চাষযোগ্য জমি রক্ষা এবং ফসলের জমিতে অপরিকল্পিত ভবন, সড়ক ও ঘরবাড়ি নির্মাণ রোধের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের উপজেলায় একটা মাস্টারপ্ল্যান করে দেওয়া দরকার। কারণ আমরা দেখি যত্রতত্র দালান হচ্ছে। কারও টাকা হলেই ধানের জমি নষ্ট করে সেখানে দালান করে দিচ্ছে। কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের অংশ হিসেবে গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন । শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যদি এখন থেকে একটা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করি। কোথায় বসতবাড়ি হবে... যার ভিটেমাটি আছে সেটা আলাদা কথা। কিন্তু চট করেই ফসলি জমি নিয়েই বাড়িঘর করে ফেলে। তেমনি রাস্তা যে যেভাবে ডিমান্ড করছে তেমনই রাস্তা হচ্ছে। এত রাস্তা তো দরকার হয় না। পরিকল্পিত রাস্তা হলে খরচও বাঁচে আবার জমিও বাঁচে। তিনি বলেন, আমি বলব প্রত্যেকটা উপজেলা সম্পর্কে যদি একটা মাস্টারপ্ল্যান করি, যে কোথায় খেলার মাঠ থাকবে, কোথায় স্কুল-কলেজ থাকবে বা কোথায় ছোট-বড় শিল্পনগরী গড়ে তোলা দরকার, চাষের জমি কোথায় কীভাবে সংরক্ষণ হবে। একবার যদি এ কাজ সঠিকভাবে করতে পারি তাহলে মানুষ কিন্তু এটা গ্রহণ করবে, নেবে, শুনবে। এভাবে কিছু কাজ আমাদের করা দরকার বলে আমি মনে করি। তৃণমূল পর্যায়ে মাস্টার পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারলে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ, তাদের স্থানীয় সরকার উন্নয়ন উদ্যোগে সম্পৃক্ত করা এবং সব উন্নয়ন টেকসই করার লক্ষ্যে সরকার প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ করতে চায়। বাজেট প্রণয়নের সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে একেবারে মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছাতে পারি। তিনি বলেন, আগামীতে আমার যেটা প্ল্যান... আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে বাজেটটা করব ঠিকই তবে আমি চাচ্ছি আমি প্রতিটি জেলায় দায়িত্ব দিয়ে দেব। তারা তাদের বাজেটে কী চাহিদা, কী উন্নয়ন দরকার, কীভাবে মানুষের কাছে সেবা পৌঁছাবে- এ নিয়ে তাদের থেকে মতামত নেব বা পরিকল্পনা নেব। তিনি বলেন, এভাবে প্রত্যেকটি স্তর থেকে বাজেট কীভাবে হবে তার অঞ্চলে সেই ধারণা নিয়েই আমরা মূল বাজেট তৈরি করব। যাতে প্রতিটি পয়সা মানুষের উন্নয়নে কাজে লাগে। সে ধরনের চিন্তাভাবনা আমাদের রয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে আমরা স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। এদেশে এত জনসংখ্যা, তাদের সেবা দিতে গেলে বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া পথ থাকবে না। তা না হলে উন্নয়নটা সাসটেইনেবল হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছি এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে। এ মন্ত্রণালয় যদি যথাযথভাবে কাজ করে তাহলে আমরা ব্যাপক আকারে দারিদ্র্য নিরসন করতে সক্ষম হব। প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিরোনাম
- সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
- সমবায় অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ইসমাইল হোসেন
- জাপোরিঝিয়ায় সম্মুখযুদ্ধের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করলেন জেলেনস্কি
- রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিকদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : আইএমএফ
- ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
- বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
- বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
- ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
- শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
- নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
- প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
- নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
- ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
- শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
- সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
- উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী
ফসলি জমিতে বাড়ি নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর