পুরান ঢাকার একটি বাসায় নজরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর হাত-পা বাঁধা ও গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল।
গোপনাঙ্গ কাটা ছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় চকবাজারের ইসলামবাগ আরএনডি সড়কের একটি ভবনের পঞ্চম তলার কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গতকাল সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়। চকবাজার থানার এসআই জিল্লুর রহমান জানান, ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ভিকটিমের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম তাপস জানান, ইসলামবাগ মাদরাসা গলিতে তার ভাইয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ রয়েছে। এ ছাড়া শেয়ারে প্লাস্টিকের আরেকটি ব্যবসা রয়েছে। শুক্রবার তাঁর স্ত্রী সুমি আক্তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যান। এ কারণে বাসায় একাই ছিলেন নজরুল। সোমবার রাত ১০টায় ওয়ার্কশপ থেকে বের হন নজরুল। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর বাসায় গিয়েও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখা গেছে। পরে ঘটনাটি গ্রামে তাঁর ছেলে এবং স্ত্রীকে ফোনে জানানো হয়। সন্ধ্যায় গ্রাম থেকে তাঁর ছেলে ঢাকায় আসেন।
জানা যায়, ছেলে চাবি দিয়ে তালা খুলে ঘরে ঢুকে দ্রুত বাবার এনআইডি কার্ড নিয়ে চকবাজার থানায় যান নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে। তবে পুলিশ জিডি না নেওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে রাত দেড়টায় বাসায় ফেরেন। আর বাসার নিচ থেকে তৌহিদুল ইসলাম তাপস তার নিজের বাসায় চলে যান। এদিকে রাতে থাকার জন্য নজরুলের ছেলে তার বন্ধুকে তাদের বাসায় ডেকে আনেন। বাসায় প্রবেশ করে এক কক্ষে তারা দেখতে পান, বিছানার ওপর বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। খবর পেয়ে তাপসও সেখানে যান এবং দেখেন বিছানার ওপর হাত-পা বাঁধা, গলায় কাপড় প্যাঁচানো। বিছানা রক্তে ভেজা। গোপনাঙ্গ কাটা। তারা থানায় খবর দেন। তৌহিদুল ইসলাম তাপস বলেন, ওই বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান সোমবার রাতে নজরুল বাসায় ঢোকেন। এরপর মঙ্গলবার সকালেই তাঁর গাজীপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি এরপর তাঁকে আর দেখেননি। পরে বাসায় কে বা কারা ঢুকেছে কিছুই জানেন না। তাঁর ধারণা, এ ঘটনার সঙ্গে বাসার দারোয়ান অথবা ম্যানেজার কিংবা পরিবারেরও কেউ জড়িত থাকতে পারেন।