শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১ আপডেট:

যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে!

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে!

অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কর্তৃক স্ববিরোধী কথাবার্তা এখন প্রতিনিয়ত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু সময় ধরে তিনি প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছেন যে তাঁর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ মাত্র কদিন আগেই তিনি বললেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব ঠিক হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তিনি আবার বিএনপির আসল কর্ণধার তারেক রহমানের সমালোচনা করেছেন। তাঁর এ স্ববিরোধী অবস্থানের সমন্বয় ঘটানো সম্ভব নয়। দুটি কিডনির বৈকল্যই সম্ভবত তাঁর এহেন দোদুল্যতার জন্য দায়ী। তবে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি যে কথা বলেছেন তা ঘেঁটে দেখা প্রয়োজন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভবিষ্যতে কী করতে পারে তা অনুধাবন করার সহজতম পন্থা হচ্ছে সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অতীত পর্যালোচনা। তাই এ লেখনীর মাধ্যমে আমি বিএনপির অতীতের দিকে বিজ্ঞ পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই, যাতে তারা অতীত ভুলে না যায় আর নতুন প্রজন্ম যেন এগুলো জানতে পারে।

আমি বিলেতে প্রবাসজীবনের ইতি ঘটিয়ে দেশে ফিরেছি। সেটা ছিল বিএনপি-জামায়াতের যৌথ রাজত্বকাল। ঢাকায় ফেরার পর যে সমস্যাগুলো আমাকে এবং আমার দুই মেয়েকে অস্থির করে তুলেছিল তার অন্যতম ছিল পানি সংকট। সেই সংকটের কারণে বেশ কদিন গোসল করতে পারিনি। তার সঙ্গে ছিল বিদ্যুৎ ঘাটতি। দিনের এক বড় সময় বিদ্যুতের অভাবে, বিশেষ করে আমার বিলেতে জন্ম হওয়া এবং বেড়ে ওঠা দুই মেয়ের জীবন এমনই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছিল যে তারা আমাকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল বিলেতে ফিরে যেতে। আমি তখন আইন পেশায় রত। তাই বিদ্যুৎ ঘাটতি আমার পেশাজীবনেও এনেছিল চরম দুর্গতি। দিশাহারা হয়ে পড়েছিল সব মানুষ, থমকে গিয়েছিল কলকারখানার চাকা, কৃষিকাজে সেচব্যবস্থা। দেশে বিরাজ করছিল চরম খাদ্য ঘাটতি, যার কারণে রাস্তায় বেরোলেই বহু বুভুক্ষু মানুষ ঘিরে ধরত একমুঠো খাবারের জন্য। উত্তর বাংলায় চলছিল মঙ্গা। অনাহারক্লিষ্ট মানুষের ছবি দেখে ভয় হচ্ছিল ১৯৪৩ সালে গোটা বাংলায় যে দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল, তা-ই হতে যাচ্ছে কি না।

আর একটি বড় সমস্যা ছিল আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণের ঘটনাগুলো এতই প্রকট হয়ে পড়েছিল যে সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট শূন্য হয়ে যেত। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো মানুষ রাস্তায় বের হতো না। সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যেত। কেউ পুলিশে নালিশ করলে পুলিশ অপারগতা প্রকাশ ছাড়া কিছুই করতে পারত না। কেননা যারা ত্রাস চালাচ্ছিল তারা ছিল বিএনপি সমর্থক এবং সহায়তাপ্রাপ্ত সরকারি মদদ পাওয়া। তাদের আইনের আওতায় আনার ধৃষ্টতা পুলিশ দেখাতে সাহস পেত না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্রদলের নেতাপাতারা চালাচ্ছিল ধর্ষণের অবাধ কারবার। কৃষি ক্ষেত্রে নেমেছিল অমানিশার অন্ধকার। বিদেশি খাদ্য সাহায্যের ওপর নির্ভর করছিল গোটা দেশ। চিকিৎসাব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে। প্রাচুর্যবান লোকেরা সামান্য অসুখ হলেই বিদেশে চলে যেতেন আর দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধুঁকে ধুঁকে প্রাণ হারাতেন। তখন মোবাইল ফোনের একচ্ছত্র মালিকানা দেওয়া হয় বিএনপি নেতা মোর্শেদ খানকে, যিনি তার ইচ্ছামতো মোবাইল সেটের মূল্য এবং কলরেট নির্ধারণ করতেন। তিনি একটা সেট বিক্রি করতেন ন্যূনতম ২ লাখ টাকায়। সে সময়ে খুব কম লোকের পক্ষেই এত টাকা দিয়ে মোবাইল কেনা সম্ভব হতো বলে হাতে গোনা কিছু ভাগ্যবান ওপরতলার ব্যক্তিই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারতেন।

বিএনপির সে সময়ের শাসনকালে জঙ্গিবাদ আফগানিস্তানে তালেবানদের তৎপরতার সঙ্গে তুলনীয় হয়ে পড়েছিল। কুখ্যাত বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে চলছিল জঙ্গি হামলা এবং খুনের মহোৎসব। বিএনপি সরকার বলছিল বাংলা ভাই নামে কেউ নেই, সবই মিডিয়ার সৃষ্টি। বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে বোমা ফাটিয়ে প্রচুর হতাহত ঘটানো হয়েছিল। একই দিন মুন্সীগঞ্জ ছাড়া দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জঙ্গিরা তাদের শক্তির মহড়া প্রদর্শন করেছিল। নিম্ন আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারকসহ বহু লোককে হত্যা করেছিল বিএনপি সরকারের সমর্থনপুষ্ট এ বাংলা ভাই বাহিনী। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভায় পাকিস্তান থেকে পাওয়া গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমানসহ বেশ কিছু লোককে হত্যা করা হয়। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে যারা এখনো ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে তাদের মূল টার্গেট, সে সময়ের বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও তিনি কান এবং চোখে আঘাত পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে এ ঘটনার বিচারের বিচারক সব সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে এই মর্মে রায় দিয়েছিলেন যে, পুরো পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন খালেদাপুত্র, তথা বিএনপির আসল চালক তারেক রহমান, যার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব, পলাতক হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সংসদ সদস্য মওলানা তাজউদ্দিন, নাসিরউদ্দিন পিন্টু, জামায়াত নেতা মুফতি হান্নান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর। এ ছাড়া জড়িত ছিল সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী ডিজিএফআই-প্রধান জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার রহিম, ছিল পুলিশপ্রধান শহুদুল হক, দুজন পাকিস্তানি। বিচারিক আদালত তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, অন্য আসামিদের মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের দন্ড দিয়েছিলেন। সাক্ষী-প্রমাণ এবং জড়িতদের তালিকা বিশ্লেষণ করলে  অনেকটাই নিশ্চিত হয় যে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বয়ং প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও পুরো বিষয়টি তার জানা ছিল। ঘটনার পরপরই তিনি সবার পরামর্শ উপেক্ষা করে মওলানা তাজউদ্দিনকে রাতারাতি পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এবং এ ঘটনায় জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য জজ মিয়া নামক এক দিনমজুরকে আসামি বানিয়েছিলেন। ২০০১ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়েই বিএনপি সরকারের মদদপুষ্টরা সারা দেশে যে তান্ডব সৃষ্টি করেছিল তা বিশ্ববিবেককেও কম্পিত করেছিল। পূর্ণিমা শীলসহ শত শত নারীকে ধর্ষণ করেছিল বিএনপি নেতা-কর্মীরা, শত শত বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলেছিল তারা। বহু অমুসলিমকে দেশত্যাগে বাধ্য করে তাদের জমি ও বাড়ি দখল করেছিল সেই হার্মাদরা, যার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশনের প্রতিবেদনে। খালেদা জিয়া ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ নামে এক পরিকল্পনা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবাধে যাকে ইচ্ছা তাকে বিনা বিচারে খুন করার আদেশ দিয়েছিল ২০০২ সালে। যার ফলে কয়েক শ লোককে হত্যা এবং পঙ্গু করা হয়েছিল। ভুক্তভোগীরা ছিল আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য প্রগতিশীল দলের সদস্য। অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমেই দেশে বিচারবহিভর্‚ত হত্যাযজ্ঞের সূচনা হয়। যারা হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল তাদের আইনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য খালেদা জিয়া তার স্বামীর অনুকরণে একটি ইনডেমনিটি আইন করেছিলেন, যদিও হাই কোর্ট সে আইনকে বেআইনি ঘোষণা করেছিলেন। রাষ্ট্রীয় নির্দেশে বিচারবহিভর্‚ত হত্যাযজ্ঞের কোনো নজির বর্তমান বিশ্বে নেই।

সে সময়ের বিএনপি সরকার বিচার বিভাগকে আলাদা করার সাংবিধানিক নির্দেশনা অমান্য করে যাচ্ছিল যাতে তারা বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং যা তারা করছিল। সে সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ যথা তারেক রহমান, কোকো, মোর্শেদ খান, সাকা চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, সাদেক হোসেন খোকা প্রমুখ বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারের মহোৎসবে মেতে উঠছিল এবং এ ব্যাপারে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা পুলিশ সংস্থা এফবিআইর কর্মকর্তারা। তারেক রহমান এবং কোকোর সিঙ্গাপুরে পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর সরকার পাঠিয়ে দিলেও যুক্তরাজ্যের নেটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করা তারেক-মামুনের টাকা এখনো আমরা ফেরত পাইনি। তবে সে টাকা নেটওয়েস্ট ব্যাংক জব্দ করে রেখেছে। মোর্শেদ খান যে লাখ লাখ হংকং ডলার হংকংয়ে পাচার করেছে এবং সাকা চৌধুরীর কয়েক হাজার কোটি টাকা হংকং এবং সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জব্দ করলেও তা আমরা এখনো ফেরত পাইনি।

বিএনপির সময়ে গুপ্ত হত্যা, গুম এবং ধর্ষণ এত বেড়ে গিয়েছিল যে সব লোক ভয়ে জর্জরিত ছিল। বহু বিএনপি এবং ছাত্রদল নেতার হাতে থাকত অবৈধ অস্ত্র। সে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল তলানিতে, কারণ একদিকে খাদ্যসহ অন্যান্য সামগ্রীর আমদানি যেমন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছিল, অন্যদিকে তেমনি রপ্তানি বাণিজ্যও ছিল নিম্নমাত্রায়। প্রবাসী কর্মীরা প্রয়োজনীয় সুযোগের অভাবে টাকা পাঠাচ্ছিল হুন্ডির মাধ্যমে। রপ্তানি পণ্য এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা একেবারেই ছিল না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়, সহায়তা, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে শুধু ভারতের সঙ্গে অপরিহার্য সম্পর্ক নষ্টই করেনি, বরং আমাদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উদ্দেশে আনা ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ার পর প্রমাণ হলো অনেক কিছু। বিএনপি সরকারের সময়ে কালা জাহাঙ্গীর, মুরগি মিলন, সুইডেন আসলাম, সুব্রত প্রভৃতি ভয়ংকর মাস্তান জনজীবন দুর্বিষহ করেছিল। এদের ভয়ে লোকজন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জেলহত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, অপারেশন ক্লিনহার্টের আসামিদের বিচার না করে বিএনপি যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল তার জের বহু বছর চলেছে। মামলার জট কমানোর কোনো চেষ্টাই হয়নি।

উন্নয়নের ধারা ছিল নিম্নমুখী। তখন হাওয়া ভবন নামে একটি ভবনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল একটি বিকল্প বা সম্পূরক সরকার, যে সরকারের মুখ্য কাজ ছিল দুর্নীতি, টাকা পাচার, জঙ্গি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন দুষ্কর্মের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, যার কারণে হাওয়া ভবনের নাম শুনলে মানুষ আঁতকে উঠত। বিদেশনীতিতে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পন্থা বাদ দিয়ে হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানমুখী। পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দায় দেশ ভরে গিয়েছিল। বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার কোনো চেষ্টাই হয়নি, মূলত এজন্য যে পাচারকারীদের বেশির ভাগই ছিল বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ। তাদের সময়ে মারাত্মক উত্থান ঘটে ধর্ম ব্যবসায়ী এবং ধর্মীয় মৌলবাদীদের শক্তি, যার জের আমরা এখনো পোহাচ্ছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের শিকড় কেটে ফেলেছিল। সে সময়ে বহু প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিক হত্যা করেছিল বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্টরা। আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলকে সভা-মিছিল করা তো দূরের কথা, রাস্তায়ও বেরোতে দেওয়া হতো না। ছাত্র রাজনীতিকদের কাছে অস্ত্র এবং দুর্নীতির প্রচলন বিএনপি-জামায়াতের সময়েই দলীয় এবং সরকারি পরিকল্পনা মোতাবেক হয়েছিল। সে সময় ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল ১ কোটি অস্তিত্বহীন লোকের নাম দিয়ে, যা পরে বাদ দেওয়া হয়।

প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফেরার কয়েক মাস পর প্রথম বিলেত সফরে যেয়ে আমার এক ভাড়াটের ঘরে দেখা হলো বাংলাদেশের এক সিরামিক কোম্পানি মালিকের সঙ্গে। বিলেতে তার সিরামিক দ্রব্যাদি রপ্তানি করাই ছিল সফরের উদ্দেশ্য। তিনি বললেন, তার তৈরি থালাবাসন অনেক ক্রেতার পছন্দ হলে তারা কিনতে রাজি হয়, কিন্তু শর্ত দেয় যে ‘বাংলাদেশের তৈরি’ কথাটা মুছে ফেলতে হবে। কথাটি শুনে আমিও ক্ষিপ্ত হলাম এই ভেবে যে, আজ বিদেশে আমাদের দেশের মান-মর্যাদার এমন অধঃপতন হয়েছে? তখন বহু প্রবাসী বাংলাদেশি দেশের পরিচয় দিতে লজ্জা পেত। দুঃখ পেতাম এই ভেবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ জালিমরা দেশের ভাবমূর্তি কোন খাদে ফেলে দিয়েছে? বিদেশিরা তখন বাংলাদেশকে ভাবত জঙ্গি, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ এবং খুনিদের অভয়ারণ্য হিসেবে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো বিদেশি বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারত না, যার কারণে রপ্তানি বাণিজ্য বেড়ে ওঠেনি। যাতায়াতব্যবস্থা উন্নয়নের অভাবে গোটা অর্থনীতি ছিল বেহাল অবস্থায়। সেই বিএনপির সময় শাহ কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার প্রমুখের মতো অত্যন্ত সৎ, দেশের মহাসম্পদতুল্য রাজনীতিককে হত্যা করা হয়েছিল দলীয় মদদে। হত্যা করা হয়েছিল হুমায়ুন আজাদসহ বহু বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং শিল্পকলার ব্যক্তিত্বকে। গড়ে উঠেছিল কামাল সিদ্দিকীর মতো বহু দুর্নীতিবাজ উচ্চাভিলাষী, জনবিরোধী বেশ কিছু আমলা, যারা গণতন্ত্রে কুঠার মারার জন্য কাজ করছিল, পকেটস্থ করেছিল হাজার কোটি টাকা, যার জন্য বিএনপি সরকারের পরাজয়ের পর তারা দেশ থেকে পালিয়েছে। গড়ে উঠেছিল কহিনুরের মতো অত্যাচারী, দুর্নীতিবাজ, গণশত্রু বহু পুলিশ কর্মকর্তা, যারা আজও পলাতক। এদের অত্যাচারে মানুষ ছিল সদা শঙ্কিত। বিএনপি নেতৃবৃন্দ আজ বাকস্বাধীনতা গেল বলে গলা ফাটিয়ে ফেলছেন অথচ তাদের রাজত্বে কেউ সত্য নিয়ে মুখ খুললেই তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারাবলে আটক করা হতো। যে আইনে যে কোনো ব্যক্তিকে বিনা অপরাধে আটক করে বেশ কয়েক মাস আটকে রাখা যায় বিনা বিচারে। সেই আইনে প্রতিদিন শত শত লোককে আটক করা হতো, যে চর্চা গত ১২ বছরে একবারও হয়নি।

ডা. জাফরুল্লাহ ভাই যদি ওপরে লিখিত কথাগুলো ভুলে যেয়ে থাকেন তাহলে এ লেখাটি পড়লে তার সব মনে আসবে। শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র অসম্ভব, কিন্তু প্রথম শর্ত হলো সে দলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক হতে হবে। যে দলের কর্ণধার মুক্তিযুদ্ধকালে যুদ্ধাপরাধী এক পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তার আশ্রয়ে ছিলেন, যে কর্তার পাকিস্তানে মৃত্যুর পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর সব প্রটোকল ভঙ্গ করে আনুষ্ঠানিক শোকবার্তা পাঠিয়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে হতবাক করেছিলেন। যে দলের আর এক মহাজন একজন তালিকাভুক্ত রাজাকারের পুত্র, যে রাজাকার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বছর দুয়েক জেলে ছিলেন দালাল আইনে, যে দল সৃষ্টি করেছিল ’৭১-এ পরাজিত অপশক্তির লোকেরা যথা মুসলিম লীগ, জামায়াত, নেজামে ইসলাম এবং প্রকট চীনপন্থি যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, যে দল চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে আমাদের গর্বের পতাকা তুলে দিয়েছিল, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সুযোগ দিয়েছে সম্পদের পাহাড় গড়তে, তারা এ শর্ত পূরণে অক্ষম। দুর্নীতি যে আজ নেই সে কথা কেউ বলতে পারবে না কিন্তু বিএনপি যুগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারে দুর্নীতি যেমন স্থায়ী আবাস গেড়ে ছিল তা কিন্তু এখন নিশ্চিতভাবেই নেই।

সমুদ্র তলদেশে স্থাপন করা সাবমেরিন ক্যাবল যখন কর্তৃপক্ষ আমাদের বিনা পয়সায় দিতে চেয়েছিলেন, খালেদা জিয়া তখন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পরবর্তীকালে সেগুলো আমাদের ক্রয় করতে হয়েছে অতি উঁচু মূল্যে, বিদেশি মুদ্রায়। তখন বাংলাদেশ বিমান যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক কোম্পানির সঙ্গে ভুল চুক্তি স্বাক্ষর করায় পরে সেই কোম্পানি ব্রিটিশ আদালতে মামলা করলে সেই কোম্পানিকে কয়েক হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল বিমান, যা ছিল বিএনপি আমলের বিমান মন্ত্রণালয়ের অবিবেচনাসুলভ সিদ্ধান্তের ফল।

সে সময় বিএনপি সরকার প্রকাশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্য দেওয়া আফতাব নামক এক ব্যক্তিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে বসালে সেই কুখ্যাত লোকটি কোনো ধরনের বিধান অনুসরণ না করে এক হাজারের অধিক ব্যক্তিকে প্রভাষকসহ বহু পদে পদায়ন করেছিল। আমি হাই কোর্টে থাকাকালীন যাদের অপসারণের আদেশ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। সে সময় খালেদা জিয়া বেগুনবাড়ী এলাকায় বিএনপির বহু নেতাকে বস্তুত বিনামূল্যে জমি প্রদান করেছিলেন কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে। যার বিরুদ্ধে আমি রুল জারি করেছিলাম, যে মামলা হাই কোর্টে এখনো চলছে।

আর একটি কথা জাফর ভাইকে ভাবতে হবে। এটা তো অস্বীকার করার কোনো পথ নেই যে, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন আজ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার মান, গড় আয়ু বহুগুণ বেড়ে গেছে। বিএনপি কি এটা পারত? তাদের ইতিহাসে উন্নয়নের কোনো চিহ্নই দেখা যায় না বিধায় সহজেই বলা যায়, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশ যে তিমিরে ছিল সেখানেই থাকত।

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
সর্বশেষ খবর
শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি
সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন
ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার
অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা
পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত
রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ
বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে খাদে পড়ে প্রাণ গেলো পর্যটকের
বান্দরবানে খাদে পড়ে প্রাণ গেলো পর্যটকের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইজভান্ডারী তরিকার মূল শিক্ষা মানবকল্যাণ : কাদের গনি
মাইজভান্ডারী তরিকার মূল শিক্ষা মানবকল্যাণ : কাদের গনি

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিহার বিধানসভায় এনডিএর জয়যাত্রা, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়
বিহার বিধানসভায় এনডিএর জয়যাত্রা, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২২

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

৬ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা

২২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা, জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির
১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা, জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ

সম্পাদকীয়

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক ধারায়  ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন