রবিবার, ১২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে কিছু কর প্রস্তাব

ড. আতিউর রহমান

পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে কিছু কর প্রস্তাব

খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আমদানিনির্ভরতা কমানোর চাপ এবং করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অর্থায়নের জন্য বরাদ্দের চাহিদা- এ দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য একটি সতর্ক বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। নাগরিকদের আর্থসামাজিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রবৃদ্ধি সচল রাখার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এগিয়ে নেওয়াই এ বাজেটের লক্ষ্য। তবে বাজেটের কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। গতকাল রাজধানীর বাংলামোটরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন সংস্থাটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।  এতে বক্তব্য দেন সংস্থাটির লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা, পলিসি অ্যানালিস্ট জিনিয়া শারমিন, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ এবং সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী। সংবাদ সম্মেলনে ড. আতিউর রহমান ঢালাওভাবে সব কোম্পানির জন্য উৎসে কর বাড়ানো, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর কর বৃদ্ধি এবং পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রাখার যে প্রস্তাবগুলো বাজেটে আছে সেগুলো অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি এ মুহূর্তে জরুরি নয় এমন ব্যয় আরও সঙ্কুচিত করে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বাজেট আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দেন।

রবার্ট শুভ্র গুদা তার বক্তব্যে বলেন, নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবায় যা ব্যয় করেন তার দুই-তৃতীয়াংশ ব্যয় হয় মূলত ওষুধ কেনার জন্য। স্বাস্থ্য বাজেটের ওষুধ ও পচনশীল চিকিৎসাসামগ্রী উপখাতে বরাদ্দ মাত্র হাজার-বারো শ’ কোটি টাকা বাড়ালেই গ্রামাঞ্চলে মানুষের এ বাবদ ব্যয় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসবে। অর্থমন্ত্রী জ্বালানি ও সারে ভর্তুকি প্রয়োজনবোধে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর কথা বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন। এই নীতি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হলে তা সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মনে করেন জিনিয়া শারমিন। ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো এবং এনবিআরের রাজস্ব আহরণের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায় থেকে কার্যকরভাবে কর আহরণের কোনো প্রস্তুতি এখনো নেই। সমাপনী বক্তব্যে খন্দকার সাখাওয়াত আলী একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে নানামুখী টানাপোড়েনের মধ্যে বাজেট প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করেন এবং নাগরিকদের পক্ষ থেকে বাজেটের যে পর্যালোচনাগুলো হচ্ছে সেগুলো বাজেট চূড়ান্তকরণের আগে বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান।

 

 

সর্বশেষ খবর