নেত্রকোনায় শিশুর মাথা নিয়ে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে জানিয়ে এ জেলার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেছেন, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার যেমন কিছু নেই, তেমনি পদ্মা সেতুতে মাথা দরকার- এমন গুজবের সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই। গতকাল দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পুরনো কোনো জেদ বা বিকৃত মানসিকতা থেকেই এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, শিশু সজিবের গলা কাটার বিষয়টি নির্মম হত্যাযজ্ঞ। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি সজিবের বাবা বাদী হয়ে গণপিটুনিতে নিহত রবিনের বিরুদ্ধে করেছেন। অন্য মামলাটি পুলিশ বাদী হয়ে গণপিটুনিতে রবিনকে হত্যায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। গতকাল দুটি লাশেরই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ জানায়, রবিন হাতে ব্যাগ নিয়ে শহরের বারহাট্টা রোডের হরিজন পল্লীতে মদ খেতে যান। সেখানে এক ঘরে মদ না পেয়ে অন্য ঘরে যাওয়ার সময় ব্যাগ থেকে রক্ত পড়তে দেখেন লোকজন। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক জবাব দিতে না পারায় ব্যাগ খুলে শিশুর মাথা দেখতে পান স্থানীয়রা। এ সময় মাথার সঙ্গে বরফ ও কিছু ওষুধ ব্যাগে ছিল। এ সময় রবিন মাথাটিসহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা তার পিছু ধাওয়া করে এবং নিউটাউন এলাকায় অনন্ত পুকুর পাড়ে তাকে ধরে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘রবিন ও শিশুটির বাবা একই এলাকার বাসিন্দা এবং পরস্পর পূর্বপরিচিত। কাটলি এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির টয়লেটে সজিবকে গলা কেটে হত্যা করে রবিন। সজিবকে নির্যাতনের পর রবিন হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।’ রবিনকে চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা দাবি করে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে এমন গুজবের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’ রবিনের জব্দকৃত মোবাইল ফোনটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পুলিশ সুপার আরও বলেন, অপরিচিত হলেই সন্দেহ করে কাউকে মারপিট করা যাবে না। এ ধরনের ভুল সিদ্ধান্তে নিজেও অপরাধী হয়ে যেতে পারেন। এতে যে কাউকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে। এলাকা, পাড়া বা মহল্লায় অপরিচিত কাউকে নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে আগে তার সঙ্গে কথা বলুন এবং পরিচয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হন। তারপর কোথাও কোনো সমস্যা মনে হলে পুলিশকে সংবাদ দিন। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, মাথা ছিন্ন করে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার যেমন কিছু নেই তেমনি পদ্মা সেতুতে মাথা দরকার এমন গুজবের কোনো সম্পর্ক নেই।
শিরোনাম
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের