ভয়াবহ ভূমিকম্পে রাজধানীসহ সারা দেশ কাঁপলেও কাঁপেনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পরিপামক যন্ত্রটির পর্দা। গতকাল সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটলেও পবিপ্রবির সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের পর্দায় কোনো নড়াচড়া ধরা পড়েনি। অথচ ২০১০ সালে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূমিকম্পন পরিমাপক সিসমোগ্রাফ যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়েছিল।
পবিপ্রবি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে পবিপ্রবিতে বসানো হয়েছিল সিসমোগ্রাফটি। কিন্তু ২০১১ সালের জানুয়ারিতেই এতে ত্রুটি দেখা দেয়। মেরামতের পরে একাডেমিক ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বারে পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট সংযোগসহ আবার চালু করা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতেই আবার বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে ১৪ বছর যন্ত্রটি অচল।
যন্ত্রটি দেখভাল করার দায়িত্বে নিয়োজিত এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন হোসেন বলেন, প্রকল্পের অধীনে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়েছিল। শুরু থেকেই সচল রাখা যাচ্ছিল না। পরে পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের মতো কোনো বরাদ্দ ছিল না। নতুন প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, যন্ত্রটি শুধু পুরোনো নয়, এটি অ্যানালগ। বিশ্বজুড়ে এখন ভূমিকম্প নিরীক্ষণে আরও উন্নত যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে থাকা যন্ত্রটির কার্যকারিতা আদৌ আছে কি না, তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।