বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) টপ অবজারভেটরি টিম পাঠিয়েছিল। তারা পরিষ্কার করে বলে গেছে, বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেই টিমের কথাই আজ প্রমাণিত। তিনি বলেন, আমরা অত্যাচার নির্যাতনের পরেও একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। তবে এর শেষ পরিণতি কী হবে- তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির এই মুখপাত্র দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এখনো তো সংঘাত শুরু হয়নি। সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে। যতদিন তারা ক্ষমতায় থাকবে, দেশ আরও খারাপের দিকে যাবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে জনগণ রুখে দাঁড়াবে। জনগণই তাদের অধিকার আদায় করবে।
তাকে নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এসব গুরুত্ব দিই না। এগুলো আমরা বহু দেখেছি। কে কী বলল না বলল এতে বাংলাদেশের জনগণের কিছু যায় আসে না। তবে আওয়ামী লীগের মানসিকতাটা তার (মেয়র তাপস) কথাবার্তার মধ্যে পাবেন। এটা তাদের চরিত্র, তাদের কথাবার্তার মধ্যে একটা সন্ত্রাসী ব্যাপার আছে। তারপর একটা জমিদারি ভাব আছে। এটা হচ্ছে তাদের জমিদারি।
মির্জা ফখরুল সরকারের উদ্দেশে বলেন, মানুষের কল্যাণ, গণতন্ত্র ও দেশকে রক্ষার জন্য আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আপনারা প্লিজ এ জায়গা থেকে সরে এসে পদত্যাগ করেন, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের একটা সরকার নির্বাচিত করতে পারে।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমার খান ও পরিচালক এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাজা দেওয়ার বিষয়ে জুডিশিয়াল ক্যাডার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ধরনের বিবৃতি দেওয়াটা নজিরবিহীন ঘটনা। এটা নিঃসন্দেহে নিরপেক্ষ আচরণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। বিচার ব্যবস্থায় সর্বস্তরের বিচারকদের বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
