আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কখনো ১০ দফা, কখনো ২৭ দফা, কখনো এক দফা, আবার কখনো ৩১ দফা! বিএনপির রাজনীতি দফার বিভ্রান্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যেসব রূপরেখা ও দফা তুলে ধরছে, প্রকৃতপক্ষে তারা তা বিশ্বাস ও ধারণ করে না। অতীত অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে, জাতির সামনে ক্ষমাপ্রার্থনা না করে আজ তারা বিভ্রান্তির রূপরেখা উপস্থাপন করেছে। গতকাল এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্থাপিত রূপরেখাকে ‘অন্তঃসারশূন্য ও অকার্যকর’ আখ্যায়িত করে সেটি প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। বলেন, বিএনপির বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত এসব দফা জনগণ এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা কিছুদিন পরপর নতুন নতুন দফা নিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির এই দফা জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে নয়। ঐতিহ্যগতভাবে তাদের দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার স্বৈরতান্ত্রিক অপরাজনীতি ফিরিয়ে আনার কূটকৌশল। তাদের এসব দফা ও রূপরেখায় জনকল্যাণের সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপন্থা নেই। জনগণ তাদের আস্থায় না নিলেও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা মরিয়া হয়ে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যেসব রূপরেখা ও দফা তুলে ধরছে, প্রকৃতপক্ষে তারা তা বিশ্বাস ও ধারণ করে না। কারণ তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এসব নীতির বিরুদ্ধে সব ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়েছিল। ‘গণতন্ত্র’কে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে তারা দুর্নীতির বরপুত্র, একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চায়।
জনগণকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় ‘হাওয়া ভবন’-এর সেই দুঃশাসনের যুগে। তিনি আরও বলেন, আজ তারা দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের কথা বলছে! অথচ বিএনপির শাসনামলে টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের কলঙ্কের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীত অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে, জাতির সামনে ক্ষমাপ্রার্থনা না করে আজ তারা বিভ্রান্তির রূপরেখা উপস্থাপন করছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে! আসলে গণতন্ত্রের মোড়কে তারা তাদের সেই হিংস্র রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। গণতান্ত্রিক পন্থায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রধানতম অন্তরায় বিএনপি এবং তার দোসররা। তিনি আরও বলেন, বিএনপির এ ধরনের তথাকথিত রূপরেখা ও আন্দোলনের হুমকি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এ অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
