সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জলবায়ু সম্মেলন

মানব সভ্যতা যেন হেরে না যায়

পৃথিবী নামের আমাদের এই গ্রহের মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ নির্ধারণী বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয়েছে গতকাল স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো নগরীতে। এই সম্মেলনের ফলাফলে নির্ধারিত হবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা কাক্সিক্ষত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা যাবে কি না। সম্মেলনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হবে কি হবে না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি ও বন উজাড় বন্ধ, আর কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবি আদায়ে গ্লাসগো সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনের পর গ্লাসগো সম্মেলন বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে বোদ্ধা মহলে। এর কারণ হলো পাঁচ বছর আগে ঐতিহাসিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বিশ্বনেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কতখানি তাঁরা রাখতে পেরেছেন, তা এবারের সম্মেলনে যাচাই হবে। এ বিষয়ে হবে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘গ্লাসগো সম্মেলন হলো মানুষ হিসেবে আমরা কেমন তার পরীক্ষা।’ জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্ববাসীর অস্তিত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এ লড়াইয়ে জিততে হলে মানব জাতিকে সুবুদ্ধি ও সুবিবেচনার অনুগামী হতে হবে। সাময়িক লাভের কথা বিবেচনা না করে মানব জাতির সার্বিক কল্যাণের কথা ভাবতে হবে। জলবায়ুর অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন যে সংকট সৃষ্টি করছে তার কারণ মানব জাতির কাছে এখন অজানা নয়। এর অপপ্রভাব কি বিপদ ডেকে আনছে সে বিষয়টিও আমাদের জানা। কীভাবে এ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, কীভাবে রক্ষা পাবে মানব জাতির অস্তিত্ব সে বিষয়টিও সবার সামনে পরিষ্কার। ফলে ১৩ দিনের সম্মেলনে সঠিক এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণে সব জাতিকে ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সামনের কাতারে বাংলাদেশ। দেশ ও জাতিকে অস্তিত্বের সংকট থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে প্যারিস সম্মেলনের মতো গ্লাসগোতেও বঙ্গবন্ধু কন্যা সোচ্চারভাবে তুলে ধরবেন বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ন্যায়সংগত দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর