বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের অস্বচ্ছ এবং একপেশে নীতি-নির্দেশনার কারণেই দেশের ওষুধশিল্প ঘিরে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ উদ্বেগ জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অনেক দিন ধরে ওষুধের মূল্য সমন্বয়ও করা হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা প্রণয়নে কাজ করা টাস্কফোর্স কমিটি এবং ডিসিসির টেকনিক্যাল সাব কমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এটি শিল্পের স্বার্থবিরোধী বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ওষুধশিল্পের নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। এই খাতের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের মতামত গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খুঁজে বের করাই সরকারের জন্য শ্রেয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কোনো কমিটি গঠন বা নীতি প্রণয়ন সমর্থনযোগ্য নয়। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরিস্থিতি মাথায় রেখে এই শিল্পের সুরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা ফখরুল : চোখের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা বেগম রয়েছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে ফলোআপের জন্য মির্জা ফখরুল আবারও ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে যাচ্ছেন। এর আগে গত ১৪ মে একই হাসপাতালে তাঁর রেটিনায় অস্ত্রোপচার করা হয়।