ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা থাকলেও ইসরায়েলি হামলা থেমে নেই। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকাটিতে পানি-ওষুধ-চিকিৎসার ভয়াবহ সংকটে ধুঁকছে মানুষ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন করে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো যুক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
যুদ্ধবিরতির কথা বলা হলেও ইসরায়েলি বিমান হামলা, আর্টিলারি শেলিং ও স্থল অভিযান থেমে নেই। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরও ২৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
শনিবার, এক ফিলিস্তিনিকে হলুদ রেখা অতিক্রম করার অভিযোগে হত্যা করা হয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। চিকিৎসকেরা বলছেন, অপারেশন থিয়েটার আছে, কিন্তু ওষুধ নেই, নেই স্যালাইন ও বিদ্যুৎ। অনেক অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই।
জাতিসংঘ বলছে, ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল কোনোটাই সুরক্ষিত নয়। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিতে মানুষ বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও প্রতিজন পানি পাচ্ছেন দিনে মাত্র ১ থেকে ২ লিটার। খাবারও বলা চলে অনিশ্চিত।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জরুরি চিকিৎসা সরিয়ে নেওয়ার জন্য গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪,০০০ ফিলিস্তিনি রোগী মিশর ও অন্যান্য জায়গায় চিকিৎসার জন্য গেছেন। আরও ১৬ হাজারের বেশি রোগী এখনও বিদেশে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি-প্রতিদিন/এমই