শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
অর্থ পাচার মামলা

হাইকোর্টে তারেকের রায় যে কোনো দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাইকোর্টে তারেকের রায় যে কোনো দিন

অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাস ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ মামলায় যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তারেক রহমান পলাতক থাকায় তার পক্ষে  কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তবে বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাাম্মদ আলী, ফখরুল ইসলাম ও কায়সার কামাল শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।

ঘুষ হিসেবে গ্রহণের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করা হয়। বিচার শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস দেন। একই সঙ্গে তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে অর্থ পাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি কার্যতালিকায় এলে গত ১২ জানুয়ারি আবরও বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণ ও আপিলের বিষয়ে অবহিত করতে গত ২০ ও ২১ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় হাইকোর্ট বিভাগ। চার্জশিটে থাকা দুই ঠিকানায় (লন্ডন ও ঢাকা) সমনের নোটিসও পাঠিয়েছে বিচারিক আদালত। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে আদালত। ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন নির্মাণ কাজ পাইয়ে দিতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদক এ মামলা করে। মামলাটি দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াই তারেক অনুপস্থিত ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। অন্যদিকে মামুন জরুরি অবস্থায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কারাগারে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে টাকা পাঠানো হয়। এই টাকা থেকে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) বলা হয়।

সর্বশেষ খবর