জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসুর গ্রেফতারের ঘটনায় হতবাক হয়েছেন অনেকেই। ২০০২ সালে যে শিশু অভিনেত্রী মকড়ি ছবিতে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে সকলের মনজয় করে নিয়েছিল, ১২ বছর পর সেই মেয়েই কিনা দেহব্যবসায় জড়িয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল! গত রবিবার রাতে হায়দ্রাবাদের বাঞ্জারা হিলসের একটি হোটেল থেকে দেহ ব্যবসার অভিযোগে শ্বেতাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বেশ কয়েকটি মেডিকেল পরীক্ষা হয় শ্বেতার উপর। আপাতত হায়দ্রাবাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ২৩ বছরের শ্বেতাকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী আগামী ৩ মাস সেখানেই থাকবেন তিনি।
অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত থাকায় যে সব নারীদের পুলিশ উদ্ধার বা গ্রেফতার করে তাদের বিচার চলা পর্যন্ত এই ধরণের পুনর্বাসন কেন্দ্র আশ্রয় দেওয়া হয়। এই আশ্রয় কেন্দ্রে বাকিদের মতো সাধারণভাবেই রয়েছেন শ্বেতা। এখানে তাঁকে বিনামূল্যে খাবার, জামাকাপড়, ওযুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে এই কেন্দ্রেই তাঁকে নানা বৃত্তিমূলক শিক্ষাও দেওয়া হচ্ছে।
পেটের দায়েই শ্বেতাকে যে এই পেশায় পা দিতে হয়েছিল- সে আক্ষেপের কথা নিজের মুখেই জানিয়েছেন শ্বেতা। শ্বেতার কথায়, ভুল পেশা (অভিনয়) বেছেছিলাম। হাতে টাকা ছিল না। পরিবারের দায়িত্ব আমারই কাঁধে। আমার কাছে আর কোনও পথ খোলা ছিল না।
শ্বেতা এও জানিয়েছেন যে, তিনি ধরা পড়েছেন বলে তাঁকে নিয়ে কথা বলছে লোকে। কিন্তু তিনি একা নন আরও বহু অভিনেত্রীই রয়েছেন যাঁরা টাকার অভাবে পতিতাবৃত্তি বেছে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শ্বেতার সঙ্গে এই যৌন চক্রের দালাল বালু নামেও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বলিউড ছবি মকড়ি ছাড়াও ইকবাল ছবিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। এছাড়াও একতা কাপুরের জনপ্রিয় সিরিয়াল কাহানি ঘর ঘর কি-তে এবং করিশমা কা করিশমা ধারাবাহিকে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন শ্বেতা।