যাংকে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলারের দর অনেক ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার এখন ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। আন্তঃব্যাংকে এক বছরে প্রতি ডলারে বেড়েছে নয় টাকা ৬৫ পয়সা বা ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল ও বায়তুল মোকাররম এলাকার বেশ কয়েকটি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে তারা ডলার কিনছে ১০৩-১০৪ টাকা দরে। শুধু ডলারই নয়, অন্য বৈদেশিক মুদ্রার দামও বাড়ছে তাল মিলিয়ে। সৌদি রিয়াল ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় রুপি বিক্রি হচ্ছে ১.৩০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগেও ১.২৫ টাকায় রুপি বিক্রি হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ