শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধর্ষণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী পুলিশ প্রশাসন

জিন্নাতুন নূর

ধর্ষণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী পুলিশ প্রশাসন

খুশী কবির

বর্তমানে দেশে ব্যাপকহারে ধর্ষণের মতো অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী পুলিশ প্রশাসন। এ ধরনের অপরাধ গুরুত্বসহকারে দমন করার কথা পুলিশের। এক্ষেত্রে তাদের কার্যকরী ভূমিকা পালন করার কথা। কিন্তু কার্যত তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ষণ ঠেকাতে তথা যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে হলে আরও অনেক ‘নুসরাত’কে লাগবে। মানবাধিকার কর্মী ও নারীনেত্রী খুশী কবির গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যৌন হয়রানির শিকার হয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান মুখ খোলায় তাকে নির্মম পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন যদি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করত তাহলে আজ নুসরাতকে মরতে হতো না। নারীদের প্রতি সমাজের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আসা উচিত।

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম- যেমন ইউটিউব ও ফেসবুকে এখন নারীদের ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিকভাবে নারীকে পণ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর এ বিষয়ে সরকার যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সমাজ থেকে ধর্ষণের মতো অপরাধ থামানো যাবে না। খুশী কবির আরও বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ কমাতে হলে পুলিশ বাহিনীকে ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত অপরাধীদেরও সঠিকভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন কার্যকর জুডিশিয়াল সিস্টেম। একই সঙ্গে এ ধরনের অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে যাতে কোনোভাবে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি না হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। ধর্ষণের মামলাগুলো বিচারের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, ধর্ষণের বিচারের জন্য দেশে প্রচলিত আইনগুলোও প্রয়োজনে সংস্কার করা যেতে পারে। তার মতে, শুধু কঠোর আইনের প্রয়োগ করেই যে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব  এমনটি মনে করা ঠিক নয়। সামগ্রিকভাবে পুলিশ প্রশাসনের মনমানসিকতার পরিবর্তনের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মতো অপরাধ কমাতে দেশের ভবিষ্যৎ তথা ছেলেমেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে আমাদের অভিভাবক ও  শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর