ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার প্রশ্নে ঐতিহাসিক গণভোটে 'লিভ ক্যাম্প'র জয় হলো। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৫২.৫ শতাংশ ব্রিটিশ ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিয়েছে বলে সর্বশেষ গণনায় দেখা গেছে। অার ৪৭.৫ শতাংশ ভোটার ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দেয়। এর মধ্য দিয়ে ২৮টি দেশভুক্ত জোট ইইউ'র সঙ্গে ব্রিটেনের দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময়ের সম্পৃক্ততার অবসান হলো। গতকাল ২৩ জুন ইইউতে থাকার পক্ষে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৪৬ মিলিয়নের বেশি ভোটার ভোট দেন। দেশটির ইতিহাসে এটি তৃতীয় জাতীয় গণভোট ছিল। খবর সিএনএন, বিবিসি ও দ্য টেলিগ্রাফের।
বিবিসির পূর্বাভাসে বলা হয়, ৫২ শতাংশ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে ভোট দেয়। অার 'রিমেইন ক্যাম্প'র পক্ষে ভোট পড়ে ৪৮ শতাংশ। ফলে ৪ পয়েন্টের ব্যবধানে 'লিভ ক্যাম্প' জয়ী হয়।
ফলাফলে দেখা গেছে, লন্ডন ও স্কটল্যান্ডবাসী ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দেন। তবে ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে উত্তর ইংল্যান্ডে। সেখানকার ওয়েলস এবং ইংলিশ শায়ারস ভোটাররা ব্যাপক সংখ্যায় দেশটির ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এদিকে, ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের পক্ষে ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্থানীয় মুদ্রা পাউন্ডের মান ডলারের বিপরীতে ১৯৮৫ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।
অপরদিকে, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির নেতা নিজেল ফারাজ দিনটিকে ব্রিটেনের জন্য 'স্বাধীনতার দিন' হিসেবে ঘোষণার দিয়েছেন। গণভোটের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয় বলে জানান তিনি।
সেইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনই ইইউতে থাকা না থাকার প্রশ্নে গণভোট ডেকেছেন এবং ইইউতে থাকার পক্ষে জোর প্রচারণা চালিয়েছেন। বিরোধী লেবার দলের একটি সূত্র জানায় যে, যদি ব্রিটেন ই্ইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দেয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর তার অবস্থান নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ জুন ২০১৬/শরীফ