বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ভারত। পাশাপাশি এই ঘটনাকে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে প্রতিবেশি ভারত। শুক্রবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এই সমর্থনের বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো হয়।
বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, '১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের জন্য সেদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)-এর অধীনে যে বিচার প্রক্রিয়া চলছে তার প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে'।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য এটা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এটা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়’।
বাংলাদেশর স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ৩ সেপ্টেম্বর তাকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পরই পাকিস্তান ও তুরস্কের তরফে এই ঘটনার বিরোধিতা করা হয়। এই ঘটনায় এই দুই রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনও শুরু হয় বাংলাদেশের। ঠিক তখনই ভারতের তরফে এই বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হল।
মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তানের তরফে বলা হয়, ‘এই ফাঁসি অত্যন্ত দুঃখজনক। ত্রুটিপূর্ণ বিচারের মাধ্যমে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। এটা গণতন্ত্রের চেতনার বিরোধী’। যদিও পাকিস্তানের এই ভূমিকায় বাংলাদেশের তরফেও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলা হয় দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান অযথা হস্তক্ষেপ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ