সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

চুয়াডাঙ্গায় তিন বাউলকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামে লালনভক্ত এক সাধুর আস্তানায় হামলা চালিয়ে দুই মহিলাসহ তিন ভক্তকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়।

হামলায় আহতরা হলেন ঝিনাইদহ জেলার ভবানীপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের স্ত্রী রশিদা বেগম (৬০), কুষ্টিয়া জেলার পোড়াদহ গ্রামের আবদুর রহিম (৬৫) ও তার স্ত্রী বুলু বেগম (৫০)। এ ঘটনার পর থেকে খোদা বক্স (৫০) নামে এক ভক্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আহতদের মধ্যে বুলু বেগমের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আস্তানার দায়িত্বপ্রাপ্ত লালনভক্ত মুকুল হোসেন জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লালনভক্তরা আস্তানায় অনুষ্ঠান শেষে ঘুমিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আস্তানায় ঢুকে লালনভক্তদের এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এ সময় তাদের চিৎকারে গ্রামবাসীরা ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী আহত অবস্থায় রশিদা বেগম, আবদুর রহিম ও তার স্ত্রী বুলু বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর থেকে আস্তানার এক লালনভক্ত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর গ্রামের খোদা বক্স নিখোঁজ রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ রানা জানান, আহত রশিদার গলায় ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া আবদুর রহিম ও বুলু বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের ক্ষত পাওয়া গেছে। বুলু বেগমের ডান পা ভেঙে গেছে। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, লালনভক্ত মুকুল হোসেন ব্যক্তিগতভাবে আস্তানাটি গড়ে তুলেছেন। গত রাতে সেখানে হামলা হয়েছে বলে আমরা লোক মুখে শুনে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আসামিদের ধরার চেষ্টায় আছি। লালনভক্ত খোদা বক্সকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তার বাড়ি কোটচাঁদপুরে। আমরা ধারণা করছি দুর্বৃত্তের হামলার সময় তিনি সেখান থেকে ভয়ে পালিয়ে গেছেন।

সর্বশেষ খবর