রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রবণতা বেড়েছে। গত রবিবার বাসচাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানা। তার মৃত্যুতে সহপাঠীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এ দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই সোমবার পৃথক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পিকআপের ধাক্কায় হাজারীবাগে মৃত্যু হয়েছে এক নারীর। পল্লবীতে দুই বাইকের সংঘর্ষে মারা গেছেন এক ব্যবসায়ী। বেড়িবাঁধ দিয়ে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন নূরজাহান বেগম। এ সময় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মারা যান তিনি। তার স্বামী সামান্য আহত হন। পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করে চালককে আটক করা হয়েছে। এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানাকে চাপা দেওয়া বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় মিরপুরের শাহ আলী এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রবিবার ক্লাস না থাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে তার মোটরসাইকেলে করে বই কিনতে উত্তরার বাসা থেকে ভাটারা এলাকায় যাচ্ছিল নাদিয়া। কুড়িল বিশ্বরোডে তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাস। এতে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে। বাসটি নাদিয়ার মাথার ওপর দিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আহত হয় মোটরসাইকেল চালক নাদিয়ার সহপাঠী। রাজধানীতে যানজটের কারণে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর সুযোগ কম। তবে বাস ট্রাক পিকআপ ভ্যানের চালকরা একটু ফাঁকা পেলেই কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে গাড়ি চালানোর কসরত করায় দুর্ঘটনা অনিবার্য হয়ে ওঠে। রাজধানীতে যেসব টাউন সার্ভিস বাস চলাচল করে তার দু-একটি বাদে সিংহভাগই চলছে ফিটনেস ছাড়াই জোড়াতালি দিয়ে। বাস ও ট্রাকের বিষাক্ত ধোঁয়া রাজধানীর বায়ুদূষণে মদদ জোগাচ্ছে। সড়ক শৃঙ্খলা না থাকায় রাজধানীতে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহন চালকদের কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় লাগাম পরাতে হবে। এ বিষয়ে গাড়িচালক, পথচারী এবং ট্রাফিক পুলিশ সবার সচেতনতার বিকল্প নেই।