বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আর কারও জন্য অপেক্ষা নয়, কালবিলম্ব নয়, এখন নির্বাচনের রাস্তায় উঠে গেছে গাড়ি। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ গতকাল গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নান শাহর স্মরণসভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া দেশের কাঠামো পরিবর্তন করার জন্য বলেছিলেন। তারেক রহমানও ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন। আজকে সরকারের কাছ থেকে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তার সবগুলো বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে আছে। এসব দফার সঙ্গে আমরা একমত রয়েছি। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল ও লোকজন বলছেন, বিএনপি সংস্কার মানে না। আরে বিএনপি তো সংস্কারের জন্মদাতা। সংস্কারের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে একটা নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেশের মানুষের দাবি অনুযায়ী কিছু সংস্কার কাজ করছেন। ছয়টা সংস্কার কমিশন করেছেন। কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের আলোচনাও চলছে।
আ স ম হান্নান শাহ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দল যখন সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছিল তখন তিনি সামনে এসে হাল ধরেছিলেন। বারবার জেলে গেছেন। একবার আমার সুযোগ হয়েছিল তার সঙ্গে জেলে যাওয়ার। তখন দেখেছি, তিনি কেমন দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, চতুর্দিক থেকে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো উপদেষ্টা কিছু দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। কিন্তু বিএনপি এসব অভিযোগ শুনতে চায় না। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ভারত আমাদের নির্বাচনগুলোতে অতীতে হস্তক্ষেপ করেছে। আমরা বন্ধুত্ব চাই, সেই বন্ধুত্ব হতে হবে সমান মর্যাদা নিয়ে, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে।