গোপালগঞ্জে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে শওকত আলী দিদার (৩৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না এবং সময় টিভির ক্যামেরাপারসন এইচএম মানিকসহ ৩৫ জন আহত হন। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে এসএম জিলানীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বিকাল ৫টার দিকে জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা করে বিএনপি। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পথসভা শেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী তার নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, বিকাল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বেদগ্রাম মোড়ে বিএনপির পথসভা শেষে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২০০ থেকে ৩০০ নেতা-কর্মী মাইকিং করে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সড়কে বেরিকেড সৃষ্টি করে। গাড়ি ভাঙচুর করে এবং নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আহত হন।
গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুজ্জামান বলেন, বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা গাড়ি বহর নিয়ে যাওয়ার সময় ঘোনাপাড়া এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। তাদের বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমি নিজেই আহত হয়েছি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।