কেমন আছেন?
গান আর ঈদের নানা কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ততা যাচ্ছে। কিন্তু ব্যস্ততা আমি বরাবরই উপভোগ করি। তাই ভালোই আছি।
ঈদে দর্শকরা আপনার কাছ থেকে নতুন কি পেতে যাচ্ছে?
প্রায় সব ঈদেই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আমি গান পরিবেশন করি। এবারও তাই করছি। পাশাপাশি এবার ঈদে দর্শকদের সামনে আসছি একটু অন্যভাবে। এবার ঈদে বাংলাভিশনের দুটি গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। 'জীবনের গল্প' নামের অনুষ্ঠানটি এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে নির্মিত। আর শাফিন ও হামিন আহমেদকে নিয়ে নির্মিত অনুষ্ঠানটির নাম 'আমারে দেব না ভুলিতে'। সম্প্রতি বিএফডিসিতে অনুষ্ঠান দুটির শুটিং শেষ হয়েছে।
উপস্থাপনা নিয়ে কিছু বলুন।
আমি এর আগে আরও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছি। এসব অনুষ্ঠানে আমি মুখোমুখি হয়েছি ফেরদৌসী রহমান, রুনা লায়লার মতো কিংবদন্তির। এবারের দুটি অনুষ্ঠানে আমি মুখোমুখি হয়েছি এন্ড্রু কিশোর এবং শাফিন ও হামিনের সঙ্গে। তাদের সবার সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডা দিতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। বেশ এনজয় করেছি। আমার ধারণা অনুষ্ঠান দুটি বেশ প্রাণবন্ত হয়েছে। দর্শক দেখে বিনোদন পাবে।
আপনি একজন শিল্পী। তারাও শিল্পী। কিন্তু অনুষ্ঠানে আপনার ভূমিকা সঞ্চালকের। কেমন লেগেছে?
আমার কাছে মনে হয়, সামনাসামনি বসে আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারি। একজন শিল্পীর সঙ্গে মুখোমুখি বসে গল্প কিংবা ঘটনা শুনতে অনেক ভালো লাগে। শিল্পীর মুখ থেকে মুখোমুখি বসে যখন কোনো ঘটনা শুনি আমার কাছে মনে হয় সেখানেই চলে গেছি।
শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদের সঙ্গে আড্ডা দিতে কেমন লেগেছে?
আমার জীবনে একবার মাত্র ফিরোজা বেগমের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাও সেটা খুব ফরমাল আলাপ ছিল। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তার সঙ্গে আর দেখা হয়নি। আফসোস, ফিরোজা বেগমের সঙ্গে পরে আর আমার দেখা হয়নি। এবার সেটা খানিকটা হলেও দূর হয়েছে। শাফিন ও হামিনের মাধ্যমে আমি তাদের মা ফিরোজা বেগমের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছি। পুরো অনুষ্ঠানে দুই ভাইয়ের সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডা দিতে পেরে অসম্ভব ভালো লেগেছে।