শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১

আমার জীবনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ

তোফায়েল আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
আমার জীবনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ

মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী দল আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকীতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাগণ দলের আত্মপ্রকাশের দিন হিসেবে ইতিহাস থেকে ২৩ জুন তারিখটি বেছে নেন। কারণ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেন, ‘এই পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয়নি। একদিন বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা বাঙালিদেরই হতে  হবে।’ প্রতিষ্ঠার পর মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহত্তর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে ‘আওয়ামী লীগ’, ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘বাংলাদেশ’ গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত ও সমার্থক হয়েছে।

আমার জীবনে আওয়ামী লীগের প্রতি আকর্ষণ ছাত্রজীবন থেকে। ’৫৭ সালে বঙ্গবন্ধুকে প্রথম দেখি। একটি উপনির্বাচন উপলক্ষে হোসোল শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তিনি ভোলায় এসেছিলেন। লক্ষাধিক লোকের বিশাল জনসভায় তার সুন্দর বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে ভাবি যদি কোনোদিন রাজনীতি করি তবে এ মহান নেতার আদর্শের রাজনীতি করব। আমার ভাবনা সফল হয়েছে। ’৬০ সাল থেকে ছাত্রলীগ করি। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমার ডিপার্টমেন্ট সোশ্যাল সায়েন্সের ভিপি, যে হলে থাকি সেই ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) নির্বাচিত ভিপি, তারপর ডাকসুর ভিপি এবং সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করি। বঙ্গবন্ধু আমাকে খুব  স্নেহ করতেন। ইকবাল হল ইলেকশনে আমি ভিপিপ্রার্থী। বঙ্গবন্ধু তখনো গ্রেফতার হননি। ইলেকশনের খরচ হিসেবে বঙ্গবন্ধু আমাকে ২০০ টাকা দিয়ে বললেন, ‘জিতবি তো।’ বললাম, আপনি দোয়া করলে জিততে পারব। এ ২০০ টাকা দিয়ে আমরা নিজ হাতে পোস্টার লিখে প্রচার করেছি এবং দীর্ঘদিন পর ইকবাল হলে পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করে ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। হলের ভিপি থাকাকালে ৬ দফা আন্দোলন করি। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করার পর ৭ জুন আমরা সর্বাত্মক হরতাল পালন করি। বঙ্গবন্ধু কারাগারে বন্দী। সফল হরতাল ও সংগ্রামের সাফল্যে কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থে জুন মাসের ৫, ৬, ৭, ৮ তারিখে নিজের অনুভূতি তিনি বিস্তারিত লিখেছেন। ছাত্রলীগ করেছি বলেই আমি ডাকসুর ভিপি হয়েছি। ডাকসুর ভিপি হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর চিঠি পেয়েছি। জেলখানা থেকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘স্নেহের তোফায়েল, আমার দোয়া ও আদর নিস। আজ তুই ডাকসুর ভিপি হয়েছিস আমি ভীষণ খুশি। আমি মনে করি এবারের এ ডাকসু বাংলার গণমানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে এবং সেই নেতৃত্বের পুরোভাগে থাকবি তুই। ইতি, -মুজিব ভাই।’ স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে ’৬৯-এর অগ্নিঝরা দিনগুলোর কথা। ৪ জানুয়ারি ৬ দফাকে অন্তর্র্ভুক্ত করে আমরা ১১ দফা প্রণয়ন করি। ১৭ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু করি এবং ১৮ ও ১৯ তারিখ তা তীব্রতর হয় এবং ২০ তারিখ আসাদ গুলিবিদ্ধ হলে আমার এবং ছাত্রলীগের সেক্রেটারি খালেদ মোহাম্মদ আলীর হাতের ওপর আসাদ শহীদ হয়। আমরা যখন মেডিকেল কলেজে আসাদকে নিয়ে যাই, তখন একজন শহীদের নিঃশ্বাস নিজের কানে শুনতে পাই। আসাদের লাশ শহীদ মিনারে রেখে শপথ নেই ‘এই রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’ সেই রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেইনি। সেই রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ২৪ তারিখ গণঅভ্যুত্থান হয়। নিহত হয় মতিউর, মকবুল, রুস্তম, আলমগীর। দাবানলের মতো আগুন জ্বলে ওঠে। পল্টন ময়দানে লাখ লাখ লোকের সামনে ৯ ফেব্রুয়ারির শপথ দিবসে স্লোগান তুলেছিলাম, ‘শপথ নিলাম শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করব, শপথ নিলাম শপথ নিলাম মাগো তোমায় মুক্ত করব।’ ’৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুক্তিলাভ করেন এবং ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলা মাকে হানাদারমুক্ত করে স্লোগানের দ্বিতীয় অংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কারামুক্ত নেতার গণসংবর্ধনা সভার সভাপতি হিসেবে বলেছিলাম, যে নেতা তার জীবনের যৌবন কাটিয়েছেন পাকিস্তানের কারাগাওে, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন, সেই প্রিয় নেতাকে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করলাম। ১০ লাখ লোক ২০ লাখ হাত তুলে সমর্থন করল। তখন ঘোষণা করি এবার বক্তৃতা করবেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।

আমার জীবনে ২৩ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। এদিন থেকেই বঙ্গবন্ধু আমাকে কাছে রাখেন, আদর করেন। সকালে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যেতাম। তিনি যেখানে যেতেন সেখানে যেতাম। যেখানে আমার উপস্থিত থাকার কথা না, সেখানে আমি উপস্থিত থাকিনি দূরে বসেছি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জীবনে কখনো ভাবিনি ২৬ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে মনোনয়ন পাব! বঙ্গবন্ধু একদিন কাছে ডেকে বুকে টেনে নিয়ে বললেন, ‘তুই ভোলা যা, জনসভা কর। আমি তোকে ভোলাতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে মনোনয়ন দেব।’ ’৭০-এর ১৭ এপ্রিল বিভিন্ন জায়গায় সভা করে বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। আমার বাবা অসুস্থ ছিলেন। যখন বললাম, বাবা, বঙ্গবন্ধু আমাকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে মনোনয়ন দেবেন। বাবা প্রথমে অবাক হলেন, তারপর বুকে টেনে প্রাণভরে দোয়া করলেন। এরপর দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানের জন্য আমাকে চট্টগ্রামে মিরেরসরাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। লক্ষাধিক লোকের বিশাল জনসভা। সেদিন ২৫ এপ্রিল, খবর পাই আমার বাবা আর নেই। বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতা আজিজ ভাইকে ফোন করে জানান, ‘তোফায়েলের বাবা আর নাই। তোফায়েল যেন আজই গ্রামের বাড়ি চলে যায়।’ তখন আক্তারুজ্জামান চৌধুরীর ছোট ভাই যিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, তার গাড়িতে করে চাঁদপুর পৌঁছে দেন। সেখান থেকে ২৬ এপ্রিল ভোলা পৌঁছাই। বাবার কবর আগেই দেওয়া হয়ে গেছে। তারপর ’৭০-এর নির্বাচনের আগে যখন ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস হলো বঙ্গবন্ধু ছুটে গেলেন। আমাকে আদর করলেন, বুকে জড়িয়ে চুমু খেলেন। কারণ আর্তের সেবায় আমার কার্যকলাপে তিনি সন্তুষ্ট হন। রাস্তায় লাশ, নদীতে লাশ ভাসছে। বললেন, ‘আমি আর থাকতে পারব না। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমাকে তাড়াতাড়ি ঢাকা পাঠিয়ে দাও।’ ঢাকা ফিরে হোটেল শাহবাগে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা বাঙ্গালীরা ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে অর্ধাহারে-অনাহারে মৃত্যুবরণ করি। এটা আর চলতে দিবো না।’ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল, ‘ডু ইউ মিনস ইন্ডিপেনডেন্স?’ উত্তর দিয়েছিলেন, ‘নট ইয়েট।’ ঘূর্ণিঝড়ের পর তিনি সারা দেশ সফর করেন। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমার নির্বাচন স্থগিত হলে আমাকে সফরসঙ্গী করেন। প্রতিটি জনসভায় বঙ্গবন্ধুর আগে বক্তৃতা করতাম। বঙ্গবন্ধু সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলতেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি যদি আপনাদের জন্য আমার জীবনের যৌবন পাকিস্তানের কারাগারে কাটাতে পারি, আমি যদি বারবার আপনাদের জন্য ফাঁসির মঞ্চে যেতে পারি, আমি কি আপনাদের কাছে একটা ভোট চাইতে পারি না!’ মানুষ দুই হাত উত্তোলন করে বলতেন, ‘হ্যাঁ, আপনি চাইতে পারেন।’ তখন বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতেন ‘জয় বাংলা’। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে লাখ লাখ মানুষ স্লোগান দিত ‘জয় বাংলা’।

ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পরে এবং ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পরে আমরা যে অসহায়, বিচ্ছিন্ন এবং অনিরাপদ ছিলাম-এসব কথা বলে বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেন। নির্বাচনের দিন বঙ্গবন্ধু ভোট প্রদান করে পুরানা পল্টনে আওয়ামী লীগ অফিসে এলে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনি কতটি আসন পাবেন?’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি অবাক হব যদি দুটি আসনে হেরে যাই।’ ঠিক দুটি আসনেই আমরা হেরেছিলাম। একটি নুরুল আমিন আরেকটি রাজা ত্রিদিব রায়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকে দেখেছি পার্লামেন্টারি পার্টির মিটিং। যার যেথায় যোগ্য স্থান তাকে সেখানে বসিয়েছেন। যেটা বঙ্গবন্ধুর চিরাচরিত অভ্যাস। যেমন ’৬৬-এর সম্মেলনে তিনি হন দলের প্রেসিডেন্ট, তাজউদ্দীন ভাই সাধারণ সম্পাদক এবং মিজান চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক। সেদিন প্রথমে বঙ্গবন্ধু ও পরে তাজউদ্দীন ভাই গ্রেফতার হন। এরপর মিজান চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি গ্রেফতার হলে প্রচার সম্পাদক আবদুল মোমিন ভারপ্রাপ্ত হন, পরে তিনিও গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধু এভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে পরিকল্পনা করে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘এই নির্বাচন ৬ দফার পক্ষে গণভোট।’ ’৭১-এর ৩ জানুয়ারি নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ৬ দফা সমুন্নত রাখার শপথ গ্রহণ করান বঙ্গবন্ধু। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রশ্নে ইয়াহিয়া খান তখন নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের পূর্ব ঘোষিত ৩ মার্চের অধিবেশন স্থগিত করা হলে দাবানলের মতো আগুন জ্বলে ওঠে। লাখ লাখ লোক রাজপথে নেমে আসে। শুরু হয় ১ দফা তথা স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক বক্তৃতায় নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হাতিয়ার তুলে নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমির বীর সন্তানেরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন করে। ’৭২-এর ৮ জানুয়ারি যেদিন বঙ্গবন্ধুর মুক্তি সংবাদ পেলাম, সেদিন সারাদেশে আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। ১০ জানুয়ারি তিনি স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন এবং ১৪ জানুয়ারি আমাকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তার রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ দেন।

দেশ স্বাধীনের পর শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করেন। সবকিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত। স্বল্প সময়ে তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধুর একক প্রচেষ্টায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ’৭২-এর ১২ মার্চ বাংলাদেশ ত্যাগ করে। ’৭২-এর ৭-৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু পুনরায় সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ সম্মেলনে আমি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হই। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর মাত্র ১০ মাসের মধ্যে ’৭২-এর ৪ নভেম্বর বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রণয়ন করেন। ’৭৩-এর ৭ মার্চ জাতীয় সংসদের সফল নির্বাচন সম্পন্ন করে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন। বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৬টি দেশের স্বীকৃতি ও ‘কমনওয়েলথ অব নেশনস’, ‘জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন’, ‘ইসলামিক সম্মেলন সংস্থা’ ও ‘জাতিসংঘ’ সহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য পদ লাভ করে। মনে পড়ে, বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হয়ে বিদেশ সফরের দিনগুলোর কথা। প্রতিটি সম্মেলন ও অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ’৭২-এর ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ভারতের কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে ২০ লক্ষাধিক মানুষের জনসমুদ্রে অসাধারণ বক্তৃতা করেন। ১ মার্চ সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করেন। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের সার্বিক সমর্থন জুগিয়েছিল। ’৭৩-এর ৩ আগস্ট কানাডার রাজধানী অটোয়াতে ৩২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের অংশগ্রহণে কমনওয়েলথ সম্মেলনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ’৭৩-এর ৯ সেপ্টেম্বর আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’ ’৭৩-এর ৯ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু জাপান সফরে যান। জাপান সফরের মধ্য দিয়ে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা হয় তা আজও অটুট রয়েছে। ’৭৪-এর ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু সভাপতির পদ ত্যাগ করেন, তদস্থলে নির্বাচিত হন জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামান। ’৭৪-এর ২২ ফেব্রুয়ারি ওআইসি সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর জন্য সম্মেলন একদিন স্থগিত ছিল। ’৭৪-এর ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করে তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এরপর জাতিসংঘের মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইমের সঙ্গে বৈঠক করেন। ১ অক্টোবর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পথে ৬ দিনের সফরে ’৭৪-এর ৩ অক্টোবর ইরাকের রাজধানী বাগদাদ পৌঁছান। ’৭৫-এর ২৯ এপ্রিল থেকে ৬ মে জ্যামাইকার কিংস্টনে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে তাঁর সরব উপস্থিতি সবাইকে মুগ্ধ করে। আজ যে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছে তারও ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে ’৭৫-এ বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছেন। যে মুহূর্তে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে স্বাভাবিক করেন, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দেন ঠিক তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটে একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ওই সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাকে প্রথমে গৃহবন্দী পরে ময়মনসিংহ তারপর কুষ্টিয়া কারাগারে প্রেরণ করা হয়। স্বৈরশাসকের কালে আমাকে গ্রেফতার করে রাখা হয় সিলেট জেলে। আবার গ্রেফতার করে কুমিল্লা জেলে। এরপর আবার গ্রেফতার করে রাখা হয় রাজশাহী জেলে। এরপর গ্রেফতার করে বরিশাল কারাগারে। পুনরায় গ্রেফতার করে প্রথমে কাশিমপুর ও পরে রাখা হয় কুষ্টিয়া কারাগারে। আমাকে সর্বমোট সাতবার গ্রেফতার করা হয়েছে। বাইরে যারা ছিলেন তারা ব্যাপকভাবে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের তিন বছর পর ’৭৮-এর ১২ এপ্রিল কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করি। বেরুনোর পরই হরতাল ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি।

যেদিন ’৭০-এর ২ জুন আওয়ামী লীগে যোগদান করি সেদিন বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন ভাইসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দলে যোগদানের পর বঙ্গবন্ধু আমার ওপর কিছু কথা বলেছিলেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু আমি যা না তার থেকেও বেশি বলে অনেক উচ্চতায় আমাকে তুলে ধরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছোটকে বড় করতেন। থানার নেতাকে জেলার নেতা, জেলার নেতাকে জাতীয় নেতা করে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘জাতির পিতা’ হয়েছেন। কোনো এলাকায় সফর করলে সেখানকার নেতাকে বড় করে তুলে ধরতেন। ছোটকে বড় করে তুলে ধরার এ প্রচেষ্টায় তার মহত্ত্ব বোঝা যায়। এটাই বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আজ দেশের মানুষ আমাকে চেনে, সম্মান করে। এর কোনোটাই আমি পেতাম না, যদি আওয়ামী লীগের সদস্য না হতাম। অর্থাৎ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগে যোগদান করে জেলে বসে আমি সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছি, ১৮ বছর প্রেসিডিয়াম মেম্বার, মুজিব বাহিনীর অন্যতম অধিনায়ক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ-এর সবই আমার জীবনের অর্জন। আমি গ্রামের সাধারণ পরিবারের ছেলে। একজন নেতা অন্যকে নেতা করে বড় করতে পারেন, এটাই আমি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে শিখেছি। বঙ্গবন্ধুর স্নেহ এবং আদর যদি না পেতাম, যদি আওয়ামী লীগ না করতাম তবে এই অবস্থানে আসতে পারতাম না। জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু নেই। বঙ্গবন্ধুর প্রতি, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানাই। আওয়ামী লীগের শীর্ষ জাতীয় চার নেতার সান্নিধ্য ও স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি; তাদের আদেশ-নির্দেশ পালন করেছি। আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।

বঙ্গবন্ধু সারাজীবন রাজনীতি করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। ’৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাতে আমরা আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম। সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠা-সততা-দক্ষতার সঙ্গে তিনি ৪০ বছর আওয়ামী লীগকে পরিচালনা করছেন। আজ বাংলাদেশকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। নিজেও আন্তর্জাতিক বিশ্বে মর্যাদাশালী নেতা হয়েছেন। করোনাকালে তার গৃহীত পদক্ষেপে দেশ-বিদেশের মানুষ সন্তুষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন-বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার মহতি কর্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সমাপ্ত হবে।

লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা; সংসদ সদস্য; সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সংসদ ও গণভোট এক দিনে, ইসিকে চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
সংসদ ও গণভোট এক দিনে, ইসিকে চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
নিহতদের পরিবারে মাতম থামছেই না
নিহতদের পরিবারে মাতম থামছেই না
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
৪ উইকেটের অপেক্ষা
৪ উইকেটের অপেক্ষা
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
দুই সমঝোতা স্মারক সই
দুই সমঝোতা স্মারক সই
সর্বশেষ খবর
৩১ দফা বাস্তবায়নে বগুড়ায় লিফলেট বিতরণ
৩১ দফা বাস্তবায়নে বগুড়ায় লিফলেট বিতরণ

৩৬ সেকেন্ড আগে | ভোটের হাওয়া

মুন্সীগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় শিক্ষককে গণপিটুনি
মুন্সীগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় শিক্ষককে গণপিটুনি

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১২ মিনিট আগে | শোবিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রোঞ্জ পদক নিয়েই নারী কাবাডি বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের
ব্রোঞ্জ পদক নিয়েই নারী কাবাডি বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের

১৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেকৃবিতে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
শেকৃবিতে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

১৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আগুনে পুড়ে ছাই আড়াই হাজার মুরগি
আগুনে পুড়ে ছাই আড়াই হাজার মুরগি

৩০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তি
নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তি

৪৬ মিনিট আগে | পরবাস

বগুড়ায় হাইওয়ে পুলিশের কমিউনিটি পুলিশিং ও সুধী সমাবেশ
বগুড়ায় হাইওয়ে পুলিশের কমিউনিটি পুলিশিং ও সুধী সমাবেশ

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ

৫২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মুশফিকের মাইলফলকে সতীর্থদেরও জেগেছে শত টেস্টের স্বপ্ন
মুশফিকের মাইলফলকে সতীর্থদেরও জেগেছে শত টেস্টের স্বপ্ন

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ২৭ নভেম্বর শুরু, রাবিতেও থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্র
কুবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ২৭ নভেম্বর শুরু, রাবিতেও থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্র

৫৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীর ক্ষমতায়ন সৃষ্টি করছেন তারেক রহমান: নিপুন রায়
নারীর ক্ষমতায়ন সৃষ্টি করছেন তারেক রহমান: নিপুন রায়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চুয়াডাঙ্গায় মহিলা দলের নির্বাচনী সমাবেশ
চুয়াডাঙ্গায় মহিলা দলের নির্বাচনী সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সমুদ্রপথে ইয়াবা আনতে গিয়ে মাদক কারবারি আটক
সমুদ্রপথে ইয়াবা আনতে গিয়ে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও পরিবহন সহযোগিতা বাড়াবে ফ্রান্স
বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও পরিবহন সহযোগিতা বাড়াবে ফ্রান্স

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আটক
বান্দরবানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : প্রিন্স
জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল
সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা