খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক ৭২ ভারতীয় নাগরিককে একটি স্কুল ও স্থানীয় ব্যক্তিদের দুটি বাড়িতে রাখা হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি উপজেলার ৩টি স্কুলে উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি নিরাপত্তার পাশাপাশি রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। আটকদের জন্য পানছড়ির স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্টও কাজ করছে। ভারতীয় নাগরিক অনুপ্রবেশ করায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সকলে একযোগে কাজ করছে। আশ্রয় গ্রহণকারীরা যে কদিন থাকবে তাদের মানবিক বিবেচনায় আমরা রান্না করা খাবার প্রদান করছি। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের ফেরত পাঠানো হবে। এ জেলার কোন সীমান্তে নতুন করে পুশ ইনের খবর পাওয়া যায়নি।
আটকদের তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাখা হয়েছে। তবে আটকদের উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি পক্ষ থেকে মানবিক কারণে রান্না করা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। পানছড়ি উপজেলায় আটক ভারতীয এসব নাগরিকদের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার অনুতোষ চাকমার নেতৃত্বে চারজনের একটি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য সেবাও দিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, ভারতীয় নাগরিকদের বিএসএফ কেন ঠেলে পাঠিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছি। সীমান্তে ঝুঁকি নেই দাবি প্রশাসনের। মাটিরাঙ্গা সীমান্তে দিয়ে পুশ ইন করা ভারতীয় আটক ১৫ জন নাগরিক আচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ২৭ জন বেলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজিবি ও ভিডিপিও পুলিশের নিরাপত্তায় রয়েছে।
একইভাবে পানছড়ি লোগাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩০ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছে।তাদেরকে খাবার নিরাপত্তাও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার শান্তিপুর দিয়ে ২৭ জন, তাইন্দ দিয়ে ১৫ জন ও পানছড়ির লোগাং দিয়ে ৩০ জনকে বিএসএফ জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করায়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত