শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১ আপডেট:

যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে!

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে!

অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কর্তৃক স্ববিরোধী কথাবার্তা এখন প্রতিনিয়ত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু সময় ধরে তিনি প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছেন যে তাঁর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ মাত্র কদিন আগেই তিনি বললেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব ঠিক হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তিনি আবার বিএনপির আসল কর্ণধার তারেক রহমানের সমালোচনা করেছেন। তাঁর এ স্ববিরোধী অবস্থানের সমন্বয় ঘটানো সম্ভব নয়। দুটি কিডনির বৈকল্যই সম্ভবত তাঁর এহেন দোদুল্যতার জন্য দায়ী। তবে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি যে কথা বলেছেন তা ঘেঁটে দেখা প্রয়োজন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভবিষ্যতে কী করতে পারে তা অনুধাবন করার সহজতম পন্থা হচ্ছে সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অতীত পর্যালোচনা। তাই এ লেখনীর মাধ্যমে আমি বিএনপির অতীতের দিকে বিজ্ঞ পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই, যাতে তারা অতীত ভুলে না যায় আর নতুন প্রজন্ম যেন এগুলো জানতে পারে।

আমি বিলেতে প্রবাসজীবনের ইতি ঘটিয়ে দেশে ফিরেছি। সেটা ছিল বিএনপি-জামায়াতের যৌথ রাজত্বকাল। ঢাকায় ফেরার পর যে সমস্যাগুলো আমাকে এবং আমার দুই মেয়েকে অস্থির করে তুলেছিল তার অন্যতম ছিল পানি সংকট। সেই সংকটের কারণে বেশ কদিন গোসল করতে পারিনি। তার সঙ্গে ছিল বিদ্যুৎ ঘাটতি। দিনের এক বড় সময় বিদ্যুতের অভাবে, বিশেষ করে আমার বিলেতে জন্ম হওয়া এবং বেড়ে ওঠা দুই মেয়ের জীবন এমনই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছিল যে তারা আমাকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল বিলেতে ফিরে যেতে। আমি তখন আইন পেশায় রত। তাই বিদ্যুৎ ঘাটতি আমার পেশাজীবনেও এনেছিল চরম দুর্গতি। দিশাহারা হয়ে পড়েছিল সব মানুষ, থমকে গিয়েছিল কলকারখানার চাকা, কৃষিকাজে সেচব্যবস্থা। দেশে বিরাজ করছিল চরম খাদ্য ঘাটতি, যার কারণে রাস্তায় বেরোলেই বহু বুভুক্ষু মানুষ ঘিরে ধরত একমুঠো খাবারের জন্য। উত্তর বাংলায় চলছিল মঙ্গা। অনাহারক্লিষ্ট মানুষের ছবি দেখে ভয় হচ্ছিল ১৯৪৩ সালে গোটা বাংলায় যে দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল, তা-ই হতে যাচ্ছে কি না।

আর একটি বড় সমস্যা ছিল আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণের ঘটনাগুলো এতই প্রকট হয়ে পড়েছিল যে সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট শূন্য হয়ে যেত। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো মানুষ রাস্তায় বের হতো না। সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যেত। কেউ পুলিশে নালিশ করলে পুলিশ অপারগতা প্রকাশ ছাড়া কিছুই করতে পারত না। কেননা যারা ত্রাস চালাচ্ছিল তারা ছিল বিএনপি সমর্থক এবং সহায়তাপ্রাপ্ত সরকারি মদদ পাওয়া। তাদের আইনের আওতায় আনার ধৃষ্টতা পুলিশ দেখাতে সাহস পেত না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্রদলের নেতাপাতারা চালাচ্ছিল ধর্ষণের অবাধ কারবার। কৃষি ক্ষেত্রে নেমেছিল অমানিশার অন্ধকার। বিদেশি খাদ্য সাহায্যের ওপর নির্ভর করছিল গোটা দেশ। চিকিৎসাব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে। প্রাচুর্যবান লোকেরা সামান্য অসুখ হলেই বিদেশে চলে যেতেন আর দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধুঁকে ধুঁকে প্রাণ হারাতেন। তখন মোবাইল ফোনের একচ্ছত্র মালিকানা দেওয়া হয় বিএনপি নেতা মোর্শেদ খানকে, যিনি তার ইচ্ছামতো মোবাইল সেটের মূল্য এবং কলরেট নির্ধারণ করতেন। তিনি একটা সেট বিক্রি করতেন ন্যূনতম ২ লাখ টাকায়। সে সময়ে খুব কম লোকের পক্ষেই এত টাকা দিয়ে মোবাইল কেনা সম্ভব হতো বলে হাতে গোনা কিছু ভাগ্যবান ওপরতলার ব্যক্তিই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারতেন।

বিএনপির সে সময়ের শাসনকালে জঙ্গিবাদ আফগানিস্তানে তালেবানদের তৎপরতার সঙ্গে তুলনীয় হয়ে পড়েছিল। কুখ্যাত বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে চলছিল জঙ্গি হামলা এবং খুনের মহোৎসব। বিএনপি সরকার বলছিল বাংলা ভাই নামে কেউ নেই, সবই মিডিয়ার সৃষ্টি। বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে বোমা ফাটিয়ে প্রচুর হতাহত ঘটানো হয়েছিল। একই দিন মুন্সীগঞ্জ ছাড়া দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জঙ্গিরা তাদের শক্তির মহড়া প্রদর্শন করেছিল। নিম্ন আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারকসহ বহু লোককে হত্যা করেছিল বিএনপি সরকারের সমর্থনপুষ্ট এ বাংলা ভাই বাহিনী। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভায় পাকিস্তান থেকে পাওয়া গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমানসহ বেশ কিছু লোককে হত্যা করা হয়। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে যারা এখনো ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে তাদের মূল টার্গেট, সে সময়ের বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও তিনি কান এবং চোখে আঘাত পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে এ ঘটনার বিচারের বিচারক সব সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে এই মর্মে রায় দিয়েছিলেন যে, পুরো পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন খালেদাপুত্র, তথা বিএনপির আসল চালক তারেক রহমান, যার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব, পলাতক হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সংসদ সদস্য মওলানা তাজউদ্দিন, নাসিরউদ্দিন পিন্টু, জামায়াত নেতা মুফতি হান্নান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর। এ ছাড়া জড়িত ছিল সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী ডিজিএফআই-প্রধান জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার রহিম, ছিল পুলিশপ্রধান শহুদুল হক, দুজন পাকিস্তানি। বিচারিক আদালত তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, অন্য আসামিদের মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের দন্ড দিয়েছিলেন। সাক্ষী-প্রমাণ এবং জড়িতদের তালিকা বিশ্লেষণ করলে  অনেকটাই নিশ্চিত হয় যে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বয়ং প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও পুরো বিষয়টি তার জানা ছিল। ঘটনার পরপরই তিনি সবার পরামর্শ উপেক্ষা করে মওলানা তাজউদ্দিনকে রাতারাতি পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এবং এ ঘটনায় জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য জজ মিয়া নামক এক দিনমজুরকে আসামি বানিয়েছিলেন। ২০০১ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়েই বিএনপি সরকারের মদদপুষ্টরা সারা দেশে যে তান্ডব সৃষ্টি করেছিল তা বিশ্ববিবেককেও কম্পিত করেছিল। পূর্ণিমা শীলসহ শত শত নারীকে ধর্ষণ করেছিল বিএনপি নেতা-কর্মীরা, শত শত বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলেছিল তারা। বহু অমুসলিমকে দেশত্যাগে বাধ্য করে তাদের জমি ও বাড়ি দখল করেছিল সেই হার্মাদরা, যার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশনের প্রতিবেদনে। খালেদা জিয়া ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ নামে এক পরিকল্পনা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবাধে যাকে ইচ্ছা তাকে বিনা বিচারে খুন করার আদেশ দিয়েছিল ২০০২ সালে। যার ফলে কয়েক শ লোককে হত্যা এবং পঙ্গু করা হয়েছিল। ভুক্তভোগীরা ছিল আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য প্রগতিশীল দলের সদস্য। অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমেই দেশে বিচারবহিভর্‚ত হত্যাযজ্ঞের সূচনা হয়। যারা হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল তাদের আইনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য খালেদা জিয়া তার স্বামীর অনুকরণে একটি ইনডেমনিটি আইন করেছিলেন, যদিও হাই কোর্ট সে আইনকে বেআইনি ঘোষণা করেছিলেন। রাষ্ট্রীয় নির্দেশে বিচারবহিভর্‚ত হত্যাযজ্ঞের কোনো নজির বর্তমান বিশ্বে নেই।

সে সময়ের বিএনপি সরকার বিচার বিভাগকে আলাদা করার সাংবিধানিক নির্দেশনা অমান্য করে যাচ্ছিল যাতে তারা বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং যা তারা করছিল। সে সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ যথা তারেক রহমান, কোকো, মোর্শেদ খান, সাকা চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, সাদেক হোসেন খোকা প্রমুখ বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারের মহোৎসবে মেতে উঠছিল এবং এ ব্যাপারে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা পুলিশ সংস্থা এফবিআইর কর্মকর্তারা। তারেক রহমান এবং কোকোর সিঙ্গাপুরে পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর সরকার পাঠিয়ে দিলেও যুক্তরাজ্যের নেটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করা তারেক-মামুনের টাকা এখনো আমরা ফেরত পাইনি। তবে সে টাকা নেটওয়েস্ট ব্যাংক জব্দ করে রেখেছে। মোর্শেদ খান যে লাখ লাখ হংকং ডলার হংকংয়ে পাচার করেছে এবং সাকা চৌধুরীর কয়েক হাজার কোটি টাকা হংকং এবং সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জব্দ করলেও তা আমরা এখনো ফেরত পাইনি।

বিএনপির সময়ে গুপ্ত হত্যা, গুম এবং ধর্ষণ এত বেড়ে গিয়েছিল যে সব লোক ভয়ে জর্জরিত ছিল। বহু বিএনপি এবং ছাত্রদল নেতার হাতে থাকত অবৈধ অস্ত্র। সে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল তলানিতে, কারণ একদিকে খাদ্যসহ অন্যান্য সামগ্রীর আমদানি যেমন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছিল, অন্যদিকে তেমনি রপ্তানি বাণিজ্যও ছিল নিম্নমাত্রায়। প্রবাসী কর্মীরা প্রয়োজনীয় সুযোগের অভাবে টাকা পাঠাচ্ছিল হুন্ডির মাধ্যমে। রপ্তানি পণ্য এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা একেবারেই ছিল না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়, সহায়তা, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে শুধু ভারতের সঙ্গে অপরিহার্য সম্পর্ক নষ্টই করেনি, বরং আমাদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উদ্দেশে আনা ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ার পর প্রমাণ হলো অনেক কিছু। বিএনপি সরকারের সময়ে কালা জাহাঙ্গীর, মুরগি মিলন, সুইডেন আসলাম, সুব্রত প্রভৃতি ভয়ংকর মাস্তান জনজীবন দুর্বিষহ করেছিল। এদের ভয়ে লোকজন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জেলহত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, অপারেশন ক্লিনহার্টের আসামিদের বিচার না করে বিএনপি যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল তার জের বহু বছর চলেছে। মামলার জট কমানোর কোনো চেষ্টাই হয়নি।

উন্নয়নের ধারা ছিল নিম্নমুখী। তখন হাওয়া ভবন নামে একটি ভবনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল একটি বিকল্প বা সম্পূরক সরকার, যে সরকারের মুখ্য কাজ ছিল দুর্নীতি, টাকা পাচার, জঙ্গি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন দুষ্কর্মের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, যার কারণে হাওয়া ভবনের নাম শুনলে মানুষ আঁতকে উঠত। বিদেশনীতিতে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পন্থা বাদ দিয়ে হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানমুখী। পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দায় দেশ ভরে গিয়েছিল। বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার কোনো চেষ্টাই হয়নি, মূলত এজন্য যে পাচারকারীদের বেশির ভাগই ছিল বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ। তাদের সময়ে মারাত্মক উত্থান ঘটে ধর্ম ব্যবসায়ী এবং ধর্মীয় মৌলবাদীদের শক্তি, যার জের আমরা এখনো পোহাচ্ছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের শিকড় কেটে ফেলেছিল। সে সময়ে বহু প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিক হত্যা করেছিল বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্টরা। আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলকে সভা-মিছিল করা তো দূরের কথা, রাস্তায়ও বেরোতে দেওয়া হতো না। ছাত্র রাজনীতিকদের কাছে অস্ত্র এবং দুর্নীতির প্রচলন বিএনপি-জামায়াতের সময়েই দলীয় এবং সরকারি পরিকল্পনা মোতাবেক হয়েছিল। সে সময় ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল ১ কোটি অস্তিত্বহীন লোকের নাম দিয়ে, যা পরে বাদ দেওয়া হয়।

প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফেরার কয়েক মাস পর প্রথম বিলেত সফরে যেয়ে আমার এক ভাড়াটের ঘরে দেখা হলো বাংলাদেশের এক সিরামিক কোম্পানি মালিকের সঙ্গে। বিলেতে তার সিরামিক দ্রব্যাদি রপ্তানি করাই ছিল সফরের উদ্দেশ্য। তিনি বললেন, তার তৈরি থালাবাসন অনেক ক্রেতার পছন্দ হলে তারা কিনতে রাজি হয়, কিন্তু শর্ত দেয় যে ‘বাংলাদেশের তৈরি’ কথাটা মুছে ফেলতে হবে। কথাটি শুনে আমিও ক্ষিপ্ত হলাম এই ভেবে যে, আজ বিদেশে আমাদের দেশের মান-মর্যাদার এমন অধঃপতন হয়েছে? তখন বহু প্রবাসী বাংলাদেশি দেশের পরিচয় দিতে লজ্জা পেত। দুঃখ পেতাম এই ভেবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ জালিমরা দেশের ভাবমূর্তি কোন খাদে ফেলে দিয়েছে? বিদেশিরা তখন বাংলাদেশকে ভাবত জঙ্গি, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ এবং খুনিদের অভয়ারণ্য হিসেবে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো বিদেশি বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারত না, যার কারণে রপ্তানি বাণিজ্য বেড়ে ওঠেনি। যাতায়াতব্যবস্থা উন্নয়নের অভাবে গোটা অর্থনীতি ছিল বেহাল অবস্থায়। সেই বিএনপির সময় শাহ কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার প্রমুখের মতো অত্যন্ত সৎ, দেশের মহাসম্পদতুল্য রাজনীতিককে হত্যা করা হয়েছিল দলীয় মদদে। হত্যা করা হয়েছিল হুমায়ুন আজাদসহ বহু বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং শিল্পকলার ব্যক্তিত্বকে। গড়ে উঠেছিল কামাল সিদ্দিকীর মতো বহু দুর্নীতিবাজ উচ্চাভিলাষী, জনবিরোধী বেশ কিছু আমলা, যারা গণতন্ত্রে কুঠার মারার জন্য কাজ করছিল, পকেটস্থ করেছিল হাজার কোটি টাকা, যার জন্য বিএনপি সরকারের পরাজয়ের পর তারা দেশ থেকে পালিয়েছে। গড়ে উঠেছিল কহিনুরের মতো অত্যাচারী, দুর্নীতিবাজ, গণশত্রু বহু পুলিশ কর্মকর্তা, যারা আজও পলাতক। এদের অত্যাচারে মানুষ ছিল সদা শঙ্কিত। বিএনপি নেতৃবৃন্দ আজ বাকস্বাধীনতা গেল বলে গলা ফাটিয়ে ফেলছেন অথচ তাদের রাজত্বে কেউ সত্য নিয়ে মুখ খুললেই তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারাবলে আটক করা হতো। যে আইনে যে কোনো ব্যক্তিকে বিনা অপরাধে আটক করে বেশ কয়েক মাস আটকে রাখা যায় বিনা বিচারে। সেই আইনে প্রতিদিন শত শত লোককে আটক করা হতো, যে চর্চা গত ১২ বছরে একবারও হয়নি।

ডা. জাফরুল্লাহ ভাই যদি ওপরে লিখিত কথাগুলো ভুলে যেয়ে থাকেন তাহলে এ লেখাটি পড়লে তার সব মনে আসবে। শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র অসম্ভব, কিন্তু প্রথম শর্ত হলো সে দলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক হতে হবে। যে দলের কর্ণধার মুক্তিযুদ্ধকালে যুদ্ধাপরাধী এক পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তার আশ্রয়ে ছিলেন, যে কর্তার পাকিস্তানে মৃত্যুর পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর সব প্রটোকল ভঙ্গ করে আনুষ্ঠানিক শোকবার্তা পাঠিয়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে হতবাক করেছিলেন। যে দলের আর এক মহাজন একজন তালিকাভুক্ত রাজাকারের পুত্র, যে রাজাকার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বছর দুয়েক জেলে ছিলেন দালাল আইনে, যে দল সৃষ্টি করেছিল ’৭১-এ পরাজিত অপশক্তির লোকেরা যথা মুসলিম লীগ, জামায়াত, নেজামে ইসলাম এবং প্রকট চীনপন্থি যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, যে দল চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে আমাদের গর্বের পতাকা তুলে দিয়েছিল, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সুযোগ দিয়েছে সম্পদের পাহাড় গড়তে, তারা এ শর্ত পূরণে অক্ষম। দুর্নীতি যে আজ নেই সে কথা কেউ বলতে পারবে না কিন্তু বিএনপি যুগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারে দুর্নীতি যেমন স্থায়ী আবাস গেড়ে ছিল তা কিন্তু এখন নিশ্চিতভাবেই নেই।

সমুদ্র তলদেশে স্থাপন করা সাবমেরিন ক্যাবল যখন কর্তৃপক্ষ আমাদের বিনা পয়সায় দিতে চেয়েছিলেন, খালেদা জিয়া তখন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পরবর্তীকালে সেগুলো আমাদের ক্রয় করতে হয়েছে অতি উঁচু মূল্যে, বিদেশি মুদ্রায়। তখন বাংলাদেশ বিমান যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক কোম্পানির সঙ্গে ভুল চুক্তি স্বাক্ষর করায় পরে সেই কোম্পানি ব্রিটিশ আদালতে মামলা করলে সেই কোম্পানিকে কয়েক হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল বিমান, যা ছিল বিএনপি আমলের বিমান মন্ত্রণালয়ের অবিবেচনাসুলভ সিদ্ধান্তের ফল।

সে সময় বিএনপি সরকার প্রকাশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্য দেওয়া আফতাব নামক এক ব্যক্তিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে বসালে সেই কুখ্যাত লোকটি কোনো ধরনের বিধান অনুসরণ না করে এক হাজারের অধিক ব্যক্তিকে প্রভাষকসহ বহু পদে পদায়ন করেছিল। আমি হাই কোর্টে থাকাকালীন যাদের অপসারণের আদেশ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। সে সময় খালেদা জিয়া বেগুনবাড়ী এলাকায় বিএনপির বহু নেতাকে বস্তুত বিনামূল্যে জমি প্রদান করেছিলেন কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে। যার বিরুদ্ধে আমি রুল জারি করেছিলাম, যে মামলা হাই কোর্টে এখনো চলছে।

আর একটি কথা জাফর ভাইকে ভাবতে হবে। এটা তো অস্বীকার করার কোনো পথ নেই যে, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন আজ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার মান, গড় আয়ু বহুগুণ বেড়ে গেছে। বিএনপি কি এটা পারত? তাদের ইতিহাসে উন্নয়নের কোনো চিহ্নই দেখা যায় না বিধায় সহজেই বলা যায়, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশ যে তিমিরে ছিল সেখানেই থাকত।

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
তিন রোগের সংক্রমণ
তিন রোগের সংক্রমণ
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
নফল ইবাদতের মাস মহররম
নফল ইবাদতের মাস মহররম
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
শিল্প-বাণিজ্যে হতাশা
শিল্প-বাণিজ্যে হতাশা
জাতীয় ঐকমত্য
জাতীয় ঐকমত্য
শ্রেষ্ঠত্ব শুধু তাকওয়ার কারণে
শ্রেষ্ঠত্ব শুধু তাকওয়ার কারণে
ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়
ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়
জনশূন্য চরজমিতে জীবিকা
জনশূন্য চরজমিতে জীবিকা
ওপরে হইচই ভিতরে কী
ওপরে হইচই ভিতরে কী
সর্বশেষ খবর
ধর্ষণসহ ২৩ অপরাধে অভিযুক্ত ভবিষ্যৎ রাজার পুত্র
ধর্ষণসহ ২৩ অপরাধে অভিযুক্ত ভবিষ্যৎ রাজার পুত্র

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে পানির ট্যাংক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪
রাজধানীতে পানির ট্যাংক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

পাঁচ ঘণ্টার নাটকীয় ম্যাচে বেনফিকার বিদায় ঘণ্টা বাজালো চেলসি
পাঁচ ঘণ্টার নাটকীয় ম্যাচে বেনফিকার বিদায় ঘণ্টা বাজালো চেলসি

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দিনের মতো এনবিআরে শাটডাউন
দ্বিতীয় দিনের মতো এনবিআরে শাটডাউন

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

৬ হাজার কোটি ডলার দান করে ইতিহাস ওয়ারেন বাফেটের
৬ হাজার কোটি ডলার দান করে ইতিহাস ওয়ারেন বাফেটের

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন
দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি নেত্রী শাহনাজ গ্রেফতার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি নেত্রী শাহনাজ গ্রেফতার

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি তিন বিলিয়ন ডলার
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি তিন বিলিয়ন ডলার

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেফালির মৃত্যুর কারণ জানা গেল, পুলিশ বলছে 'তবু চলবে তদন্ত'
শেফালির মৃত্যুর কারণ জানা গেল, পুলিশ বলছে 'তবু চলবে তদন্ত'

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

“স্বপ্নের ঘোড়া আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে দেবেন”
“স্বপ্নের ঘোড়া আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে দেবেন”

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

আজ ৫০ মিনিট আগেই কেন্দ্রে পৌঁছান সেই আনিসা, দিচ্ছেন পরীক্ষা
আজ ৫০ মিনিট আগেই কেন্দ্রে পৌঁছান সেই আনিসা, দিচ্ছেন পরীক্ষা

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ঋতুপর্ণা-কৌশিক-চঞ্চল এবার ‘ত্রিধারা’য় একসাথে
ঋতুপর্ণা-কৌশিক-চঞ্চল এবার ‘ত্রিধারা’য় একসাথে

৫০ মিনিট আগে | শোবিজ

দ্বিতীয়বার মা হলেন ইলিয়ানা, ছেলের নাম জানালেন ইনস্টাগ্রামে
দ্বিতীয়বার মা হলেন ইলিয়ানা, ছেলের নাম জানালেন ইনস্টাগ্রামে

৫০ মিনিট আগে | শোবিজ

কিশোরীকে পাঁচ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার
কিশোরীকে পাঁচ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সারা দেশে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি করবে এনসিপি
সারা দেশে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি করবে এনসিপি

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’
ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনও ম্যাচ না খেলেই ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ আলাবার
কোনও ম্যাচ না খেলেই ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ আলাবার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুলাউড়ায় মাদক সেবনের দায়ে তিনজনের কারাদণ্ড
কুলাউড়ায় মাদক সেবনের দায়ে তিনজনের কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা গুঁড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত
অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা গুঁড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্যরাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ
মধ্যরাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টরন্টোতে ঋত্বিক ঘটকের শতবর্ষ উদযাপন
টরন্টোতে ঋত্বিক ঘটকের শতবর্ষ উদযাপন

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ
কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন আমির
আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন আমির

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘সারা দেশের প্রেসক্লাবগুলো এক ছাতার নিচে আনার পরিকল্পনা চলছে’
‘সারা দেশের প্রেসক্লাবগুলো এক ছাতার নিচে আনার পরিকল্পনা চলছে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা, নিহত ৩
লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা, নিহত ৩

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাজমুল হোসেন শান্তর টেস্ট পরিসংখ্যান
নাজমুল হোসেন শান্তর টেস্ট পরিসংখ্যান

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গোপালগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গোপালগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল
প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা
ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প
এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না
মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা
আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ
এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল
ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা

১৭ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন
সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’
ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিমানবন্দরে ভাল্লুকের তাণ্ডব: ফ্লাইট বাতিল, রানওয়ে বন্ধ
বিমানবন্দরে ভাল্লুকের তাণ্ডব: ফ্লাইট বাতিল, রানওয়ে বন্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট
পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভেনিসে রাজকীয় আয়োজনে জেফ বেজোসের বিয়ে
ভেনিসে রাজকীয় আয়োজনে জেফ বেজোসের বিয়ে

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে শোকজ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে শোকজ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ
কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাসের পাতায় ইরান
ইতিহাসের পাতায় ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সড়ক ভবন লুটেছে ১৫ ঠিকাদার
সড়ক ভবন লুটেছে ১৫ ঠিকাদার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন
সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেফালীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য, ময়নাতদন্তেও মেলেনি সঠিক কারণ
শেফালীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য, ময়নাতদন্তেও মেলেনি সঠিক কারণ

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৪৯.২ ডিগ্রি তাপদাহের মধ্যেই আরব আমিরাতে শিলাবৃষ্টি!
৪৯.২ ডিগ্রি তাপদাহের মধ্যেই আরব আমিরাতে শিলাবৃষ্টি!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিল পেতে চাও যদি দাও ঘড়ি কিংবা নারী
বিল পেতে চাও যদি দাও ঘড়ি কিংবা নারী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত
বিএনপির নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব পড়বে?
ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব পড়বে?

পেছনের পৃষ্ঠা

দরজা বন্ধ বাংলাদেশিদের
দরজা বন্ধ বাংলাদেশিদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবরুদ্ধ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবরুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

অচল ব্যবসাবাণিজ্য
অচল ব্যবসাবাণিজ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে নারীর মামলা
দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে নারীর মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে গাড়িমেলা
আইসিসিবিতে গাড়িমেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ব্যবসায়ীদের
পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রয়োজনে আবারও লড়াইয়ে নামব
প্রয়োজনে আবারও লড়াইয়ে নামব

প্রথম পৃষ্ঠা

সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

মৌর ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’
মৌর ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’

শোবিজ

‘কাঁটা লাগা গার্ল’র ভাগ্য বদলে ছিল যেভাবে...
‘কাঁটা লাগা গার্ল’র ভাগ্য বদলে ছিল যেভাবে...

শোবিজ

ভেজাল খাদ্যে বাড়ছে মরণব্যাধি
ভেজাল খাদ্যে বাড়ছে মরণব্যাধি

নগর জীবন

হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’

সম্পাদকীয়

গাজায় নিহত লাখের বেশি ট্রাম্প বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি
গাজায় নিহত লাখের বেশি ট্রাম্প বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জের মুখে রাজস্ব অর্জন
চ্যালেঞ্জের মুখে রাজস্ব অর্জন

পেছনের পৃষ্ঠা

গুরু-শিষ্যের লড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে
গুরু-শিষ্যের লড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

ছুরি দেখিয়ে হুমকি প্রধান উপদেষ্টাকে অবশেষে গ্রেপ্তার
ছুরি দেখিয়ে হুমকি প্রধান উপদেষ্টাকে অবশেষে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই ইচ্ছাটি এখনো কষ্ট দেয় - সৈয়দ আবদুল হাদী
সেই ইচ্ছাটি এখনো কষ্ট দেয় - সৈয়দ আবদুল হাদী

শোবিজ

তারকাদের ভিন্ন প্রতিভা
তারকাদের ভিন্ন প্রতিভা

শোবিজ

প্যাডেল স্ল্যাম-২৫
প্যাডেল স্ল্যাম-২৫

মাঠে ময়দানে

ফুটবলে অন্যরকম দিন
ফুটবলে অন্যরকম দিন

মাঠে ময়দানে

জাপানে সেরা রুনার ‘নীলপদ্ম’
জাপানে সেরা রুনার ‘নীলপদ্ম’

শোবিজ

রাশেদ-অমিও জিতেছেন মুয়েথাই বেল্ট
রাশেদ-অমিও জিতেছেন মুয়েথাই বেল্ট

মাঠে ময়দানে

মারা গেলেন কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া
মারা গেলেন কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন
নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

বিশ্বাস করি বাংলাদেশও টেস্টে এগোবে
বিশ্বাস করি বাংলাদেশও টেস্টে এগোবে

মাঠে ময়দানে