শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

চাটুকাররাই একালের মোশতাক

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
চাটুকাররাই একালের মোশতাক

৮ আগস্ট ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং সরকার বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করে। মূল কর্মসূচির আয়োজন করেছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতাকে নিয়ে বেশ কিছু স্মৃতিচারণা করেন। একটি স্মৃতিচারণা ছিল খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। স্মৃতিচারণাটি এ রকম : ‘আশপাশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের দেশের মানুষের বোধহয় একটা চরিত্র আছে। সরকারে কেউ থাকলে তার আশপাশে যারা থাকে, তারা দেশের সার্বিক পরিস্থিতিটাকে খুব সুন্দর করে দেখানোর চেষ্টা করে। সে সময় সারা দেশের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বঙ্গমাতার যোগাযোগ হতো। দেশের কোথায় কী হচ্ছে তা-ও আমার মা জানতেন। মা আব্বাকে বললেন, চালের দাম কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে। আব্বা অফিসে এসে খবর নিলেন। অফিসে একজন জানালেন, তত দাম না, এই দাম। আব্বা মাকে বললেন, আমি তো ওদের খবর নিতে বললাম, ওরা বলল এত কম। একটা অল্প দাম বলা হলো। তখন মা আব্বাকে বললেন, তোমাকে ঠিক তথ্য দেয়নি। তোমাকে টাকা দিচ্ছি, যে বলেছে তাকে বল আমাকে এক মণ চাল কিনে দিতে। তিনি সত্যি টাকা দিলেন। কিন্তু ওই দামে আর চাল পাচ্ছে না। তখন মা আব্বাকে বললেন, এরা সব সময় তোমাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তুমি এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।’ ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ। এ ঘটনার বহুমাত্রিক ব্যাখ্যা আছে। প্রথমত, সরকার -প্রধানের চারপাশে যারা থাকে তারা বিভ্রান্ত করে। সব ঠিকঠাক আছে দেখাতে চায়। প্রকৃত তথ্য গোপন করে। এ চাটুকারিতার ফলে সরকারপ্রধান এবং সরকারের ক্ষতি হয়। কোনো লাভ হয় না। দ্বিতীয়ত, সরকার যিনি পরিচালনা করেন তাঁর নিজস্ব তথ্যের উৎস থাকাটা জরুরি। যেন তিনি সত্য ও সঠিক খবরটা পান। তাহলে তাঁর বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকে না। তৃতীয়ত, সরকার -প্রধানের কাছে নিঃস্বার্থ ব্যক্তি থাকা খুবই জরুরি। যিনি বা যারা তাঁর (সরকারপ্রধান) মঙ্গল এবং দেশের মঙ্গল চিন্তা করবেন। সবকিছুতে নিজের লাভ খুঁজবেন না।

সরকারপ্রধান জানেন তাঁর আশপাশে যারা আছেন তারাও পরিস্থিতিটা খুব সুন্দর করে দেখাতে চান। সত্য গোপন করেন। ’৭৫-এ যারা এভাবে চাটুকারিতা করে বঙ্গবন্ধুকে ভুল তথ্য দিয়েছিল সেই গোষ্ঠী এখনো সক্রিয়। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতির কথাই ধরা যাক। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের ডেকে আর্তনাদ করলেন। তাঁর কথার ধরন, বাচনভঙ্গিতে মনে হলো তিনি রাষ্ট্রের ত্রাতা। দেশ এক ডুবন্ত জাহাজ। বললেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এজন্য সহনীয় পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো। ভালো কথা। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভর্তুকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। সবকিছুতে লাগামহীন ভর্তুকি একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নে বড় বাধা। তেলের দাম যদি আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ে তাহলে তো দাম বাড়ানোই যৌক্তিক। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী এত দিন কোথায় ছিলেন? যখন বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। ব্যারেলপ্রতি ১৭০ ডলার ছুঁয়েছিল তখন তিনি দাম বাড়াননি কেন? সে সময় তিনি কীসের অপেক্ষা করছিলেন? যেন সরকারের অর্থনৈতিক সংকট একটু গভীর হয়। এখন যখন তেলের দাম কমছে, সামনে আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে তখন তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? সরকারকে বিব্রত করার জন্য? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কথাবার্তা অসংলগ্ন, এলোমেলো। তিনি বললেন, ‘তেলের দাম না বাড়লে আমি দেউলিয়া হয়ে যেতাম।’ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললেন, ‘আমি প্রাইস বাড়াচ্ছি কারণ আমার দেউলিয়াত্ব থেকে আমি বাঁচতে চাই। আমার তো তহবিল খালি হয়ে যাচ্ছে।’ সত্যি তো উদ্বেগের কথা। একটি সরকারের অন্যতম কাজ হলো পরিস্থিতি অনুধাবন করে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা। যুদ্ধ শুরু হলো ফেব্রুয়ারিতে। আর প্রতিমন্ত্রী আগস্টে এসে যুদ্ধ যুদ্ধ করছেন কেন? তার মানে পরিস্থিতির বাস্তবতা অনুধাবনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। সময়ের কাজটা সময়মতো করেননি। প্রতিমন্ত্রী বলছেন, বিপিসি দেউলিয়া হয়ে যেত। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে অন্য কথা। সরকারের হিসাব অনুযায়ী গত মে পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পুঞ্জীভূত মুনাফা ৪৮ হাজার কোটি টাকা। হিসাবপত্রে দেখা যায় দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যাংক গ্রাহক প্রতিষ্ঠান বিপিসি। তাহলে কোনটা সত্যি? এ প্রশ্ন নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন বিপিসি টাকার হিসাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করল গত বুধবার। বিপিসির হিসাব দেখে আমার মোল্লা নস্রুদ্দীনের একটি গল্প মনে পড়ে গেল। মোল্লা বাজার থেকে ১ কেজি মাংস কিনে স্ত্রীকে রান্না করতে দিলেন। বললেন, আমি ঘুরে এসে খাব। এর মধ্যে স্ত্রীর আত্মীয়স্বজন বেড়াতে এলো। মোল্লার স্ত্রী ওই মাংস রান্না করে নিজের আত্মীয়স্বজনকে আপ্যায়িত করলেন। মোল্লা ফিরে এসে খেতে বসলেন। দেখলেন মাংস নেই। অবাক হয়ে মোল্লা স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন মাংস কই। মোল্লার স্ত্রী বললেন, মাংস বিড়াল খেয়ে ফেলেছে। মোল্লা নস্রুদ্দীন বিড়ালকে ধরলেন। বাটখারা দিয়ে বিড়াল ওজন করলেন। বিড়ালের ওজনও ১ কেজি। মোল্লা তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন এটাই যদি মাংস হয় তাহলে বিড়াল কই আর এটা যদি বিড়াল হয় তাহলে মাংস কই। বিপিসির লাভের টাকায় উন্নয়ন হয়েছে। মোল্লার মতো আমাদেরও জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে, বিপিসির লাভের টাকা কই আর টাকা দিয়ে যদি উন্নয়ন হয়, সে উন্নয়ন কোথায়? আসলে প্রতিমন্ত্রী নন, সাবেক এবং বর্তমান আমলারা মিলেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমন সময় নিয়েছেন যখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে। তার মানে সরকারকে হেয় করতেই এটা করা হচ্ছে। চাটুকাররা নিশ্চয়ই সরকারপ্রধানকে বলেছেন, দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। দাম সহনীয় পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে। একসঙ্গে এত বিপুল মূল্যবৃদ্ধির ফলে সবকিছুতে যে আগুন লেগেছে তা সরকারপ্রধানকে কে বলবে? এর মধ্যে শুরু হয়েছে চাটুকারদের তারস্বরে চিৎকার। মানুষের কষ্ট নেই। মানুষ এখনো জামাকাপড় পরে ঘোরে। কেউ না খেয়ে নেই এসব কথা বলতে বলতে কোনো কোনো মন্ত্রী নিজেরাই বেসামাল হয়ে গেছেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই ছুটে গিয়েছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। বলেছিলেন, ‘বেতন বাড়ানো হয়েছে তাই দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।’ কিন্তু চাটুকাররা কি প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনেছে? গত জুনে সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড জানালেন, ‘সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির তথ্য চায়নি।’ সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে একটু বিস্মিত হলাম। ডলার সংকটে এক অস্থিরতা চলছে। খোলাবাজারে ডলারের দাম ১২০ টাকা। অর্থমন্ত্রী পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেছেন। অথচ সরকার সুইস ব্যাংকে কারা অর্থ রাখল সেই তথ্য চাইল না কেন? আমার ভাবনার দরজা খুলে দিল বছরখানেক আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনের এক বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, ‘বিদেশে বাড়ি-সম্পদ বেশি আমলাদের। আমরা মনে করতাম রাজনীতিবিদদেরই বোধহয় কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি। কিন্তু আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম আমলারাই এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ।’ এজন্যই পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। এখন আবার ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ ছাড়। অর্থ পাচারকারীদের জামাই আদর দেওয়ার আয়োজন চলছে। আমলা বলে কথা। চাণক্যের অর্থশাস্ত্রের বয়স প্রায় ২ হাজার বছর হবে। দুই বছর আগেও আমলাদের কথা উঠে এসেছে চাণক্যের লেখায়। চাণক্য লিখেছেন, ‘জিবের ডগায় বিষ বা মধু থাকলে তা না চেটে থাকা যেমন অবাস্তব তেমনি অসম্ভব হলো সরকারের তহবিল নিয়ে লেনদেন করে একটুকুও সরকারের সম্পদ চেখে না দেখা। জলে বিচরণরত মাছ কখন জল পান করে তা জানা যেমন অসম্ভব তেমনি নির্ণয় করা সম্ভব নয় কখন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা তহবিল তছরুপ করে।’ চাণক্য লিখেছেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা দুই ভাবে বড়লোক হয়- হয় তারা সরকারকে প্রতারণা করে। অন্যথায় প্রজাদের অত্যাচার করে।’ সরকারের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা বেগমপাড়া, নিউইয়র্কে, লন্ডনে সম্পদ গড়েছে। এখন জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়ে, দ্রব্যমূল্যের লাগাম ছাড়া ঊর্ধ্বগতি ঘটিয়ে, বাসভাড়া নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রশ্রয় দিয়ে প্রজাদের সঙ্গে অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি নিশ্চিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ যে মহাসংকটে পড়েছে তা প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর কেউ নেই। একজন বঙ্গমাতা নেই যিনি সরকারপ্রধানকে বলবেন, দেশের মানুষ কষ্টে আছে চালের বাজারে আগুন, গণপরিবহনে নৈরাজ্য, মধ্যবিত্ত দিশাহারা। এমন কেউ নেই যিনি বলবেন, ১ ঘণ্টার লোডশেডিং এখন ৬ ঘণ্টায় ঠেকেছে। যিনি বলবেন, ওরা তোমাকে ঠিক তথ্য দিচ্ছে না। এরা আসলে চাটুকার। এরা সবকিছু ঠিকঠাক দেখানোর চেষ্টা করে। তথ্য গোপন করে।

বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে। ঋণ বাংলাদেশ চাইতেই পারে। এমন না বাংলাদেশ আগে কখনো ঋণ চায়নি। কিন্তু এবার ঋণ নিয়ে যেন একটু বেশি হইচই। কারণ কী? ‘আশপাশের মানুষ’। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর দেখালেন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ বিলিয়নের ওপর। এখন তা ৪০ বিলিয়নের কিছু নিচে। এটা হতেই পারে। রিজার্ভ কমবেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আইএমএফ প্রতিনিধি দল এসে বলল, রিজার্ভের হিসাব ঠিক নেই। এটা যেন ‘গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নেই’র মতো ঘটনা। সাবেক গভর্নর সাবেক আমলাও বটে। তথ্য দিয়ে সংকট ঢেকে রাখার কৌশল তিনি ভালোই জানতেন। বর্তমান গভর্নরও আমলা। তিনি এসে বললেন, ‘অর্থনীতি সংকটে। আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।’ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করবে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা ঠিক করবে। খেলাপি ঋণ বন্ধ করবে। টাকা পাচার রোধ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কবে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন বুঝলাম না। একদল আমলা বলছে সব ঠিক আছে। অন্য দল বলছে সংকট। দুটোই চাটুকারিতা। দুটোই সরকারকে বিব্রত করছে। আইএমএফের সফরের পর আমলা ও চাটুকারদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হলো। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা সবার কাছে এখন ঋণের জন্য ধরনা দেওয়া হচ্ছে। তাহলে আসলে আমাদের রিজার্ভ কত? বিভ্রান্তি এমন পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে রিজার্ভ সম্পর্কে কোনো তথ্যই এখন আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। অন্তত মানুষ বিশ্বাস করে না। এমনিতেই বাংলাদেশের মানুষের পারস্পরিক আস্থা কম। আশির দশকে অধ্যাপিকা রাজিয়া আক্তার বানু এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষের পারস্পরিক আস্থা অত্যন্ত কম। তার সমীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী একে অন্যকে বিশ্বাস করে। শহরাঞ্চলে পারস্পরিক আস্থার হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন মাত্র দুজন নেতা। একজন বঙ্গবন্ধু, অন্যজন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল তার আশপাশের লোকজন। তারা তথ্য গোপন করত। মিথ্যা তথ্য দিত। যা প্রধানমন্ত্রীর ৮ আগস্টের বক্তব্যে উঠে এসেছে। এখন সেই একই গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রীকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। জনগণের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। সে সময় যারা চাটুকারিতা করে তথ্য গোপন করত তারা ছিল ’৭৫-এর খুনি মোশতাক এবং তার দোসররা। এখন যারা চাটুকারিতা করে সত্য আড়াল করছে, সরকারপ্রধানকে আসল তথ্য দিচ্ছে না। কৃত্রিমভাবে সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চাইছে তারা নব্য মোশতাক। আমাদের অর্থনীতি ভালো। সব ঠিক আছে এসব বলার দরকার কী? এসব বলে আবার আইএমএফের কাছে হাত পাতারই বা প্রয়োজন কেন? দুটো স্ববিরোধী। আইএমএফ হলো একালের মহাজন। এ সম্পর্কে ড. আকবর আলি খানের ‘মোল্লা নস্রুদ্দীনের অর্থনীতি’ প্রবন্ধের কিছু অংশ উল্লেখ না করে পারছি না। ড. আকবর আলি খান লিখেছেন, ‘সাতশ বছর আগে মোল্লা যখন মারা যান তখন বিশ্বব্যাংক অথবা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কথা কেউ কল্পনা করেনি। এমনকি ওয়াশিংটন শহরে, যেখানে প্রতিষ্ঠান দুটির সদর দফতর অবস্থিত, সেখানে কোনো শহরই ছিল না, আদৌ কোনো বসতি ছিল কি না তা সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু মোল্লা বিশ্বব্যাংক বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল না দেখলেও অনেক মহাজন দেখেছেন। মহাজনদের আচরণ জানতে পারলেই এ দুটো প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি আঁচ করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে মোল্লার একটি কাহিনি মনে পড়ছে। কথিত আছে, মোল্লা নস্রুদ্দীনের একটি হাতি দেখে খুবই পছন্দ হয়। তিনি হাতিটি কেনার অর্থ সংগ্রহের জন্য মহাজনের দোরে গিয়ে হাজির হলেন। মোল্লা মহাজনকে বললেন, আমাকে কিছু টাকা ধার দিন। মহাজন বললেন, কেন? মোল্লা জবাব দিলেন, আমি একটি হাতি কিনতে চাই। মহাজন প্রশ্ন করলেন, তোমার যদি টাকা না থাকে তুমি হাতি পালবে কী করে? মোল্লা আক্ষেপ করে বললেন, আমি আপনার কাছে টাকার জন্য এসেছি, উপদেশের জন্য নয়।

যে-কোনো উন্নয়নশীল দেশের অর্থমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে মোল্লার আক্ষেপই শোনা যাবে। এই তো কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো যান। আলোচনার পর সাংবাদিকরা রাশিয়ার তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী প্রিমাকভের কাছে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চান। প্রিমাকভ সাংবাদিকদের জানান, তিনি আশা করেছিলেন মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় তাঁর ব্রিফকেস ভর্তি করে ডলার নিয়ে এসেছেন; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি তাঁর ব্রিফকেস ভর্তি করে নিয়ে এসেছেন শর্তের কাগজপত্র। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের শর্তাবলি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন।’ (সূত্র : পরার্থপরতার অর্থনীতি; আকবর আলি খান; পৃষ্ঠা-৪০)

আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হওয়াটা আমলাদের চিরন্তন শখ। এর ফলে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব কমে। মন্ত্রীদের পুতুল বানিয়ে রাখা যায়। সবকিছুতে আইএমএফের ভূত দেখিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে কাবু রাখার এটি আমলাতান্ত্রিক মহৌষধ। আমরা যখন মহাজনের কাছে ধরনা দিচ্ছি তখন নিশ্চয়ই দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক ছন্দে নেই। এটা হতেই পারে। মানুষের জীবনে ভালো সময় আসে খারাপ সময় আসে। খারাপ সময় কোনো গোপন করার বিষয় না। বরং সবাইকে নিয়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়াটাই প্রকৃত পন্থা। জনগণকে সত্যটা জানানো জরুরি। যেমন জাতির পিতা খোলামেলা কথা বলতেন। জনগণকে সত্য বলতেন। ১৯৭২ সালের ৯ মে রাজশাহীতে এক বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘যে যা বলুক না কেন, আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই, আমি আপনাদের ধোঁকা দিতে পারব না... তিন বছর আপনাদের কিছু দিতে পারব না...।’ প্রধানমন্ত্রীও তাঁর ভাষণে বিশ্ব বাস্তবতায় সংকটের কথা বলছেন। সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বলেছেন। আর অন্যরা চাটুকারিতা করে সার্বিক পরিস্থিতি ভালো দেখানোর চেষ্টা করছেন। জনগণকে প্রকৃত অবস্থা জানাতে হবে। স্বপ্লোন্নত দেশ হলে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বেই। রাষ্ট্রের ভর্তুকিতে দিনরাত শীতাতপ বিলাস করা যাবে না। রাষ্ট্রের সম্পদ গ্যাসের যথেচ্ছ অপচয় বন্ধ করতে হবে। এ সত্যগুলো সাহস করে বলতে হবে। কিন্তু অসত্য বিভ্রান্তিকর এবং স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে সবকিছু ঠিক দেখানোর এক ভয়ংকর প্রবণতা চলছে। যারা চাটুকারিতার জন্য এসব করছেন তাদের পূর্বসূরিরা বঙ্গবন্ধুকেও বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাকে নিয়ে যে ঘটনাটি বলেছেন তা নিয়ে কথা হচ্ছিল আওয়ামী লীগের এক ত্যাগী নেতার সঙ্গে।

তিনি বললেন, আগেকার কর্মচারীদের (আমলা) ন্যূনতম সততা ছিল। এজন্য বঙ্গমাতার দেওয়া টাকায় সে চাল কেনেনি। এখনকার কর্মচারী (আমলা) হলে কী করত জানেন? আমি তার কথায় ব্যাপক আগ্রহ পেলাম। প্রবল উৎসাহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কী করত? আওয়ামী লীগের ওই নেতা হাসতে হাসতে বললেন, ‘একালের আমলারা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে চাল কিনত। বঙ্গমাতার টাকা থেকে কিছু টাকা ফেরত দিত। বঙ্গবন্ধুকে বলত, স্যার আমি চালের দাম একটু বেশি বলেছি। আসলে চালের দাম আরও কম। বঙ্গমাতা যে টাকা দিয়েছেন তা থেকে কিছু টাকা বেঁচে গেছে।’ তার কথা শুনে আমি বাকরুদ্ধ। তিনি বললেন, একালের আমলারা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই বিভ্রান্ত করত না, তারা বঙ্গমাতাকেও বিভ্রান্ত করত। আমলা এবং চাটুকাররা বঙ্গমাতাকেও এমনভাবে ঘিরে রাখত যেন তিনি জানতেও পারতেন না চালের দাম কত।

তা ছাড়া আগে আওয়ামী লীগের তৃণমূল বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসত দেশকে ভালোবাসত, জনগণকে ভালোবাসত। এখন তৃণমূল শুধু নিজেদের ভালোবাসে। বঙ্গমাতাকে যেমন নেতা-কর্মীরা সাহস করে চালের দাম বাড়ার কথাটা বলেছে। এখনকার হাইব্রিডরা বলবে ‘মানুষ না খেয়ে নেই। থাকবেও না।’ সত্যপ্রবাহের ধমনিই এখন অকেজো হয়ে গেছে।

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে কি জানালেন জয়শঙ্কর
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে কি জানালেন জয়শঙ্কর

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টরন্টোয় শিরীন চৌধুরীর ‘পরান যাহা চায়’ সঙ্গীত সন্ধ্যা
টরন্টোয় শিরীন চৌধুরীর ‘পরান যাহা চায়’ সঙ্গীত সন্ধ্যা

১ মিনিট আগে | পরবাস

ফেনীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত
ফেনীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে ফেনসিডিলসহ আটক ৩
মুন্সীগঞ্জে ফেনসিডিলসহ আটক ৩

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খুলনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা ক্যাম্পেইন
খুলনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা ক্যাম্পেইন

১৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জুবিনের জন্মদিনে স্ত্রী গরিমার আবেগঘন বার্তা
জুবিনের জন্মদিনে স্ত্রী গরিমার আবেগঘন বার্তা

১৭ মিনিট আগে | শোবিজ

সৌদিকে ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র ঘোষণা ট্রাম্পের
সৌদিকে ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র ঘোষণা ট্রাম্পের

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ব্যানফ ফেস্টিভালে' এভারেস্টজয়ী নিশাতকে নিয়ে তথ্যচিত্র
'ব্যানফ ফেস্টিভালে' এভারেস্টজয়ী নিশাতকে নিয়ে তথ্যচিত্র

২৩ মিনিট আগে | শোবিজ

প্রাচীনকালে চাঁদে তুষারপাত হতো ধারণা বিজ্ঞানীদের
প্রাচীনকালে চাঁদে তুষারপাত হতো ধারণা বিজ্ঞানীদের

২৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ৬০ স্টল
ঠাকুরগাঁওয়ে বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ৬০ স্টল

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসা আবেদন নিয়ে জার্মান দূতাবাসের সতর্কবার্তা
ভিসা আবেদন নিয়ে জার্মান দূতাবাসের সতর্কবার্তা

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কাউখালীতে নাশকতার অভিযোগে আটক ৫
কাউখালীতে নাশকতার অভিযোগে আটক ৫

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন
কুমিল্লায় ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিডনি দান ও ৫৬ বার রক্ত দেওয়া সেই মুন্না আজ মৃত্যুর মুখে
কিডনি দান ও ৫৬ বার রক্ত দেওয়া সেই মুন্না আজ মৃত্যুর মুখে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মঙ্গলগ্রহে অচেনা শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার
মঙ্গলগ্রহে অচেনা শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বেড়েছে শীতের আমেজ
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বেড়েছে শীতের আমেজ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের তালিকায় সৌদি
ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের তালিকায় সৌদি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর
জাতিসংঘ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেই আফিয়ার পিতৃত্বের স্বীকৃতি পেতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন
সেই আফিয়ার পিতৃত্বের স্বীকৃতি পেতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন