শিশু বেলায় হয়তো বা কেউ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। তাই বলে সবাই কী পারে ধর্ষকের অপকর্মের প্রতিশোধ নিতে! যেমনটি পেরেছিলেন এই তরুণী। আমেরিকার ওয়াশিংটনের এমনই এক শিশুকন্যার অভিনব শাস্তি প্রদানের কথা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
যদিও যুবকটি সে সময় ভেবেছিল, মেয়েটি যেহেতু নাবালিকা তাই তার অপকর্ম সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যাবে। তবে মেয়েটির পরিকল্পনা ছিল একেবারে অন্যরকম। সে মনে মনে স্থির করে নিয়েছিল, তার শ্লীলতাহানি করেছে যে- তাকে তার প্রাপ্য শাস্তি সে দেবেই। ধর্ষকের চেহারা ও নাম (জোসেফ চেইসন) মনে রেখেছিল সে। এবং কখন ওই জোসেফকে নিজের নাগালের একেবারে বাইরে যেতে দেয়নি সে। দূর থেকে হলেও, সে নজর রেখেছিল লোকটির ওপর।
অপেক্ষা করেছিল উপযুক্ত সময়-সুযোগের জন্য। শেষ পর্যন্ত মেয়েটির বয়স যখন বছর সাতাশের কোটায় তখন মিলে যায় সেই সুযোগ। ফোনে সে জোসেফের সঙ্গে প্রেমালাপ জমায়। জোসেফ ততো দিনে ৪৭ বছরের প্রায়-প্রৌঢ়। ২০ বছর আগে যে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেছিল সে, তার সঙ্গেই যে এতদিন পরে আবার আলাপ হতে পারে, তা ভাবতেও পারেনি জোসেফ। ফোনালাপ একটু ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরে একদিন সামনা সামনি জোসেফের সঙ্গে দেখা করেন তরুণী। প্রথম দেখায় মেয়েটিকে চিনতে পারেনি জোসেফ। তরুণী প্রেমের ছলনায় প্রচুর মদ্যপান করান জোসেফকে।
জোসেফ যখন মদ্যপান করে প্রায় বাহ্যজ্ঞানরহিত তখনই বহুকাল পূর্বে তার কৃতকর্মের কথা তুলে ধরেন তরুণী। জোসেফ নেশার ঘোরে সব কথা স্বীকারও করে নেয়। অপরাধী মোটেই জানত না যে- তার সঙ্গে দেখা করার আগে একটি টেপ রেকর্ডার লুকিয়ে এনেছেন তরুণী। এবং তার সমস্ত স্বীকারোক্তি রেকর্ড হয়ে হচ্ছে। তারপর তরুণীর পরবর্তী কাজ অত্যন্ত সহজ ছিল। নিজের সংগ্রহ করা অডিও টেপটি নিয়ে তিনি হাজির হন ম্যাকলেনান কাউন্টি শেরিফের অফিসে। গ্রেফতার হয় জোসেফ।
কোর্টে মামলা উঠলে ওই অডিও টেপটি পেশ করা হয় জোসেফের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে। জোসেফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে কোর্ট। তবে শেষ পর্ষন্ত তরুণী নিজের নাম আর প্রকাশ করতে চাননি সংবাদ মাধ্যমের কাছে।
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার