সোমবার, ২২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইতিবাচক সম্পর্ক রাখতে উদ্যোগী হতে হবে

--------- এম হুমায়ুন কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইতিবাচক সম্পর্ক রাখতে উদ্যোগী হতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক ধরে রাখতে বস্তুনিষ্ঠভাবে উদ্যোগী থাকা প্রয়োজন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর একটি। দেশটির সঙ্গে বৈরিতা তৈরি করতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এটা করতে যাওয়াটা বাংলাদেশের জন্য একটি ‘উদ্ভট’ কাজ হবে। এমনটা করা উচিত হবে না এবং তা চিন্তার মধ্যেও আনা ঠিক হবে না।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বর্তমানে উৎকণ্ঠিত হওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ দেশটির সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক ও বহুস্তরের সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। বেশির ভাগ বিষয় যদি ইতিবাচক থাকে, তাহলে উৎকণ্ঠিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে সাম্প্রতিককালে কিছু মতামত বা মন্তব্য দেখছি। আমি বাইরের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছি যে, কেন বর্তমানে এ ধরনের আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এর পেছনে কী আছে। এ নিয়ে অনেক ধরনের ধারণা আছে কিন্তু এগুলোর ভিত্তি কী তা বুঝতে পারছি না। একটি স্যাংশনের বিষয় ছিল। গত দেড়-দুই বছর ধরে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আর আমাদের দিক থেকে আমরা কেমনভাবে তা সমাধান করতে চাই সে কথাও আমরা বলার চেষ্টা করছি। আবার মার্কিনিরাও যখন স্যাংশন দেয় তারা বলে দিয়েছে তাদের প্রত্যাশা কী। তিনি বলেন, আমার ধারণা এখানে এখনো কিছু সাযুজ্যের ঘাটতি আছে। আর তা আছে বলেই বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে। এর দুটো দিক আছে। পেশাগত ছাড়াও অন্যান্য বিষয়গত দিক আছে। পেশাগতভাবে উভয়পক্ষ যদি পেশাগত পদ্ধতিতেই সমাধানের চেষ্টা করি তাহলে সমাধান পাওয়া কঠিন হবে না বলে ধারণা করি। কিন্তু এর সঙ্গে যদি অন্যান্য বিষয় জড়িয়ে যায় তখন বিষয়টি কঠিন আকার ধারণ করবে। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের আলোকে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। আর এই সম্পর্কের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই আমাদের জন্য ইতিবাচক। এ জন্য কোনো বিষয় নিয়ে যদি দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয় তাহলে সে বিষয়টিকে পেশাগত ও কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত থাকা উচিত। আর এমন করা হলেই দুই দেশের সম্পর্ক সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিবাচক জায়গা তৈরি করবে। হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক পরিবেশ সব জায়গাতেই যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে বলছে যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে তারা শক্তিশালী করতে চায়। মানবাধিকারের ব্যাপারে তারা বিশেষ মনোযোগী। মতপ্রকাশের ব্যাপারে তারা আগ্রহী। অধিকারের অন্যান্য জায়গাগুলোতেও তারা কথা বলে। সমঅধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার নিয়েও দেশটি কথা বলছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছে খোলামেলা কী চায় তা বলছে। এখন তাদের এই চাওয়া আমরা কীভাবে মূল্যায়ন করি এবং সেখানে কী অবদান রাখতে পারি তা আমাদের দিক থেকে স্পষ্ট করতে পারলে ভালো।

সর্বশেষ খবর