আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটিকে বিশ্বের প্রতিটি নারীর জন্য একটি বিশেষ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। কালের বিবর্তনে সমঅধিকার এবং নারী স্বাধীনতার বিষয়গুলোও উঠে এসেছে এই দিনের আলোচ্য বিষয়ের তালিকায়। লিখেছেন— আলী আফতাব
ফেরদৌসী মজুমদার
আমি মনে করি, নারী ও পুরুষ আলাদা সত্তা নয়, সবাই মানুষ। তারপরও একজন নারীর জীবনে প্রতিবন্ধকতার সীমা নেই। কিন্তু আগে থেকে এখন নারীরা অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। আর এটি সম্ভব হয়েছে নারীদের নিজ চেষ্টায়। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি দিনই সংগ্রামের। তাই নারী দিবস উদযাপনের পাশাপাশি নারীর এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম যেন অব্যাহত থাকে, এ কামনা করি।
বিজরী বরকতউল্লাহ
প্রত্যেকদিনই নারীকে সচেতন হতে হবে, দেখতে হবে সে তার নিজের অধিকারগুলো ঠিক মতো পাচ্ছে কিনা। আর এই চর্চাটা শুরু হবে একেবারে ঘর থেকে। সম্মান করতে হবে মা, বোন, ভাবী, শাশুড়িসহ ঘরের সব নারী সদস্যকে। তখনই নারী দিবসের আসল তাত্পর্য আসবে বলে আমি মনে করি।
মেহরীন মাহমুদ
যদি আমি নিজেকে নিয়ে বলতে চাই, একজন নারী সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজের স্থান তৈরি করে নিয়েছি নিজের যোগ্যতায়। কিন্তু এখনো কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। নারী অধিকার নিয়ে এই একটি দিনই কি আমরা চিন্তা করব? বছরের এই একটি দিন শুধু নারীদের সম্মান জানানো হবে, আর বাকি দিনগুলো তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা পাবে না তাহলে তো এই দিন পালনের কোনো মাহাত্ম্য আসলে নেই।
তমালিকা কর্মকার
যে কোনো দিবস নিয়ে আমার মতামত কিছুটা ভিন্ন। তেমনি একজন নারী হিসেবে আলাদাভাবে এই দিন আমার কাছে অতটা মূল্যবান নয়। তবে সারা বিশ্ব এই দিনটিতে নারীদের অধিকার ও স্বাধীনতা বিষয়গুলো তুলে ধরে এই ধারণাটি আমার বেশ ভালো লাগে।.
ন্যান্সি
নারীরা আমাদের সমাজে অবহেলিত এই কথার সম্পূর্ণ বিরোধী আমি। নারীরা যদি সমাজে অবহেলিত হতো তবে আমি আজ গায়িকা ন্যানিস হতে পারতাম না। আমাদের দেশের দুটি রাজনৈতিন দলের প্রধান হচ্ছেন নারী। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নারীরা প্রতিষ্ঠিত। তাহলে আমাদের সমাজে নারীরা অবহেলায় ভোগে কীভাবে? তবে দু-একটি বিশৃঙ্খলার দ্বারা কোনোদিন পুরো জাতিকে বিচার করা উচিত হয়। সেজন্য প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা।
মেহজাবিন
প্রতিটি ছেলের জীবনে এক বা একাধিক নারী থাকে। তা হতে পারে মা, বোন, স্ত্রী। তাই প্রতিটি পুরুষের জীবনে নারীর অবদান অনেক। আর সমাজে বাস করতে হলে নারী পুরুষ একসঙ্গে চলতে পারলে সবদিক দিয়ে উন্নতি করা সম্ভব। এখন মিডিয়াতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দিব্যি কাজ করে যাচ্ছে। তারাও এই অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করছে।