বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সবজির দাম পেয়ে খুশি কৃষক

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সবজির দাম পেয়ে খুশি কৃষক

রাজশাহীতে সবজির প্রকৃত বাজার মূল্য পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে। মাঠে-ঘাটে সবজির বাড়তি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তারা বলছেন, খরিপ-১ মৌসুমের পটোল, বেগুন, ঢেঁড়স, করলা, কাঁচামরিচসহ সব সবজির দাম ভালো। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত যে দাম আছে তা হাসি ফুটিয়েছে কৃষকের মুখে।

রাজশাহীর পবা উপজেলার সাইরপুকুর, দর্শনপাড়া বিল, বিল নেপালপাড়া, বিল ধর্মপুর, বাগধানী, বড়গাছী, পূর্ব পুঠিয়াপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ধানের পাশাপাশি উঁচু জমিতে বিভিন্ন সবজির আবাদ হচ্ছে। দাম ভালো থাকায় অনেকে আগাম ফসলও তুলছেন। বড়গাছী ইউনিয়নের দাদপুর পূর্বপাড়া এলাকার পটোল চাষি রবিন নওহাটা হাটে এক মণ পটোল ৭৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, গত হাটে পটোল ৯০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছিলাম। গেল বছর অধিক বর্ষণে পটোলের আবাদ ভালো হয়নি এবং বাজারেও দাম ছিল না। তাই পটোলের আবাদে ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়েছিল। কিন্তু এই মৌসুমে খেতের ফসল ভালো হয়েছে এবং বাজারে দামও বেশি পাচ্ছি। ফলে দ্বিগুণেরও বেশি লাভের আশা করছেন তিনি।

নওহাটা হাটের পটোল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, ‘ভালো মানের পটোল ৯০০ থেকে  ১ হাজার টাকা দরে কিনছি। কিন্তু গত হাটে আমদানি কম থাকায় ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে প্রতি মণ পটোল কিনতে হয়েছে।’ মৌমাছি ইউনিয়নের হরিহরপাড়া এলাকার কৃষক দুলাল হোসেন নওহাটা হাটে তিন মণ করলা বিক্রি করেছেন এ সপ্তাহে। তিনি জানান, হাটে আমদানি বেশি থাকায় প্রতি মণ করলা ৭২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। গত হাটে তিনি ১৪০০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন।

নওহাটা হাটের সততা এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী আয়েন উদ্দিন জানান, এ সপ্তাহে ঢেঁড়স ১৪০০ টাকা দরে কিনছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এ ছাড়াও প্রতি মণ মুলা ১৩০০ টাকা দরে, বেগুন ৪ হাজার টাকা মণ, কচু ১৪০০ টাকা মণ, কাঁকরোল ১৪ টাকা কেজি ও আলু ২২ টাকা কেজি দরে কিনেছেন।

সর্বশেষ খবর