ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত বাবার চিকিৎসা করা হলো না মেডিকেল শিক্ষার্থী সজীব বাড়ৈর। পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই শিক্ষার্থী শনিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান সজীব বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ৫০তম ব্যাচের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের দর্জি সুধীর বাড়ৈর ছেলে।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেন, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে কিছুদিন আগে সজীব শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। হাসপাতালের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আজিমুল ইসলাম বলেন, তার ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ইন্টার্নশিপ করছেন। তিনি এখনো তৃতীয় বর্ষে রয়েছেন। একাডেমিক চাপ সইতে না পেরে ও পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সুস্থ হননি। বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আত্মহত্যার আগে একটি সুইসাইড নোটও লিখে রেখে গেছেন। সেখানে লিখেছেন- ‘নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে করে ক্লান্ত আমি। একটু বিশ্রাম চাই। ক্ষমা করে দিও। এত ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারলাম না’।