গাজা অভিমুখী সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীদের বহনকারী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের নৌবহরসহ যাত্রীদের আটক করেছে ইসরায়েল। ওই বহরে থাকা ‘কনশান্স’ নামের একটি জাহাজে বাংলাদেশি অধিকারকর্মী শহিদুল আলমসহ ৯০ জনের বেশি সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মী ছিলেন। গাজা উপকূল থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে জাহাজগুলোকে আটক করা হয়। আটককৃত নৌবহরগুলোতে গাজার হাসপাতালগুলোর জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, শ্বাসযন্ত্রের সরঞ্জাম ও পুষ্টিসামগ্রী ছিল।
গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নৌবহর পরিচালনাকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন। নৌবহর আটকের ঘটনা স্বীকার করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। এদিকে নৌবহর থেকে অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশি ফটোগ্রাফার ও অধিকারকর্মী শহীদুল আলমকে আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তাঁকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের কনভয়ে আক্রমণ করেছে এবং গাজার দিকে যাত্রা করার সময় বেশ কয়েকটি জাহাজকে আটক করেছে। গাজা সানবার্ডস, আলা আল-নাজ্জার ও আনাস আল-শরীফ নামের তিনটি জাহাজে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে লোকজনকে আটক করা হয়েছে। গাজা উপকূল থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে বুধবার ভোরের দিকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানিয়েছে। এ ছাড়াও ‘কনশান্স’ নামের একটি জাহাজেও আক্রমণ চালানো হয়েছে। ওই জাহাজে বাংলাদেশি অধিকারকর্মী শহিদুল আলমসহ ৯০ জনের বেশি সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মী ছিলেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’ দেওয়া এক পোস্টে জানায়, ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলার নৌবহরে অভিযান চালানো হয়েছে। বৈধ নৌ অবরোধ ভাঙা ও যুদ্ধাঞ্চলে ঢোকার আরেকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা কোনো ফল ছাড়াই শেষ হয়েছে।
নৌযানগুলো ও যাত্রীদের একটি ইসরায়েলি বন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। আশা করা যাচ্ছে, যাত্রীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’।