শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১ আপডেট:

এত মৃত্যু প্রাণে সয় না

তসলিমা নাসরিন
প্রিন্ট ভার্সন
এত মৃত্যু প্রাণে সয় না

১. যে কারণে আমি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াই, যে কারণে আমি পাকিস্তানের ক্রিশ্চান, শিয়া, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াই, যে কারণে আমি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে অত্যাচারিত ইহুদিদের পক্ষে থাকি, সেই একই কারণে আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াই, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকি। কারণটির নাম মানবতা। ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যারা জঙ্গি, না, আমি তাদের মোটেও সমর্থন করি না। আইসিস, আল কায়দা, তালিবান, বোকো হারাম ইত্যাদি প্রচুর জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রচণ্ড বিরোধী আমি। এমনকী যে কোনও ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীরও আমি বিরোধী। উগ্র জাতীয়তাবাদীদেরও আমি পছন্দ করি না। নাৎসিদের যতটা নিন্দে করি, ততটা নিন্দে ইসরায়েলের উগ্র জাতীয়াবাদীদেরও করি। ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ক’টা হামাস নেতার মৃত্যু হয়েছে জানি না, তবে প্রচুর নিরপরাধ নারী-পুরুষ এবং শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ক’টা হামাস নেতার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে জানি না, তবে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, এমনকী আলজাজিরা, এসোসিয়েট প্রেসের মতো নামি মিডিয়ার বহুতল অফিসবিল্ডিংও ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওই বিল্ডিং থেকে হামাস তার জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতো। এসোসিয়েট প্রেসের সাংবাদিক বলেছেন, ওই বিল্ডিংয়ে তাঁরা ১৫ বছর যাবৎ আছেন, ওখানে হামাসের অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ তাঁরা পাননি। কিন্তু ইসরায়েল গুঁড়িয়ে দেবে মিডিয়ার বিল্ডিং, কার কী বলার আছে? না, কারও কিছু বলার নেই। রকেট হামলায় ১০ জন মরছে তো বোমাবর্ষণে কয়েকশ জন মরছে। মনে আছে ২০১৪ সালে ২২০০ জন গাজাবাসী ফিলিস্তিনি মরেছিল ইসরায়েলি বোমায়, বেশির ভাগই ছিল সাধারণ মানুষ। মৃত্যু হয়েছিল ৫৫০ জন শিশুর।

ট্রাম্প উগ্রবাদী, বাইডেন উদার-এই ভেবে যারা বাইডেনকে সমর্থন করেছে, তারাও নিশ্চয়ই সেদিন বাইডেনের কঠোর কণ্ঠস্বরে অবাক হয়েছে, যখন বাইডেন বললেন হামাসের রকেট হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল নিজেকে যে করেই হোক রক্ষা করবে। রকেট হামলাকে প্রতিরোধ করার জন্য যে লোহার ডোম, সেটি আমেরিকারই দেওয়া। নিজেকে রক্ষা করার নাম ডিফেন্স, কিন্তু অন্যকে, বিশেষ করে নিরপরাধ মানুষকে, হত্যা করার নাম কিন্তু অফেন্স। অফেন্সকে দেখছি বেশ ডিফেন্স নামে ডাকা হচ্ছে আজকাল। ইসরায়েল ধনী দেশ, কিন্তু তারপরও আমেরিকা প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার দেয় ইসরায়েলকে। ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠন হওয়ার পর থেকে, প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানের সময় থেকেই, ইসরায়েলকে সমর্থন করছে আমেরিকা। এটিই আমেরিকার নীতি। তেলের দেশগুলোর মাঝখানে একটি বন্ধুরাষ্ট্রের তখন দরকার ছিল আমেরিকার। তাছাড়া ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিক্যান এই দুই দলের নেতাদের জন্য নির্বাচনের সময় ইসরায়েল-পন্থি আমেরিকানদের কাছ থেকে বিরাট অংকের ডোনেশন আসে। নির্বাচনে জিতে নেতাদের পক্ষে সম্ভব নয় দান অস্বীকার করা বা আমেরিকার এতকালের ট্রাডিশান না মানা। তবে ডেমোক্রেটদের মধ্যে যারা মানবাধিকারে বিশ্বাসী, তাঁদের চাপের কারণেই বাইডেন পরে বলেছেন গাজায় বোমাবাজি যেন বন্ধ হয়।

ফিলিস্তিনি আর ইসরায়েলের সংঘর্ষ আমার দেখতে ইচ্ছে করে না। করে না কারণ একদিকে মহাশক্তিধর, আরেকদিকে মহাদুর্বল। একদিকে আধুনিক যুদ্ধ বিমান, মিসাইল, আরেকদিকে ইটপাটকেল, রকেট। এই দুইয়ের মধ্যে কোনও যুদ্ধ হতে পারে না। যা হতে পারে, তা হলো একের ওপর আরেকের নির্যাতন। দীর্ঘকাল যাবৎ তাই চলছে ফিলিস্তিনিদের ওপর। ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র তৈরি করা ছাড়া কোনও সমাধান নেই। ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েল- এই দুই পক্ষকে কিছু ছাড় দিতে হবে। অত্যাচারিত ইহুদিদের জন্য ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র তৈরির যেমন দরকার ছিল, ফিলিস্তিনিদের জন্যও একটি রাষ্ট্রের দরকার ছিল এবং এখনও আছে। ৭২ বছর পার হয়ে গেল, এটি এখনও তৈরি হচ্ছে না। ফিলিস্তিনিদেরও কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে হবে ইসরায়েলের জন্য, ইসরায়েলকেও জায়গা কিছু ছেড়ে দিতে হবে ফিলিস্তিন তৈরির জন্য। কিন্তু মুশকিল হলো কেউ কিছুই ছাড়তে চায় না। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ মনে করে ওদের সমস্যার কোনও সমাধান নেই। আমি মনে করি মানুষ চাইলেই গুরুতর সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। এই চাওয়াটারই অভাব।

২. কোভিড থেকে বাঁচার জন্য প্রতিষেধক নিতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মানুষ এখন অস্থির হয়ে উঠছে। ভারতে এমন কিছু লোক আছে যারা গায়ে গোবর মাখলে এবং গোমূত্র পান করলে করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করে। গঙ্গার জলে ডুব দিয়ে এলেও করোনা থেকে বাঁচা যাবে বলে কুম্ভ মেলার গঙ্গা-স্নানে যাওয়া অনেকেরই গভীর বিশ্বাস। করোনাকে বিদেয় করার নানা কিছু করেও মানুষের কোভিড ধরা পড়ছে। তারপরও কিন্তু গঙ্গা-স্নানের ওপর বা গোবর-গোমূত্রের ওপর যে বিশ্বাস, তা একটুও কমছে না মানুষের। গোশালাগুলোয় এখন ভিড় বাড়ছে। কোভিড যেন ধারে কাছে না ঘেঁষতে পারে, সেজন্য সারা গায়ে গোবর মেখে বসে থেকে মাথায় গোদুগ্ধ ঢেলে স্নান করছে, আর গোমূত্র পান করছে মানুষ। বিশ্বাস মানুষকে দিয়ে অবিশ্বাস্য সব কাজ করিয়ে নিতে পারে। এদের জন্য আমার মায়া হয়। বিজ্ঞানে বিশ্বাস করলে পশুর বর্জ্য পদার্থ এদের পান করতেও হতো না, গায়েও মাখতে হতো না, মূল কথা, এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

ভারতীয় মেডিকেল এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেএ জয়লাল বলে দিয়েছেন, ‘গোবর বা গোমূত্র রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়-এরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গোবর গোমূত্র সেবন কিন্তু মানুষের শরীরে নতুন রোগ সৃষ্টি করতে পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’ আমি জানি না জয়লালবাবুর এই উপদেশে আদৌ কোনও কাজ হবে কিনা। যদি কাজ হয় তাহলে নিশ্চয়ই মাস্ক পরবে মানুষ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে। মুশকিল হলো, ধর্ম কর্ম করার পর অনেকে ভাবে যে ঈশ্বর ভগবান তাদের বাঁচাবে।

কুম্ভ মেলা, রাজনৈতিক সভা, নির্বাচনের মিছিল, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট-সব কিছু মিলিয়েই কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ এমন ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। লাশের লাইন লেগেছে। লাশ দাহ করার ব্যবস্থাও ভেঙে চুরচুর। যমুনায় এখন লাশ ভাসছে, শত শত লাশ ভাসছে গঙ্গায়। পচা গলা লাশ। আধপোড়া লাশ। কোভিড রোগে মৃতদের সৎকার আর সম্ভব হচ্ছে না। কাঠ নেই চিতা জ্বালাবার, জায়গা নেই মৃতদেহ রাখার। তাছাড়া কোভিড হওয়াদের নিয়ে টানা-হেঁচড়া করতেও তো ভয়। কখন না আবার সংক্রামিত হয় স্বজন-বন্ধু। অগত্যা সলিলসমাধিই তাদের সিদ্ধান্ত। লাশগুলো উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গায় ভেসে ভেসে বিহারে এসে পৌঁছেছে। নদীর কিনারে জড়ো হয়েছে প্রচুর কুকুর। উড়ে এসেছে ঝাঁক ঝাঁক কাক। পচা গলা দেহগুলো খাচ্ছে। কুকুর এবং কাকের রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, নদীর জল দূষিত হওয়ার আশঙ্কা-আমাদের অজস্র আশঙ্কার সঙ্গে যোগ হলো এই দুই আশঙ্কা।

মহামারীর সময় লাশ নদীর জলে ফেলে দেওয়া এ নতুন কোনও ঘটনা নয়। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু-তে যখন ভারতবর্ষের মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, নর্মদা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল পচা গলা লাশ। তখনও চিতার কাঠের অভাব হয়েছিল। আত্মীয়রাও সংক্রামিত হচ্ছিল ফ্লুতে। তখনও কাক আর কুকুর ভিড় করেছিল লাশ খেতে। তখনও নদীর জল দূষিত হয়ে উঠেছিল।

এই তো গত কিছুদিন দিল্লির শ্মশানে লাশের ভিড় এত বেড়েছিল যে শহরটি শ্মশান হয়ে গিয়েছিল। সরকারি হিসাবে মৃত্যু চারশো। অথচ প্রতিদিন চিতা জ্বলেছে প্রায় দেড় হাজার। শ্মশানে সম্ভব হয়নি বলে মানুষ চিতা জ্বালিয়েছে পার্কে, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায়। মানুষ মরেছে রাস্তায়, ফুটপাতে, হাসপাতালের বারান্দায়, গাড়িতে, অটোরিকশার ভিতরে। কী এক ভয়ঙ্কর চিত্র! মহামারী বা অতিমারী ঠিক কাকে বলে এবং দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা আমূল ভেঙে পড়লে ঠিক কী হতে পারে-তা মানুষ বিস্ফারিত চোখে দেখেছে। মানুষ দেখেছে মানুষের হাহাকার, করুণ আর্তনাদ।

এখন তো মানুষ বিস্ফারিত চোখে নদীর জলে ভাসতে থাকা শত লাশও দেখছে। কোভিডের প্রথম তরঙ্গে এত বেশি সংক্রমণও ঘটেনি, এত বেশি মৃত্যুও ঘটেনি। দ্বিতীয় তরঙ্গ ঘরে ঘরে সংক্রমণ আর মৃত্যু দিচ্ছে। মানুষ টিকা নিয়েও অসুস্থ হচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক খবর শুনছি, কেউ কেউ কোভিড থেকে বাঁচার দু’ডোজ টিকা নিয়েও কোভিড থেকে বাঁচতে পারছে না। প্যানিক না হয়ে বোধহয় উপায় নেই।

এত দুঃখেও চোখ জুড়িয়েছে দেখে যে কিছু মুসলমান হিন্দুর সৎকারে সাহায্য করছে। তারাও দিল্লির শ্মশানে চিতাকাঠ বয়ে এনেছে। তারাও চিতা জ্বালিয়েছে। করোনাভাইরাস তো ধর্ম দেখে মানুষকে আক্রমণ করে না। মুসলমানদের ধর্মীয় জমায়েতে যেমন করোনা হামলা করেছে, হিন্দু ক্রিশ্চানদের ধর্মীয় জমায়েতেও একইভাবে হামলা করেছে করোনা। গণকবরে কোভিডে মৃত্যু হওয়া মুসলমানদেরও শোয়ানো হচ্ছে। চিতাকেও তো গণচিতাই করা হয়েছে। এক চিতার আগুনে কয়েকটি করে মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে না তো কবে দাঁড়াবে? মানুষের এই কঠিন সময়ে হিংসে ঘৃণা সাম্প্রদায়িকতা জাত পাত ভুলবে না তো কবে ভুলবে?

সাম্প্রদায়িকতা যখন দেশজুড়ে থিকথিক করে, তখন কাশ্মীরে ঘটে গেল এক অভিনব সৎকার। চমনলাল পণ্ডিত নামে ৭০ বছর বয়সী এক লোক দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলবামা অঞ্চলের তাহাব গ্রামে বাস করতেন। নব্বই দশকে যখন কাশ্মীরের উগ্র মুসলমানরা কাশ্মীরের হিন্দুদের হত্যা করেছিল, প্রায় সব হিন্দুই কাশ্মীর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল, চমনলাল পণ্ডিত কিন্তু কাশ্মীর ছাড়েননি, তিনি থেকে গেছেন তাঁর পূর্বপুরুষের ভিটেমাটিতে। একাই থাকতেন, আত্মীয় খুব কমই ছিল তাঁর আশপাশে। তিনি মারা যাওয়ার পর হিন্দুরীতিতে তাঁর সৎকার করেছেন তাহাব গ্রামের মুসলমানরা। গাছ কেটে কাঠ এনেছেন চিতা জ্বালানোর জন্য। তাঁরা বলেছেন, ‘চমনলালের সৎকার তো আমরাই করবো, চমনলাল তো আমাদেরই একজন ছিলেন।’ এই অসাম্প্রদায়িক উদার মুসলমানের মতো যদি কাশ্মীরের আর সব মুসলমান হতো, তাহলে কাশ্মীরী পণ্ডিতরা নিজেদের ভিটেয় আজ বাস করতে পারতো।

উদারতা যত কমতে থাকে, মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতা, লোভ হিংসে, ঘৃণা তত বাড়তে থাকে। উদারতার শিক্ষাটা জন্ম থেকে পেতে হয়। উদারতা থেকেই মানবতার বোধ জাগে। মানবতার বোধ মানুষকে বর্বরতা আর হিংস্রতা থেকে দূরে রাখতে পারে। ভারতে মানুষের চরম দুঃসময়ে যখন সামান্য অক্সিজেনের জন্য কাতরাচ্ছে কোভিড রোগী, সামান্য অক্সিজেনের অভাবে শত শত রোগী মরে যাচ্ছে, তখন অক্সিজেনের কালোবাজারি করছে কিছু লোক, অন্য কিছু লোক আবার পকেটের পয়সা খরচ করে অজানা অচেনা রোগীর জন্য অক্সিজেন কিনে আনছে। চিরকালই এই পৃথিবীতে দু’রকম মানুষ আমরা দেখি, ভালো এবং মন্দ। উদারতা বাড়লে ভালো মানুষের সংখ্যাটা বাড়ে। ভালো মানুষের সংখ্যা বাড়লে সমাজ বাসযোগ্য হয়।

৩. জঙ্গিবিরোধী অপারেশনে সবচেয়ে সফল যে পুলিশ অফিসার, তাঁর নাম বাবুল আক্তার। তাঁর তীক্ষè বুদ্ধি, বিচক্ষণতার পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন, তাঁর পদোন্নতি হয়েছে। জানি না এই বাবুল আক্তারের বুদ্ধি কী করে মস্তিষ্ক থেকে উড়ে গিয়েছিল যখন তিনি ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে খুন করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। বুদ্ধিরও পাখা থাকে!

তাঁর স্ত্রী মিতু যখন ছেলেকে স্কুলবাসে পৌঁছে দিতে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাবেন, তখনই তাঁকে খুন করা হবে। এই ছক মেনেই খুনিরা মিতুকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। বাবুল আক্তার ভেবেছিলেন, তিনি পার পেয়ে যাবেন, কারণ মানুষ ভেবে নেবে, যেহেতু তিনি জঙ্গি মেরেছেন, তাই জঙ্গিরা তাঁর স্ত্রীকে মেরে তাঁর প্রতিশোধ নিয়েছে।

তাঁর দুই সন্তান। দুই সন্তানের এক সন্তান নিজের মা’কে চোখের সামনে খুন হতে দেখবে, তা জেনেও বাবুল আক্তার খুনটি করিয়েছিলেন। স্বামী হিসেবে তিনি অযোগ্য, পিতা হিসেবেও।

সংসারে দীর্ঘদিন অশান্তি। স্ত্রীকে তুমি ভালোবাসো না। স্ত্রীর চেহারা তোমার দেখতে ইচ্ছে করে না। কখনও দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক ফিরে আসবে বলে তুমি বিশ্বাসও করো না। এ অবস্থায় যে কাজটি করতে হয়, তা হলো স্ত্রীকে তালাক দেওয়া, স্ত্রীকে মেরে ফেলা নয়।

বাবুল আক্তারের মতো মানুষ কেন এই সহজ সমাধানটি গ্রহণ করলেন না, বরং এমন এক সমাধান বেছে নিলেন, যে সমাধানে তাঁর ধরা পড়ার, তাঁর ফাঁসি বা যাবজ্জীবন হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ওই যে বললাম না বুদ্ধিরও পাখা থাকে, কখন যে উড়ে যায় টেরই পাওয়া যায় না।

স্ত্রীকে খুন করার পর বাবুল আক্তার স্ত্রীর বাবার বাড়িতে ছ’মাস থেকেছিলেন। নিশ্চয়ই স্ত্রীর মৃত্যু-শোকে কাতর হওয়ার অভিনয় বেশ চমৎকার করেছিলেন। স্পর্ধা কম ছিল না মানুষটির।

পাঁচ বছর আগে যখন মিতু হত্যার খবরটা বেরিয়েছিল, তখনই বলেছিলাম মিতুকে হত্যার পিছনে বাবুল আক্তার আছেন। আমাকে তখন ‘পুরুষবিদ্বেষী’ বলে গালি দিয়েছিল অনেকেই। আজ তারা আমাকে কী বলে গালি দেবে জানি না।

কিছু সত্য তথ্য সবারই জানা উচিত। মেয়েদের সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ করে স্বামীরা। মেয়েদের সবচেয়ে বেশি শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে স্বামীরা। মেয়েদের সবচেয়ে বেশি খুন করে স্বামীরা।

২০১৮ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, প্রতি বছর পঞ্চাশ হাজার মেয়ে স্বামী/প্রেমিক/পরিবারের লোক দ্বারা খুন হয়। ২০১৯ সালে জানিয়েছে পঞ্চাশ হাজারের চেয়ে বেশি মেয়ে খুন হয়েছে এ বছর। গত বছরের খুনের সংখ্যাটা জানি না। তবে লকডাউনের কারণে স্বামীরা বাড়িতে থেকেছে বেশি, স্ত্রীদের নির্যাতন করেছে বেশি। স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে আত্মসম্মান নিয়ে যে মেয়েরা বেঁচে থাকতে চায় তারা। আর যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, পরনির্ভরতা ছাড়া উপায় নেই, তারা আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নির্যাতন সহ্য করেছে।

লেখক : নির্বাসিত লেখিকা।

এই বিভাগের আরও খবর
চিকিৎসা ব্যয়
চিকিৎসা ব্যয়
বিক্ষোভ অবরোধ
বিক্ষোভ অবরোধ
শত্রুতা-মিত্রতার মাপকাঠি হোক আল্লাহর সন্তুষ্টি
শত্রুতা-মিত্রতার মাপকাঠি হোক আল্লাহর সন্তুষ্টি
দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ
দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ
গণতন্ত্র হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ
গণতন্ত্র হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ
আইএমএফ ঋণ
আইএমএফ ঋণ
বিনিয়োগ বিসংবাদ
বিনিয়োগ বিসংবাদ
দরকার আদর্শ পরিবার
দরকার আদর্শ পরিবার
ধর্ষণের কারণ ও ভয়াবহতা
ধর্ষণের কারণ ও ভয়াবহতা
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে প্রকৃতির প্রতিশোধ
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে প্রকৃতির প্রতিশোধ
শ্রম সংস্কার
শ্রম সংস্কার
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
সর্বশেষ খবর
গোমতীর স্রোতে তলিয়ে যাওয়া কিশোরের মরদেহ ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার
গোমতীর স্রোতে তলিয়ে যাওয়া কিশোরের মরদেহ ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার

১৪ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তানের মাঝে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্তের একটি
ভারত-পাকিস্তানের মাঝে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্তের একটি

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজমেরি হতে পারেন চাঁদে পা রাখা যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী
রোজমেরি হতে পারেন চাঁদে পা রাখা যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী

১৩ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

বাংলাদেশে পালিত হলো বৈশ্বিক অভিগম্যতা সচেতনতা দিবস
বাংলাদেশে পালিত হলো বৈশ্বিক অভিগম্যতা সচেতনতা দিবস

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
ভাঙ্গায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাঠালিয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির
২৩টি অবৈধ চুল্লি বিনষ্ট করলেন ভ্রম্যমাণ আদালত
কাঠালিয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির ২৩টি অবৈধ চুল্লি বিনষ্ট করলেন ভ্রম্যমাণ আদালত

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে এক দশকে কোরবানি পশুর চাহিদা বেড়েছে ৭৯%
চট্টগ্রামে এক দশকে কোরবানি পশুর চাহিদা বেড়েছে ৭৯%

২৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুলনা-বরিশাল বিভাগের যৌথ সমাবেশ সফল করতে মেহেরপুরে পোস্টার বিতরণ
খুলনা-বরিশাল বিভাগের যৌথ সমাবেশ সফল করতে মেহেরপুরে পোস্টার বিতরণ

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার
বরিশালে মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ, দিলেন বাসায় দাওয়াত
সেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ, দিলেন বাসায় দাওয়াত

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

ডিবি পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ল অটোরিকশা চোরচক্র
ডিবি পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ল অটোরিকশা চোরচক্র

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুলাউড়ায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কুলাউড়ায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারীর মরদেহ উদ্ধার
নারীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় নদী থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার
কুমিল্লায় নদী থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফ্রান্সে এমার ১৯ তম সাধারণ সভা, অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশিরাও
ফ্রান্সে এমার ১৯ তম সাধারণ সভা, অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশিরাও

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যৌক্তিক দাবি-দাওয়া বিবেচনার জন‍্য শুনানি পরিষদ গঠন করুন : সরকারকে এবি পার্টি
যৌক্তিক দাবি-দাওয়া বিবেচনার জন‍্য শুনানি পরিষদ গঠন করুন : সরকারকে এবি পার্টি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পানিতে ডুবে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
পানিতে ডুবে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে রওশন এরশাদের বাড়ি ‘সুন্দর মহল’ ভাঙচুর
ময়মনসিংহে রওশন এরশাদের বাড়ি ‘সুন্দর মহল’ ভাঙচুর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেপালকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ
নেপালকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
রংপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ায় কৃষক লীগ সভাপতির গ্রেপ্তার, বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে
বগুড়ায় কৃষক লীগ সভাপতির গ্রেপ্তার, বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‘আহত’ সেজে অনুদান বাগালেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা
‌‘আহত’ সেজে অনুদান বাগালেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে জিপ, নিহত ১
বান্দরবানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে জিপ, নিহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ
এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভারতীয় মদ জব্দ
নেত্রকোনায় ভারতীয় মদ জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের সঙ্গে শত্রুতা!
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের সঙ্গে শত্রুতা!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪ দাবিতে জনস্রোতে পরিণত হচ্ছে কাকরাইল মোড়
৪ দাবিতে জনস্রোতে পরিণত হচ্ছে কাকরাইল মোড়

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান; দাবি শেহবাজের
ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান; দাবি শেহবাজের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৯ বিমানবন্দরে তুর্কি সেলেবি এভিয়েশনের লাইসেন্স বাতিল
ভারতের ৯ বিমানবন্দরে তুর্কি সেলেবি এভিয়েশনের লাইসেন্স বাতিল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশে খুলে গেল চাকা, যাত্রী নিয়ে শাহজালালে নিরাপদে অবতরণ বিমানের
আকাশে খুলে গেল চাকা, যাত্রী নিয়ে শাহজালালে নিরাপদে অবতরণ বিমানের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ: পাকিস্তানের প্রশংসা করে যা বলল চীন
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ: পাকিস্তানের প্রশংসা করে যা বলল চীন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন স্পেনের
ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন স্পেনের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেওয়া যুবলীগ নেতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেওয়া যুবলীগ নেতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল ছাড়াই ভারতকে প্রতিহত করতে সক্ষম পাকিস্তান’
‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল ছাড়াই ভারতকে প্রতিহত করতে সক্ষম পাকিস্তান’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিকটকে নাচের ভিডিও দিয়ে বেশ ঝামেলায় ট্রাম্পের নাতনি
টিকটকে নাচের ভিডিও দিয়ে বেশ ঝামেলায় ট্রাম্পের নাতনি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে : মির্জা আব্বাস
গত ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে : মির্জা আব্বাস

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মার্কিন পণ্যে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত
মার্কিন পণ্যে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমাবেশ সকালে, জুমার পর গণঅনশন
জবির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমাবেশ সকালে, জুমার পর গণঅনশন

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ, মার্কিন সিনেট থেকে গ্রেফতার বেন কোহেন
গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ, মার্কিন সিনেট থেকে গ্রেফতার বেন কোহেন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতই থাকবে, জানাল ভারত
পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতই থাকবে, জানাল ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের গাজা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কথা বললেন ট্রাম্প!
ফের গাজা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কথা বললেন ট্রাম্প!

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে
জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

“আবাসনের দাবি ন্যায্য”, জবি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস উপদেষ্টা মাহফুজের
“আবাসনের দাবি ন্যায্য”, জবি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস উপদেষ্টা মাহফুজের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে কাতার : ট্রাম্প
মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে কাতার : ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি আসলে কতটা?
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি আসলে কতটা?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কমলো স্বর্ণের দাম
কমলো স্বর্ণের দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিলি-কলম্বিয়া ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা, ফিরলেন মেসি
চিলি-কলম্বিয়া ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা, ফিরলেন মেসি

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরমাণু চুক্তির কাছাকাছি ইরান-আমেরিকা: ট্রাম্প
পরমাণু চুক্তির কাছাকাছি ইরান-আমেরিকা: ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন পণ্যে ‘শুল্ক মওকুফ’ নিয়ে ট্রাম্পের দাবি নাকচ করল ভারত
মার্কিন পণ্যে ‘শুল্ক মওকুফ’ নিয়ে ট্রাম্পের দাবি নাকচ করল ভারত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একের পর এক বাস নিয়ে কাকরাইলে আসছেন জবির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা
একের পর এক বাস নিয়ে কাকরাইলে আসছেন জবির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিমানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, পল্লী চিকিৎসক কারাগারে
চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, পল্লী চিকিৎসক কারাগারে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি ‘ন্যায়সংগত’, মেনে নেওয়ার আহ্বান জামায়াতের
জবি শিক্ষার্থীদের দাবি ‘ন্যায়সংগত’, মেনে নেওয়ার আহ্বান জামায়াতের

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টানা ৩৩ ঘণ্টা ধরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন জবি শিক্ষার্থীরা
টানা ৩৩ ঘণ্টা ধরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন জবি শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ, দিলেন বাসায় দাওয়াত
সেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ, দিলেন বাসায় দাওয়াত

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঈদযাত্রায় বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
ঈদযাত্রায় বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইয়ামাল জাদুতে শিরোপা নিশ্চিত করল বার্সেলোনা
ইয়ামাল জাদুতে শিরোপা নিশ্চিত করল বার্সেলোনা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
সিলেট নগরজুড়ে জুবাইদা রহমানের পোস্টার
সিলেট নগরজুড়ে জুবাইদা রহমানের পোস্টার

পেছনের পৃষ্ঠা

এলাচের দাম আকাশছোঁয়া
এলাচের দাম আকাশছোঁয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদা না পেয়ে নিয়ে গেল গরু, বাছুর নিয়ে আদালতে নারী
চাঁদা না পেয়ে নিয়ে গেল গরু, বাছুর নিয়ে আদালতে নারী

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশসহ পাঁচ রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পেশ হঠাৎ স্থগিত
বাংলাদেশসহ পাঁচ রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পেশ হঠাৎ স্থগিত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শুরু শান্তি আলোচনা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শুরু শান্তি আলোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডলারের দাম ১২২ টাকার আশপাশে স্থির
ডলারের দাম ১২২ টাকার আশপাশে স্থির

প্রথম পৃষ্ঠা

দুদকে তলব সেই দুই এপিএস পিও এনসিপি নেতাকে
দুদকে তলব সেই দুই এপিএস পিও এনসিপি নেতাকে

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ
গণতন্ত্র হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

বন্ধ আইসিইউ, দিশাহারা মুমূর্ষু রোগীর স্বজনরা
বন্ধ আইসিইউ, দিশাহারা মুমূর্ষু রোগীর স্বজনরা

পেছনের পৃষ্ঠা

রূপবান সিনেমার বাঁশ উঠেছিল নিলামে
রূপবান সিনেমার বাঁশ উঠেছিল নিলামে

শোবিজ

মামলা বাণিজ্য চাঁদাবাজি চলছে
মামলা বাণিজ্য চাঁদাবাজি চলছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রাম্প ট্যাক্সের বোঝা গার্মেন্টে
ট্রাম্প ট্যাক্সের বোঝা গার্মেন্টে

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাচেলর পয়েন্ট-এ মিশুকে নিয়ে ধোঁয়াশা
ব্যাচেলর পয়েন্ট-এ মিশুকে নিয়ে ধোঁয়াশা

শোবিজ

পাখির জন্য অন্য রকম ভালোবাসা
পাখির জন্য অন্য রকম ভালোবাসা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে
নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে

প্রথম পৃষ্ঠা

মেয়র হতে ইসিতে ধরনা জামানত হারানো মুশফিকের
মেয়র হতে ইসিতে ধরনা জামানত হারানো মুশফিকের

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকিবকে সোয়া ২ কোটি টাকা জরিমানা
সাকিবকে সোয়া ২ কোটি টাকা জরিমানা

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন অনুসারী হারাচ্ছেন আলিয়া ভাট
কেন অনুসারী হারাচ্ছেন আলিয়া ভাট

শোবিজ

সাবিনাদের ২৮ গোলে জয়
সাবিনাদের ২৮ গোলে জয়

মাঠে ময়দানে

বুবলী একাই ১০০
বুবলী একাই ১০০

শোবিজ

অনড় জবির শিক্ষার্থীরা কাকরাইলেই অবস্থান
অনড় জবির শিক্ষার্থীরা কাকরাইলেই অবস্থান

প্রথম পৃষ্ঠা

সোহানের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিন পার
সোহানের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিন পার

মাঠে ময়দানে

বোতল ছুড়ে মারা ছাত্রের খোঁজে পুলিশ
বোতল ছুড়ে মারা ছাত্রের খোঁজে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার বাস্কেটবল কোচ আমির
এবার বাস্কেটবল কোচ আমির

শোবিজ

তুসি হয়ে ফিরছেন সারিকা
তুসি হয়ে ফিরছেন সারিকা

শোবিজ

ইশরাককে মেয়র ঘোষণার দাবিতে নতুন কর্মসূচি
ইশরাককে মেয়র ঘোষণার দাবিতে নতুন কর্মসূচি

পেছনের পৃষ্ঠা

গাছে গাছে রঙের ছোঁয়া
গাছে গাছে রঙের ছোঁয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহামেডানের অন্যরকম ম্যাচ
মোহামেডানের অন্যরকম ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

গ্রিসে আগুনে প্রবাসীদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ
গ্রিসে আগুনে প্রবাসীদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ

পেছনের পৃষ্ঠা