ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামি নীতি আদর্শের মাধ্যমেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি। আগামী নির্বাচনে ইসলামি নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। ৫৩ বছর যারা শাসন করেছে তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন তাদের পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাতিলকে পরাজিত করতে হবে। মায়ের কোল খালি করা আর বিদেশে টাকা পাচার করে বেগমপাড়া তৈরির রাজনীতি দেশের মানুষ চায় না। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, প্রকৌশলী মারুফ শেখ ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব। সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ। সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখকে সহসভাপতি ও মাওলানা মানছুর আহমদ সাকীকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার এ সরকার নয়। তারা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের দুর্বলতা কোথায়? পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হতে বাধা কোথায়? চাঁদাবাজ ও খুনিদের এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে তাদের যারা নির্বাচনে আহ্বান করে তারা জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করছে। তাদের ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝতে পারছে। অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনে কেউ ভয় পায় কেন? উচ্চ কক্ষ হোক আর নিম্নকক্ষ হোক সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।