বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনীতিবিদরা কোন বিষয়ে কথা বলবেন, কোনটাকে সমর্থন করবেন আর কোনটাকে নয়, এটা কি উপদেষ্টারা শেখাবেন? গতকাল বনানী কবরস্থানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা সব ঘটনা অতিক্রম করে বুক চিতিয়ে বছরের পর বছর রাজপথে থেকেছি। কোনটাকে সমর্থন করতে হবে আর কোনটাকে নয়, আর কোন বিষয়ে কথা বলতে হবে, এটা কি উপদেষ্টারা এসে বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের শেখাবেন?’
তিনি আরও বলেন, জনগণের প্রত্যাশা এই সরকার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু যখন শুনি আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, এ যেন মনে হয় শেখ হাসিনার সেই প্রতিধ্বনি- আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। কোনো উপদেষ্টার মুখে এটা শোভা পায় না। ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সব আস্থা আপনার ওপর দেওয়া হয়েছে। তাহলে এত গড়িমসি কেন। কেন শেখ হাসিনার কথার পুনরাবৃত্তি হবে, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। আমরা এই কথা শুনতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যুগের পর যুগ ধরে সংস্কার হতে পারে। এর জন্য গণতন্ত্রের যে প্রক্রিয়া, গণতন্ত্রের প্রবহমান নির্বাচনকে আটকে রাখবেন কেন?’ তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টিহীনতা নিয়ে কি সমালোচনা করা যাবে না? সরকারের প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে, তার জন্য কি সমালোচনা করা যাবে না? তাহলে কীসের ভয় দেখান যে এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিয়া পরিবার থেকে শুরু করে দেশের আপামর জনতার এত ত্যাগ, আত্মদান এত রক্ত ঝরেছে শুধু একটু মুক্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য। তার ফলে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ কাঁপানো, পৃথিবী কাঁপানো একটি বিজয় দেখেছি। এই আন্দোলনের ফলে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। সব গণতন্ত্রকামী দল এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।’