কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার মাঝি খুনের ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন মোহাম্মদ হাশিম (২২) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক। পিস্তল হাতে নিয়ে তিনি ফেসবুক লাইভ করেন গতকাল সকাল ৮টার দিকে। মো. আবদুল্লাহ নামে এক আইডি থেকে এ লাইভ করা হয়। জানা গেছে, মোহাম্মদ হাশিম মিয়ানমারের বুচিডং কুয়ানচিবংয়ের পূর্বপাড়ার আবদুল জব্বারের ছেলে। জব্বার বর্তমানে উখিয়ার বালুখালী ৯৩ ব্লকের ক্যাম্প-১৮য় বাস করছেন। লাইভে এসে হাশিম নিজেকে ‘ইসলামী মাহাজ’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেন। লাইভে পিস্তল হাতে নিয়ে হাশিম বর্ণনা দেন কীভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝিকে হত্যা করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন, তার মতো আরও ২৫ জনকে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী মাহাজ, তাদের কাজ হত্যার মিশন বাস্তবায়ন। এর জন্য তাদের দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। ১ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ভিডিওতে হাশিম জানান, হেড মাঝি আজিম উদ্দিন, সানা উল্লাহ, জাফর ও ক্যাম্প-১৭-এর ইসমাইলকে তারা হত্যা করেছেন। ভিডিওতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজের ছয় মুখপাত্রের নামও উল্লেখ করেন তিনি। যাদের নাম বলা হয় তারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া, মৌলভি রফিক, কাদের ও খায়রু। তিনি এ ছয়জন সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন বলে দাবি করেন। হাশিম উল্লেখ করেন, সামনে তাদের আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু তিনি এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই এ খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। হাশিমের এ ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এ বিষয়ে ক্যাম্পে কর্মরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা যুবকের ভিডিওবার্তা আমাদের নজরে এসেছে। ঘটনাটি আমরা যাচাই-বাচাই করছি। পাশাপাশি তার পরিচয় শনাক্ত করে ভিডিওতে দেখানো অস্ত্রসহ তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। সে যাদের নাম উল্লেখ করেছে তা-ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
