চাঁপাইনবাবগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে নতুন জাতের হলুদ রঙের তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। ইতিপূর্বে কালো তরমুজ চাষ করে সফল হওয়ার পর কৃষক শাহীন আলম এবার চাষ করছেন হলুদ তরমুজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের নগরপাড়া মাঠে এই তরমুজ চাষ করছেন শাহীন আলম নামে এক কৃষক। তার খেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলছে হলুদ রঙের তরমুজ। ছোট-বড় তরমুজে নুয়ে পড়েছে মাচা। দেখে মনে হচ্ছে ঠিক যেন হলুদের সমারোহ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এসএসসিপি রেঞ্জ প্রকল্পের আওতায় এই সীমান্তবর্তী এলাকায় কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ৬৬ শতক জমিতে হলুদ তরমুজের চাষ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষক শাহীন আলমকে হলুদ তরমুজ চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণসহ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেসঙ্গে প্রকল্প থেকে সার, বীজ ও মালচিং পেপার সরবরাহ করা হয়েছে। এই তরমুজের বিশেষত হচ্ছে সাধারণত তরমুজের মৌসুম যখন শেষ হয় তখন অসময়ে এই তরমুজ চাষ করা যায়। এ তরমুজ দেখতে বাইরে হলুদ রঙের কিন্তু ভিতরে লাল টুকটুকে এবং রসে ভরা, খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি। বাজারে এই তরমুজের চাহিদা বেশি থাকায় এবং ভালো দাম হওয়ায় এই জাতের তরমুজ চাষ করে কৃষকের ভালো লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসেঙ্গ কৃষক শাহীন আলম বলেন, আমি এর আগে সিজনাল কালো তরমুজ চাষ করেছিলাম কিন্তু এ ধরনের হলুদ তরমুজ চাষ করিনি। কিন্তু আমার পাশে একজন এই তরমুজ চাষ করেছিল তা দেখে আমার আগ্রহ জাগে। পরে কৃষি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরামর্শেই এই তরমুজ চাষ শুরু করেছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন, আমাদের দেশে যে তরমুজগুলো চাষ হয় তার মধ্যে গোল্ডেন ক্রাউন্ট একটি নতুন জাতের তরমুজ। এটি সাধারণত মৌসুম ছাড়া চাষ করা হয়। এটি আকারে একটু ছোট হয় এবং বাইরে থেকে এটি হলুদ রঙের হলেও এর ভিতরটা গোলাপি রঙের হয়। এটি খেতেও সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এ ছাড়া এটি প্রচুর পরিমাণে ধরে এবং অমৌসুমে হয় বলে এর বাজারমূল্য বেশ ভালো পাওয়া যায়। তাই যেসব উদ্যোগী ও ভালো কৃষক আছে তারা প্রদর্শনীর মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগতভাবেও চাষ শুরু করেছে।