শিরোনাম
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সীমান্তে হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সীমান্তে হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন

ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সীমান্তে কোনো হত্যাকা- না ঘটানোই আমাদের নীতি এবং ভারত সরকারও এ ব্যাপারে সম্মত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে হত্যাকা- ঘটছে। আমরা এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন। ঢাকা ভারতের ‘সীমান্তে জিরো হত্যাকান্ড’ নিশ্চিতে তাদের অঙ্গীকার মনে করিয়ে দিতে বার্তা পাঠাবে। বার্তায় এ ব্যাপারে ঢাকার উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলা হবে, প্রতিবেশী দেশটি তাদের অঙ্গীকার পূরণ করবে এটাই আমরা চাই। ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারত সফর ‘করতে পারেন’ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না। কারণ সময়টা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় হয়, তবে প্রতিমন্ত্রীকে তার সফরসঙ্গী হতে হবে। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) আয়োজিত রাইসিনা ডায়লগে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আলমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মোমেন এ সফর নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের জল্পনা-কল্পনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘বস্তুত বিষয়টি তা নয়।’ মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত ওই সফরের সময় কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সূচি ছিল না। গণমাধ্যম নন-ইস্যুকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করেছে। আর ওআরএফ মূলত একটি বেসরকারি ফোরাম। প্রতিমন্ত্রীর সফরের সঙ্গে সরকারের কোনো বিষয় সম্পর্কিত ছিল না। মন্ত্রী বলেন, আলম ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অপারগ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে ওআরএফকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটি সামান্য ঘটনা। কিন্তু গণমাধ্যম তিলকে তাল বানিয়েছে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন কাশ্মীর শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ভিসা ইস্যু করছে না বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনকেও নাচক করে দেন। তিনি বলেন, এটা মোটেও সত্য নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ইউএই সফরের ব্যাপারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী ‘আবুধাবি সাসটেইনেবল উইক’ ও ‘জায়েদ সাসটেইনেবল অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি’ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় ১৩ জানুয়ারি তারিখে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলো যথাক্রমে বাহরাইন, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতগণের অংশগ্রহণে একটি ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাষ্ট্রদূতগণ মিশনগুলোর প্রাধিকারভুক্ত কার্যাবলি, তাদের কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন, অর্থনৈতিক কূটনীতি, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অভিবাসন, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতা উন্নয়ন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ ইত্যাদি উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন।

সর্বশেষ খবর