সরকার দোসরদের দেশ ত্যাগের সুযোগ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই দেশটা জনগণের। সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন- সেভাবেই পালিয়েছেন আবদুল হামিদ।
গতকাল বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে ‘বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরাম’ আয়োজিত ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। খ্রিস্টান ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জন গমেজের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অনিল লিও কস্তার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজ দলীয় সংবিধানে পরিণত করে। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
তারেক রহমান বলেন, গত পাঁচ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন- সেভাবেই পালিয়েছেন আবদুল হামিদ। অন্তর্বর্তী সরকার নাকি কিছুই জানে না! তাহলে তারা জানেন কী? জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কারের নামে একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এই দেশটা জনগণের।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
ধর্ম দিয়ে বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- ফখরুল : ধর্ম দিয়ে সমাজে বিভাজন না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বছেন, কোনো শক্তি যাতে আমাদের বিভক্ত করতে না পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রত্যেক ধর্ম মানুষকে ভালো হতে শেখায়। ধর্ম দিয়ে বিভাজন করা ঠিক নয়। প্রত্যেক ধর্মই ঐক্যের কথা বলে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, সেই চেতনা ধরে রাখতে হবে। কোনো শক্তি যেন আমাদের বিভক্ত করতে না পারে। মির্জা ফখরুল বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চাই, যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা লড়াই করেছি। এর উদ্দেশ্য একটি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই। সেখানে যে যার ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। বিভাজন নয়, ঐক্যের মাধ্যমে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।